মো. আখতারুজ্জামান : [১] দেশে গবাদিপশু শিল্পের প্রবৃদ্ধির কথা বিবেচনায় রেখে সরকার গরুর মাংস আমদানির অনুমতি দেবে না বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।
[২] শনিবার জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ও ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির ভোক্তা অধিকার সচেতনতা শীর্ষক বিতর্ক প্রতিযোগিতার গ্র্যান্ড ফিনালেতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ তথ্য জানান।
[৩] বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, দেশের নিম্ন ও মধ্যম আয়ের মানুষের মধ্যে গরুর মাংসের চাহিদা কমে যাওয়ায় গত কয়েকদিন ধরে বাজারে গরুর মাংসের দাম কমতে শুরু করেছে। দেশে বেকারত্ব কমাতে গবাদিপশু পালনও অবদান রাখছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
[৪] বাণিজ্যমন্ত্রী আরও বলেন, আমদানি নির্ভর চিনির শুল্ক কমানোর পরও ডলারের দাম বেশি থাকায় বাজারে নিত্যপণ্যটির দাম কমেনি।
[৫] চিনির আমদানি শুল্ক কমানোর পরও দাম না কমার বিষয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ডলারের মূল্য আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। যেসব পণ্য আমদানি করতে হয়, সেগুলো আন্তর্জাতিক বাজার বা ডলারের মূল্যের ওপর নির্ভর করে। আমরা চাইলেও সেগুলোর মূল্য নির্ধারণ করে দিতে পারি না। আমরা যেটি পারি সেটি হলো শুল্ক কমাতে। যেমন চিনির দাম কমাতে আমদানি শুল্ক কমানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। কিন্তু ডলারের দাম বেড়ে যাওয়ায় দামে কোনো প্রভাব পড়েনি, বরং বেড়েছে। ফলে চিনির আমদানি শুল্ক কমানোর সুফল ভোক্তারা পাননি বলে জানিয়েছেন তিনি।
[৬] বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ রাজনীতি করে দেশের মানুষের কল্যাণের জন্য। দ্রব্যমূল্য সহনীয় পর্যায়ে রাখতে সরকার প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে হয়তো শতভাগ করা সম্ভব হয়নি। তবে বিশ্বের অনেক দেশের তুলনায় আমাদের সফলতা আছে। নিম্নআয়ের মানুষের কথা ভেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে টিসিবিসহ নানা কর্মসূচির মাধ্যমে সরকার স্বল্পমূল্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য বিক্রয় কার্যক্রম পরিচালনা করছে। এ জন্য সরকার হাজার হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দিচ্ছে।
[৭] করোনা পরবর্তী রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধসহ বৈশ্বিক অস্থিতিশীলতার প্রেক্ষাপটে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে পণ্যের মূল্য অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে উল্লেখ করে তিনি জানান, যার প্রভাব আমাদের দেশেও পড়েছে। এতে করে নিত্যপ্ররেয়াজনীয় পণ্যের দাম বাড়ায় মানুষের কষ্ট হচ্ছে, এটি সত্যি। দ্রব্যমূল্যের বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকারি এবং বেসরকারি খাতের যৌথ ভূমিকা মুখ্য বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
[৮] বাণিজ্যমন্ত্রী জানান, সরকার বা সিন্ডিকেট শক্তিশালী নয়। জনগণের সিন্ডিকেট সবচেয়ে শক্তিশালী। ভোক্তাদের সচেতন ও প্রতিবাদী হতে হবে। সাধারণ মানুষ ঐক্যবদ্ধ হলে কোনও শক্তিই টিকতে পারবে না। এই উদ্যোগ মানুষকে সচেতন করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলেও জানান তিনি।
[৯] ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি’র চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান বক্তব্য রাখেন।
[১০] ইডেন মহিলা কলেজ এবং কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজ ফাইনাল প্রতিযোগিতায় অংশ নেয় এবং কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজ জয়লাভ করে।