ডিএসইতে মাত্র ১৯ কোম্পানির দর বৃদ্ধি
মাসুদ মিয়া : [১]দেশের শেয়ারবাজারে মন্দাভাব বিরাজ করছে আতঙ্কে রয়েছে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা। সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসের ধারাবাহিকতায় গতকাল সোমবারও বড় ধরনের দর পতনের মধ্যে দিয়ে লেনদেন শেষ হয়েছে। এই নিয়ে তিন কার্যদিবস ধরে শেয়ারবাজারে দর পতন অব্যাহত রয়েছে। এদিন প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং অন্য শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমার পাশাপাশি কমেছে সবকটি মূল্যসূচক। তবে ডিএসইতে লেনদেনের পরিমাণ কিছুটা বেড়েছে।
[২]এবিষয়ে বাজার সংশ্লিষ্টরা মনে করেন, দেশে রাজনৈতিক অস্থিরতার কারনে সাধারন বিনিয়োগকারীদের মধ্যে কিছুটা আতঙ্ক বিরাজ করেছে সে কারনে শেয়ারবাজারে বড় ধরনের দর পতন হচ্ছে। সংশ্লিষ্টরা মনে করেন, রাজনৈতিক অস্থিরতা কেটেগেলে বাজার ঠিক হবে। গতকাল শেয়ারবাজারে লেনদেন শুরু হয় বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম বাড়ার মাধ্যমে। ফলে লেনদেন শুরু হতেই ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ২ পয়েন্ট বেড়ে যায়। লেনদেনের শুরুতে দেখা দেয়া এ ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা লেনদেনের প্রথম দুই ঘণ্টা অব্যাহত থাকে। তবে দুপুর ১২টার পর থেকে একের পর এক প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম কমে যায়। লেনদেনের সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে দরপতনের মাত্রাও বাড়তে থাকে। ফলে একদিনে দাম কমার তালিকা বড় হয়, অন্যদিকে সবকটি মূল্য সূচকের বড় পতন দিয়েই দিনের লেনদেন শেষ হয়। দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইতে সব খাত মিলে মাত্র ১৯টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১২৪টির। আর ১৫১টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। এতে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স ১৪ পয়েন্ট কমে ৬ হাজার ২২৬ পয়েন্টে অবস্থান করছে। আগের দিন সূচকটি কমে ১৬ পয়েন্ট। অর্থাৎ দুই দিনে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ৩০ পয়েন্ট কমে গেছে। অন্য দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই শরিয়াহ্ আগের দিনের তুলনায় ২ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৩৫১ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। আর বাছাই করা ভালো ৩০টি কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক আগের দিনের তুলনায় ৪ পয়েন্ট কমে ২ হাজার ১০৫ পয়েন্টে অবস্থান করছে। [৩]সবকটি মূল্যসূচক কমলেও ডিএসইতে লেনদেনের পরিমাণ কিছুটা বেড়েছে। দিনভর বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৪৪২ কোটি ৮৫ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয় ৪৩৩ কোটি ৮৬ লাখ টাকা। সে হিসেবে লেনদেন বেড়েছে ৮ কোটি ৯৯ লাখ টাকা।
[৪]টাকার অঙ্কে বাজারটিতে সব থেকে বেশি লেনদেন হয়েছে সিএনএ টেক্সটাইলের শেয়ার। কোম্পানিটির ৫০ কোটি ৮৪ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছ। দ্বিতীয় স্থানে থাকা ফু-ওয়াং সিরামিক ইন্ডাস্ট্রিজের ১৯ কোটি ১৪ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। ১৭ কোটি ৯৭ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে ইয়াকিন পলিমার।
[৫]এছাড়া ডিএসইতে লেনদেনের দিক থেকে শীর্ষ দশ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে-এমারেল্ড অয়েল, সেন্ট্রাল ফার্মাসিউটিক্যালস, সি পার্ল বিচ রিসোর্ট, খুলনা প্রিন্টিং অ্যান্ড প্যাকেজিং, খান ব্রদার্স পিপি ওভেন ব্যাগ, প্যাসেফিক ডেনিমস এবং অলেম্পিক এক্সসরিজ। দ বৃদ্ধিরশীর্ষে প্রধান ১০টি কো¤পানি হলো:-ওআইমেক্স ইলেক্ট্রোড, ফাইন ফুডস, প্যাসিফিক ডেনিমস, হাইডেলবার্গ সিমেন্ট, প্রিমিয়ার সিমেন্ট, ইন্ট্র্যাকো রিফুয়েলিং, ডেফোডিল কম্পিউটার, আজিজ পাইপস, ঢাকা ডাইং ও পূবালী ব্যাংক।
[৬]দর কমার শীর্ষে প্রধান ১০টি কো¤পানি হলো:-এমারেল্ড অয়েল, খুলনা প্রিন্টিং, অ্যাম্বী ফার্মা, জেমিনী ফুড, দেশবন্ধু পলিমার, সিমটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ, লিব্রা ইনফিউশন, রিপাবলিক ইন্স্যুরেন্স, মেঘনা সিমেন্ট ও হাওয়াওয়েল টেক্সটাইল।
অন্য শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক মূল্যসূচক [৭]সিএএসপিআই কমেছে ২৫ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেন অংশ নেওয়া ১৩২টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১৯টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৬৬টির এবং ৪৭টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। লেনদেন হয়েছে ৬ কোটি ২৭ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয় ৭ কোটি ৭৪ লাখ টাকা।