মাসুদ মিয়া: [১]দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. হাফিজ মুহম্মদ হাসান বাবু বলেন, প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশে ডিজিটাল বাংলাদেশের ধারণা প্রবর্তন করেছেন। বর্তমানে বাংলাদেশের সামনে হাতছানি দিচ্ছে স্মার্ট বাংলাদেশ। ২০৪১ সালের মধ্যে এটি বাস্তবায়ন করা হবে এবং এর মাধ্যমে বাংলাদেশ উন্নত বিশ্বের একটি দেশে পরিণত হবে। [২]গতকাল সোমবার ই-গভর্ন্যান্স ও উদ্ভাবন কর্মপরিকল্পনা ২০২৩-২৪ বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন কর্তৃক আয়োজিত “শিক্ষা, গবেষণা ও উদ্ভাবন” শীর্ষক কর্মশালায় বিশেষজ্ঞ আলোচক হিসেবে তিনি এ কথা বলেন। এ সময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইউজিসির সদস্য অধ্যাপক ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন। এতে সভাপতিত্ব করেন ইউজিসির রিসার্চ সাপোর্ট এন্ড পাবলিকেশন বিভাগের পরিচালক ড. মো. ফখরুল ইসলাম। তিনি বলেন, ইতোমধ্যে আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে স্মার্ট বাংলাদেশে পদার্পণ করেছি। [৩]সরকারের এই মিশন বাস্তবায়নের জন্য রাষ্ট্রের সরকারি ও বেসরকারি হাজারো প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তির কার্যকর ভূমিকা অনস্বীকার্য। স্মার্ট বাংলাদেশের জন্য দক্ষ মানবসম্পদ ও শিক্ষা পদ্ধতি পরিবর্তন আনতে হবে। নতুন নতুন উদ্ভাবন ও গবেষণার মাধ্যমে দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকেও কার্যকর ভূমিকা রাখতে হবে।
[৪]ড. হাসান বাবু বলেন, সমাজের কোনো সমস্যা অনুধাবন ও জনসচেতনতা বৃদ্ধির একমাত্র উপযুক্ত মাধ্যম হলো গবেষণা। গবেষণা হলো তথ্য বিন্যস্তকরণ ও নতুন সিদ্ধান্তে পৌঁছানোর জন্য উপকরণ। গবেষণার মাধ্যমে সামাজিক অস্থিরতা, বিশৃঙ্খলা দূর করে একটি জাতিকে তার কাঙ্ক্ষিত সাফল্যে পৌঁছানো সম্ভব। গবেষণার মাধ্যমে সৃষ্ট জ্ঞান, চিন্তা ও আবিষ্কার একটি জাতিকে সঠিক সিদ্ধান্তে পৌঁছে দিতে পারে। গবেষণাই পারে সামাজিক ও অর্থনৈতিক সমস্যা সম্পর্কে জানা এবং সমাধানের পথ বের করা। অধিক গবেষণা নির্ভর দেশগুলো বেশি সমৃদ্ধশালী। স্মার্ট বিশ্বের সাথে তাল মেলাতে স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনের কোন বিকল্প নেই। দেশের দীর্ঘমেয়াদি সামগ্রিক উন্নয়নের জন্য অবকাঠামোগত উন্নয়নের পাশাপাশি প্রাতিষ্ঠানিক উন্নয়নের মাধ্যমে বহু-মাতৃক কর্মপরিকল্পনা ও কর্মকৌশল গ্রহণ করেছে সরকার।
[৫]উদ্ভাবন নিয়ে ড. হাসান বাবু বলেন, ছোট পরিবর্তন থেকেও বৃহৎ পরিবর্তন আনা সম্ভব। ছোট প্রকল্প বা আইডিয়াগুলোকে বের করার মাধ্যমেই বড় বড় প্রকল্প গড়ে তোলা যেতে পারে। ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার পরিকল্পনার নেয়া হয়েছে। স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার জন্য অবশ্যই বৃহত্তর পরিসরে উদ্ভাবন নিয়ে কাজ করতে হবে। ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে হলে প্রয়োজন হবে উদ্যোক্তাদের উদ্ভাবনী চিন্তা।শিক্ষা, গবেষণা এবং উদ্ভাবন এই ৩টি জিনিসের সমন্বয় ঘটিয়ে স্মার্ট, সমৃদ্ধ এবং সুষম বাংলাদেশ বিনির্মাণ করতে হবে।