নিজস্ব প্রতিবেদক : [১] পোশাক শ্রমিকদের জন্য ন্যূনতম যে মজুরি নির্ধারণের সুপারিশ করেছে মজুরি বোর্ড, সেটিকে গ্রহণযোগ্য বলছে বাংলাদেশ গার্মেন্ট শ্রমিক-শিল্প ঐক্য।
[২] ১৪টি সংগঠন নিয়ে গড়া এই মোর্চার আহ্বায়ক সিরাজুল ইসলাম রনি বলেছেন, এই মজুরি গ্রহণযোগ্য বলছি এ কারণেই যে, ন্যূনতম মজুরি পাবেন সহকারী শ্রমিকরা, যারা শুরুতে পোশাক কারখানায় প্রবেশ করেন। তারা সংখ্যায় ৫০ হাজারের মত।
[৩] অন্যান্য শ্রমিকরা পাবেন ১৫ হাজারের মত। শ্রমিকদের জন্য সর্বনিম্ন মজুরি ১২ হাজার ৫০০ টাকা নির্ধারণ ও সাধারণ শ্রমিক ভাইবোনদের তা কাছে গ্রহণযোগ্য হওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাই।
[৪] ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে রোববার সকালে সংবাদ সম্মেলনে একথা বলেন সিরাজুল।
[৫] লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, গার্মেন্টস শিল্প সেক্টরে নিম্নতম মজুরি ১২ হাজার ৫০০ টাকা নির্ধারণ নিয়ে পক্ষে-বিপক্ষে অনেকেই মত প্রকাশ করেছে। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় এসে ১ হাজার ৬৬২ টাকা থেকে ২০১০ সালে ৩ হাজার টাকা মজুরি নির্ধারণ করে। পরবর্তী ২০১৩ সালে ৫ হাজার ৩০০ টাকা মজুরি নির্ধারণ করে। ২০১৮ সালে ৮ হাজার টাকা নিম্নতম মজুরি নির্ধারণ করে।
[৬] ২০২৩ সালে সরকার পুনরায় নিম্নতম মজুরি বোর্ড গঠন করে; ফলে বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠন ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান তাদের নিজ নিজ ভিন্ন ভিন্ন মজুরির প্রস্তাব উপস্থাপন করে।