আগামী ৭ বছরে বিশ্বের নবম বৃহৎ বাজার হবে বাংলাদেশ
আমিনুল ইসলাম : [১] আগামী ৭ বছরে বিশ্বের নবম বৃহৎ বাজার হবে বাংলাদেশ । যুক্তরাজ্য এবং জার্মানির মত প্রতিষ্ঠিত বাজারগুলোকে এবং বর্তমান উচ্চ-প্রবৃদ্ধির দেশ ভিয়েতনাম বা থাইল্যান্ডকেও বাংলাদেশ যাতে ছাড়িয়ে যেতে পারে সে লক্ষ্য নিয়েই কাজ করছে বাংলাদেশ। যাতে ২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশ বিশ্বের নবম বৃহত্তম ভোক্তা বাজারে পরিণত হয়।
[৩] ইতোমধ্যে ২০৩১ সালের মধ্যে একটি উচ্চ মধ্য-আয়ের দেশ এবং ২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত-সমৃদ্ধ দেশে রূপান্তরিত হওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ। আর ২০৪০ সালের মধ্যে আনুমানিক মাথাপিছু জিডিপি দাঁড়াবে ৫ হাজার ৮৮০ মার্কিন ডলার। আর কৌশলগত ভৌগলিক অবস্থানের কারণে বাংলাদেশ ৩০০ কোটি মানুষের আঞ্চলিক বাজারের কেন্দ্রস্থলে পরিণত হতে পারে।
[৪] সে লক্ষে ২০৩১ সালের মধ্যে জিডিপিতে বেসরকারি বিনিয়োগের অনুপাত ৩১ দশমিক ৪৩ শতাংশে উন্নীত করার পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের। ২০২৫ সালের মধ্যে কেবল লজিস্টিকস খাতই ৯০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বাজারে পরিণত হবে। বাংলাদেশে এখন জ্বালানি, পানি, লজিস্টিকস এবং পরিবহন খাতে ৩৫০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের অবকাঠামো গড়ার সুযোগ রয়েছে এবং ২০২৫ সাল নাগাদ বাংলাদেশে ক্রমবর্ধমান মধ্যবিত্ত ও ধনীক শ্রেণির সংখ্যা হবে ৩ কোটি ৪০ লাখে। [৫] সরকারী পদক্ষেপের সাথে সাথে বাংলাদেশকে ঘিরে আরো কিছু ভবিষ্যৎ সম্ভাবনার কথা তুলে ধরে ফরেন ইনভেস্টরস চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির(ফিকি) ফিকি’র সদস্যদেরকে বৈদেশিক বিনিয়োগ আকৃষ্ট করার অনুরোধ করেছেনন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একইসঙ্গে তিনি বাংলাদেশ নিয়ে তার ভিশনের কথা জানিয়েছেন।
[৬] বাংলাদেশকে প্রবৃদ্ধির শিখরে পৌঁছাতে যেরকম অবকাঠামোগত উন্নয়ন প্রয়োজন বর্তমান সরকার সেই কাজ ইতিমধ্যে করে দিয়েছে। যোগাযোগ ব্যবস্থা, জ্বালানি বিদ্যুৎ, দক্ষ শ্রমিক, শিক্ষিত জনগণ সবদিকেই বাংলাদেশ ব্যাপক উন্নতি করেছে। এখন এসব অবকাঠামো নিয়ে ভবিষ্যতে বাংলাদেশকে কোথায় পৌঁছাতে চান সেই কর্মপরিকল্পনাও তুলে ধরা হয়েছে ফিকির সদস্যদের সামনে।
[৭] উল্লেখ্য, ফিকি’র মাধ্যমে দেশের ৩১টি জেলায় ৩ লক্ষ মানুষের জন্য নিরাপদ খাবার পানির সংস্থান করতে ১০২ টি পানি শোধন প্ল্যান্ট তৈরি করা হয়েছে। যার মাধ্যমে প্রতিদিন ৫ লক্ষ ৩০ হাজার লিটার নিরাপদ পানি সরবরাহ করা হচ্ছে। ২৯টি গ্রামে ২ হাজার ৫৯০ টি সৌর বিদ্যুৎ প্ল্যান্ট স্থাপন করেছে ফিকি।
[৮] এতে পার্বত্য এলাকায় ১৩ হাজার মানুষ বিদ্যুৎ সুবিধা পাচ্ছেন। সারা দেশে ৭৫টি শিক্ষাকেন্দ্রের মাধ্যমে ৩ হাজার শিক্ষার্থীকে পাঠদান করছে ফিকি। চার হাজার শারীরিক প্রতিবন্ধীর জন্য কর্মসংস্থানের সৃষ্টি করাসহ ২১টি সেক্টরে ফিকি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করে। এসব সেক্টরের মধ্যে রয়েছে- ব্যাংকিং এন্ড ফাইন্যান্স খাত, সিমেন্ট ও সিরামিক খাত, ক্যামিক্যাল, কন্সট্রাকশন অ্যান্ড রিয়েল এস্টেট সেক্টর, ফার্টিলাইজার এন্ড এগ্রিকালচার, সফটওয়্যার ও টেলি কমিউনিকেশন, পাওয়ার এন্ড এনার্জি সেক্টর,চামড়াজাত পণ্য, রেডিমেড গার্মেন্টস, শিপিং এবং চা-শিল্প।