![](https://amaderorthoneeti.com/new/wp-content/themes/amader-orthoneeti/img/sky.jpg)
ডিজিটাল পদ্ধতিতে পাঠদান প্রচলিত পদ্ধতির চেয়ে বেশি আকর্ষণীয় : মোস্তাফা জব্বার
![](https://amaderorthoneeti.com/new/wp-content/uploads/2023/11/mostofa.jpg)
বাবুল মানিক : [১] ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, শিশুদের ডিজিটাল দক্ষতা সম্পন্ন স্মার্ট নাগরিক হিসেব গড়ে তুলতে না পারলে স্মার্ট বাংলাদেশের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা যাবে না। কেবলমাত্র বিদ্যালয়ের প্রচলিত শিক্ষা ব্যবস্থার ওপর নির্ভর করে স্মার্ট নাগরিক তৈরি করা সহজ হবে না।
[২] গত শুক্রবার প্রযুক্তি বিটের সাংবাদিকদের সংগঠন টেকনোলজি মিডিয়া গিল্ড বাংলাদেশ (টিএমজিবি) আয়োজিত টিএমজিবি লুনা সামসুদ্দোহা শিক্ষা বৃত্তি ২০২৩ বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন তিনি। [৩] মন্ত্রী বলেন, এখনকার যুগে বাস করে কেউ যদি কোনো ডিজিটাল যন্ত্র ব্যবহার করতে না পারে তবে তাদের ভবিষ্যৎ অন্ধকার। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যুদ্ধের ধ্বংসস্তূপের ওপর দাঁড়িয়ে তৃতীয় শিল্প বিপ্লবের ভিত্তি স্থাপন করেছিলেন। বেতবুনিয়ায় ভূ-উপগ্রহ কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা, টিঅ্যান্ডটি বোর্ড গঠন, আইটিইউ ও ইউপিইউ এর সদস্য পদ অর্জন এবং প্রযুক্তি ভিত্তিক শিক্ষা প্রবর্তনের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু স্মার্ট বাংলাদেশ বা তৃতীয় শিল্প বিপ্লবের ভিত্তি স্থাপন করেন।
[৪] তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ১৯৯৬ সাল থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত সময়ে ডিজিটাল বাংলাদেশের অভিযাত্রা শুরু হয়। এ সময় কম্পিউটার প্রযুক্তি সাধারণের ক্রয় ক্ষমতায় পৌঁছে দিতে ভ্যাট ট্যাক্স প্রত্যাহারসহ যুগান্তকারী বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় ২০২১ সালে ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচি বাস্তবায়ন সম্পন্ন হয়েছে। [৫] তিনি বলেন, আমাদের ছাত্র-ছাত্রীরা খুবই মেধাবী। তারা যে কোনো জটিলতা ধারণ করতে সক্ষম। ইতোমধ্যেই দেশের সুবিধা বঞ্চিত অঞ্চলের ছেলে মেয়েদের জন্য ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের উদ্যোগে এসওএফ তহবিলের অর্থায়নে আমরা ৬৫০টি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং পার্বত্য অঞ্চলে ২৮টি পাড়াকেন্দ্রে ডিজিটাল কনটেন্টের পাঠ দানের মাধ্যমে শিক্ষার ডিজিটাল রূপান্তরের অভিযাত্রা শুরু করেছি। আরও এক হাজারটি বিদ্যালয়ে শিক্ষার ডিজিটাল রূপান্তরের কাজ চলছে।
[৬] তিনি বলেন, ডিজিটাল পদ্ধতিতে পাঠদান প্রচলিত পাঠদান পদ্ধতির চেয়ে অনেক বেশি আকর্ষণীয় এবং স্মার্ট মানব সম্পদ তৈরির জন্য কার্যকর একটি পদ্ধতি। শিক্ষার্থীরা এক বছরের পাঠ্যক্রম এক মাসেই সহজে আয়ত্তে আনতে সক্ষম এবং ডিজিটাল পদ্ধতিতে পাঠ প্রদানের ফলে শিক্ষার্থী ভর্তি এবং নিয়মিত উপস্থিতির হার অনেক গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। আমাদের শিক্ষার্থীদের যদি সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হয়, তাহলে বিশ্বের যেকোনো মানদণ্ডকে তারা অতিক্রম করতে পারবে। সূত্র : ঢাকাপোস্ট
![](https://amaderorthoneeti.com/new/wp-content/themes/amader-orthoneeti/img/sky.jpg)