চট্টগ্রাম প্রতিনিধি : [১] অ্যান্টিবায়োটিক একটি রোগ প্রতিরোধক ওষুধ, যা শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরি করতে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তবে অ্যান্টিবায়োটিক সঠিকভাবে সেবন না করলে শরীরে রেজিস্ট্যান্স তৈরি হয় যাতে করে মানবদেহে অ্যান্টিবডি তৈরির বিপরীত ঘটনাও ঘটতে পারে।
[২] তাই অ্যান্টিবায়োটিক বেচা, কেনা ও সেবনের ক্ষেত্রে সবাইকে সচেতন হওয়ার জরুরি।মঙ্গলবার সকাল ১১টায় চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত বিশ্ব অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স বিষয়ক আলোচনা সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন। [৩] প্রধান অতিথির বক্তব্যে সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইলিয়াছ চৌধুরী বলেন, সব রোগে অ্যান্টিবায়োটিক প্রয়োজন হয় না আবার বিনা প্রয়োজনে কোনো ধরনের অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়া যাবে না। চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে সঠিক সংক্রমণে সঠিক অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার করতে হবে।
[৪] অ্যান্টিবায়োটিকের কোর্স নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সম্পন্ন না করলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা থাকে না। অ্যান্টিবায়োটিকের অপব্যবহার শরীরের জন্য এত মারাত্মক ক্ষতিকর যে, এটি করোনাভাইরাস থেকেও ভয়াবহ। জ্বর বা জটিল রোগ হলে রেজিস্টার্ড চিকিৎসকের শরণাপন্ন হয়ে পরামর্শ মতে অ্যান্টিবায়োটিক ও অন্যান্য ওষুধ সেবন করতে হবে। [৫] তিনি বলেন, মানব সভ্যতা বাঁচাতে হলে ভবিষ্যতে আমাদের অ্যান্টিবায়োটিকগুলোর কার্যক্রম ঠিক রাখতে হলে আমাদের অ্যান্টিবায়োটিকের যথেচ্ছ ব্যবহার বন্ধ করতে হবে। প্রয়োজন ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার করা উচিত হবে না। সেজন্য অবশ্যই রেজিস্টার্ড চিকিৎসকের পরামর্শ মতো আমাদের অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল ( অ্যান্টিবায়োটিক) গ্রহণ করা উচিত। [৬] চট্টগ্রাম জেলার সিভিল সার্জন কার্যালয়ের স্বাস্থ্য তত্ত্বাবধায়ক সুজন বড়ুয়ার সঞ্চালনায় ও ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক এসএম সুলতানুল আরেফিনের সভাপতিত্বে বিশ্ব অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল সচেতনতা সপ্তাহের মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজের ফার্মাকোলজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডাক্তার মাসুদ রানা।
[৭] প্রধান আলোচক ছিলেন ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল উপ-পরিচালক ও তত্ত্বাবধায়ক ডা. সেখ ফজলে রাব্বি এবং স্বাগত বক্তব্য দেন ডেপুটি সিভিল সার্জন ডাক্তার ওয়াজেদ চৌধুরী অভি। [৮] বক্তব্য দেন দোহাজারী ৩১ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল মেডিসিন বিভগের জুনিয়র কনসালটেন্ট ডা. সাইফুদ্দিন মাহমুদ, সিভিল সার্জন কার্যালয়ের এমও (সিএস) ডা. মো. নওশাদ খান, মেডিক্যাল অফিসার সমন্বয় ডা. মোহাম্মদ নুরুল হায়দার প্রমুখ।