ন্যূনতম মজুরি ১২৫০০ টাকা উপরের দিকে গ্রেড বেড়েছে পোশাক শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি চূড়ান্ত
মাসুদ মিয়া: [১] অবশেষে পোশাক খাতের ন্যূনতম মজুরি ১২ হাজার ৫০০ টাকা থেকে আরও বাড়ানোর দাবি থাকলেও আলোচ্য মজুরিই চূড়ান্ত করেছে সরকার। তবে গ্রেড সংখ্যা কমিয়ে উপরের দিকের গ্রেডগুলোতে সামান্য বাড়ানো হয়েছে। [২] গতকাল রোববার সচিবালয়ে ন্যূনতম মজুরি বোর্ডের ৭ম সভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান বোর্ডের চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী মোল্লা। এর আগে পাঁচটি গ্রেডের মধ্য সর্বনিম্ন গ্রেডে বা ন্যূনতম মজুরি ৫৬ শতাংশ বাড়িয়ে নির্ধারণ করা হয়েছিল ১২ হাজার ৫০০ টাকা।
[৩] শ্রমিক অধিকার সংগঠনগুলো এই মজুরি প্রত্যাখ্যান করে, এবং শ্রমিকদের একটি অংশ রাস্তায় নামে। বিক্ষোভের সময় ‘পুলিশের সাথে সংঘর্ষে’ ২ জনসহ মজুরি আন্দোলনে মোট চারজন নিহত হন।
[৪] চূড়ান্ত মজুরি নির্ধারণে ৪ ও ৩ নম্বর গ্রেডকে একীভূত করে ৩ নম্বর গ্রেড করা হয়েছে, এই গ্রেডে আগে ১৩ হাজার ২৫ টাকা নির্ধারণ করা হলেও নতুন করে তা ১৩ হাজার ৫৫০ টাকা করা হয়েছে। দ্বিতীয় গ্রেডে ১৪ হাজার ১৫০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১৪ হাজার ২৭৩ টাকা আর প্রথম গ্রেডে ১৪ হাজার ৭৫০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১৫ হাজার ৩৫ টাকা করা হয়েছে।
[৫]ন্যূনতম মজুরি বোর্ডের সভায় উপস্থিত ছিলেন বোর্ডে পোশাক কারখানা মালিকদের প্রতিনিধি ও বিজিএমইএ’র সাবেক সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান, পোশাক শ্রমিকদের প্রতিনিধি ও বাংলাদেশ জাতীয় পোশাক শ্রমিক লীগের সভাপতি সিরাজুল ইসলাম রনি-সহ প্রমুখ।
[৬]এর আগে শ্রমিকদের দাবির মুখে, ২০১৩ সালে তৈরি পোশাক খাতের ন্যূনতম মজুরি ৭৬ শতাংশ বাড়ানো হয়। সে বছর ন্যূনতম মজুরি ধরা হয় ৫ হাজার ৩০০ টাকা। নিয়ম অনুযায়ী পাঁচ বছর পর ২০১৮ সালে আবারও মজুরি বোর্ডের মাধ্যমে সর্বনিম্ন মজুরি নির্ধারণ করে সরকার। সে বছর তা ৫১ শতাংশ বাড়িয়ে সর্বনিম্ন মজুরি ৮ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়। যদিও প্রতি বছরই মালিকরা তাদের সক্ষমতার অজুহাতে শ্রমিকদের দাবির চেয়ে অনেকটা কম মজুরি নির্ধারণ করতে সরকারকে অনুরোধ করেন। [৭]চলতি বছরেও বৈশ্বিক নানা প্রেক্ষাপটে বেড়ে যাওয়া মূল্যস্ফীতির চাপে পড়েছে শ্রমিকরা। তাদের পাপ্য মজুরিতে সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে প্রতিটি শ্রমিককে। সব মহলের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে গত এপ্রিলে সরকার ন্যূনতম মজুরি বোর্ড গঠন করে। এর চেয়ারম্যান করা হয় লিয়াকত আলী মোল্লাকে। সেখানে ২২ অক্টোবর বোর্ডের চতুর্থ সভায় শ্রমিকপক্ষের প্রতিনিধি ২০ হাজার ৩৯৩ টাকা ন্যূনতম মজুরি দাবি করে। তার বিপরীতে মালিক পক্ষ প্রায় অর্ধেক বা ১০ হাজার ৪০০ টাকা মজুরির প্রস্তাব দেয়।