আমিনুল ইসলাম;[১] ডলার সংকটের কারণে চাহিদামতো লেটার অব ক্রেডিট (এলসি) বা ঋণপত্র খুলতে পারছেন না অনেক ব্যবসায়ী। এ সংকটের কারণে চলতি অর্থবছরের প্রথম চার মাস জুলাই থেকে অক্টোবরে আমদানি এলসি খোলা কমেছে ১১ দশমিক ৫২ শতাংশ। আর এলসি নিষ্পত্তি কমেছে ২৪ দশমিক ০৭ শতাংশ।
[২] বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে। তথ্য অনুযায়ী, চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জুলাই-অক্টোবর সময়ে মোট ২ হাজার ১৮২ কোটি ডলারের পণ্য আমদানির এলসি খোলা হয়েছে। আর নিষ্পত্তি হয়েছে ২ হাজার ১৯৭ কোটি ডলারের। আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় এলসি খোলা কমেছে ১১ দশমিক ৫২ শতাংশ। নিষ্পত্তি কম হয়েছে ২৪ দশমিক ০৭ শতাংশ।
[৩] এসময় সবচেয়ে বেশি আমদানি এলসি খোলা কমেছে ভোগ্যপণ্যের। আলোচ্য এই চার মাসে ভোগ্যপণ্যের এলসি কমেছে ৩৯ দশমিক ০৬ শতাংশ। আর এলসি নিষ্পত্তি কমেছে ২৪ দশমিক ২৬ শতাংশ।
[৪] এলসি নিষ্পত্তি কমার তালিকার শীর্ষে রয়েছে মূলধনী যন্ত্রপাতি। চার মাসে এর এলসি নিষ্পত্তি ৫০ শতাংশ কমে ৮৩৩ কোটি ডলারে নেমেছে। এসময় মূলধনী যন্ত্রপাতির এলসি খোলা কমেছে ২০ দশমিক ৭৫ শতাংশ।
[৫]দ্বিতীয় সর্বোচ্চ কমেছে শিল্পের কাঁচামাল। প্রথম চার মাসে এর এলসি নিষ্পত্তি ৩৬ শতাংশ কমে ৬৯১ কোটি ডলারে নেমেছে। আর আমদানি এলসি খোলা কমেছে ১৬ দশমিক ১২ শতাংশ।
[৬] এছাড়া পেট্রোলিয়ামের এলসি নিষ্পত্তি প্রায় ১৫ শতাংশ কমে ৩৩১ কোটি ডলার দাঁড়িয়েছে। মধ্যবর্তী পণ্যে কমেছে প্রায় ১২ শতাংশ। অন্যান্য পণ্যের এলসি নিষ্পত্তি ১৩ শতাংশের বেশি কমেছে।