![](https://amaderorthoneeti.com/new/wp-content/themes/amader-orthoneeti/img/sky.jpg)
ইউক্রেন যুদ্ধ বাঁধিয়েছে পশ্চিমা দেশগুলো : কিয়েভের শীর্ষ এমপি
রাশিদ রিয়াজ : [১] ইউক্রেনের শীর্ষ পার্লামেন্টিরিয়ান ডেভিড আরাখামিয়া মস্কোর সাথে আলোচনায় কিয়েভের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন। তিনি স্বীকার করেছেন ইউক্রেন নিরপেক্ষ থাকতে সম্মত হলে রাশিয়া যুদ্ধ বন্ধ করতে প্রস্তুত ছিল, কিন্তু পশ্চিমা দেশগুলো কিয়েভকে পরামর্শ দিয়েছিল, যুদ্ধের দিকেই অগ্রসর হতে। কিয়েভ তা না করলে মস্কো যে কিয়েভকে গত ২০২২ সালের মার্চ মাসে একটি শান্তি চুক্তির প্রস্তাব দিয়েছিল এবং তা হয়ত হয়েও যেত। আরটি
[২] তিনি বলেন, রাশিয়ার লক্ষ্য ছিল আমাদের উপর চাপ সৃষ্টি করা যাতে আমরা নিরপেক্ষতা অবলম্বন করি। এটি তাদের প্রধান লক্ষ্য ছিল। আমরা নিরপেক্ষ থাকলে রাশিয়া যুদ্ধ শেষ করতে প্রস্তুত ছিল। যেমন ফিনল্যান্ড একবার করেছিল। এবং আমরা প্রতিশ্রুতি দেব যে আমরা ন্যাটোতে যোগ দেব না। এটি ছিল প্রধান বিষয়।
[৩] ডেভিড আরাখামিয়া বলেন, নিরপেক্ষতায় সম্মত হওয়া এবং ন্যাটোর সদস্যপদ ত্যাগ করার জন্য ইউক্রেনের সংবিধান পরিবর্তন করতে হবে। দ্বিতীয়ত, রাশিয়ানদের উপর কোন আস্থা ছিল না যে তারা এটি করবে। এটি শুধুমাত্র নিরাপত্তা গ্যারান্টি দিয়ে করা যেতে পারে।
[৪] আরাখামিয়া আরো বলেন, ব্রিটিশ তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন কিয়েভে এসে ইউক্রেনের কর্মকর্তাদের যুদ্ধ চালিয়ে যেতে এবং মস্কোর সঙ্গে কোনো চুক্তিতে স্বাক্ষর না করতে বলেন। বরিস জনসন ইউক্রেন শান্তি চুক্তি লাইনচ্যুত করেছেন।
[৫] ইস্তাম্বুলে শান্তি আলোচনা ভঙ্গ করতে জনসনের ভূমিকা নিয়ে গত ২০২২ সালের মে মাসে উক্রাইনস্কা প্রাভদা একটি প্রতিবেদন করে। তবে বরিস সেই বছরের জুনে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে বরখাস্ত হয়েছিলেন এবং শেষ পর্যন্ত একটি আমেরিকান থিঙ্ক ট্যাঙ্কে চাকরি পেয়েছিলেন বা মার্কিন সরকার কখনও আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকার করেনি কিয়েভকে খসড়া চুক্তি প্রত্যাহার করার জন্য চাপ দেওয়ার কথা, যা আরাখামিয়া নিজেই স্বাক্ষর করেছিলেন।
[৬] এই বছরের শুরুর দিকে, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন আফ্রিকান নেতাদের কাছে বলেছিলেন মস্কো এবং কিয়েভ তুর্কিয়ে আয়োজিত আলোচনায় ইউক্রেনের জন্য স্থায়ী নিরপেক্ষতা এবং নিরাপত্তা গ্যারান্টির বিষয়ে একটি খসড়া চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। পুতিন বলেন, সদিচ্ছার ইঙ্গিত হিসাবে রাশিয়া কিয়েভের আশেপাশের এলাকা থেকে তার সৈন্য প্রত্যাহার করার সাথে সাথেই ইউক্রেন চুক্তিটি প্রত্যাহার করেছে।
[৭] রাশিয়ার এই প্রত্যাহারকে পশ্চিমা সরকার এবং মিডিয়া ইউক্রেনের সামরিক বিজয় হিসাবে উপস্থাপন করেছিল এবং তারা জেলেনস্কির সরকারকে ভারী অস্ত্র ও সরঞ্জাম পাঠাতে শুরু করেছিল, যা পরবর্তী ১৮ মাসের জন্য সংঘাতকে উসকে দেয়।
![](https://amaderorthoneeti.com/new/wp-content/themes/amader-orthoneeti/img/sky.jpg)