
বেসরকারি কোম্পানিতে কর্মরত কর্মচারিদের জন্য সর্বজনীন পেনশন স্কিম সহজ করা হচ্ছে

সোহেল রহমান : [১] বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন যৌথমূলধন কোম্পানি ও ফার্মসমূহের পরিদপ্তর (আরজেএসসি)-এর সঙ্গে একটি সমঝোতা স্মারক সই করেছে জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষ।
[২] মঙ্গলবার অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে সমঝোতা স্মারকে জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষ-এর পক্ষে প্রতিষ্ঠানের নির্বাহী চেয়ারম্যান কবিরুল ইজদানী খান এবং যৌথমূলধন কোম্পানি ও ফার্মসমূহের পরিদপ্তর-এর নিবন্ধক মোঃ আবদুছ সামাদ আল আজাদ সই করেন। অর্থ সচিব ড. খায়েরুজ্জামান মজুমদার অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
[৩] অর্থ মন্ত্রণালয় জানায়, বেসরকারি কোম্পানিতে কর্মরত কর্মচারিদের জন্য সর্বজনীন পেনশন স্কিমে অংশগ্রহণ সহজীকরণের লক্ষ্যে এ সমঝোতা স্মারক সই করা হয়। প্রগতি স্কিমের মাধ্যমে যেকোন বেসরকারি প্রতিষ্ঠান নিবন্ধন করে প্রতিষ্ঠানে কর্মরত কর্মচারীদের জন্য পেনশন হিসাব পরিচালনা করতে পারবেন। এ স্কিমের অধীনে ২০০০ টাকা , ৩০০০ টাকা, ৫০০০ টাকা এবং ১০,০০০ টাকার চারটি জমার অপশন রয়েছে।
[৪] মন্ত্রণালয় জানায়, আরজেএসসি দেশের বিভিন্ন ধরণের যৌথ ও একক কোম্পানি এবং ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের রেজিস্ট্রেশন প্রদান করে থাকে। চলতি পঞ্জিকা বছরের গত অক্টোবর পর্যন্ত প্রতিষ্ঠানটি ২ লাখ ৮৭ হাজার ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের রেজিস্ট্রেশন প্রদান করেছে। জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষ-এর সঙ্গে সমঝোতা স্মারক সই হওয়ার ফলে এ সকল প্রতিষ্ঠানে কর্মরত কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের জন্য প্রগতি পেনশন স্কিমে নিবন্ধন করা অনেক সহজ হবে।
[৫] প্রসঙ্গত: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ১৭ আগস্ট সর্বজনীন পেনশন স্কিম-এর উদ্বোধন করেন। বর্তমানে যে চারটি স্কিমের মাধ্যমে এ কার্যক্রম শুরু হয়েছে, সেগুলো হচ্ছেÑ প্রবাস (প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য), প্রগতি (বেসরকারি চাকরিজীবীদের জন্য), সুরক্ষা (স্বকর্মে নিয়োজিতদের জন্য) এবং সমতা (স্বল্প আয়ের নাগরিকদের জন্য)।
[৬] অর্থ মন্ত্রণালয় জানায়, ইতোমধ্যে প্রায় ১৬,০০০ বাংলাদেশি নাগরিক সর্বজনীন পেনশন স্কিমে নিবন্ধন করেছেন। জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষ ইতোমধ্যে ১১ কোটি ৩১ লাখ টাকা সরকারি ট্রেজারি বন্ডে বিনিয়োগ করেছে।
