![](https://amaderorthoneeti.com/new/wp-content/themes/amader-orthoneeti/img/sky.jpg)
দ্য ইকোনমিস্টের প্রতিবেদন ২০২৪ সালে তাপপ্রবাহ আরও বাড়তে পারে
বাবুল মানিক : [১] বৈশ্বিক গড় তাপমাত্রা কখন ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসকে ছাড়িয়ে যাবে? যা হবে প্রাক শিল্পযুগেরও চেয়েও বেশি। এমন কিছু দিন আছে যখন বৈশ্বিক গড় তাপমাত্রা ওই মাত্রাকে অতিক্রম করেছে, কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনো একক বছরই সামগ্রিকভাবে এত গরম ছিল না। কিন্তু ২০২৪ সালে এই পরিস্থিতির পরিবর্তন হতে পারে। [২] আবহাওয়া সংস্থাগুলো বার্ষিক গড় বৈশ্বিক তাপমাত্রা নির্ধারণের জন্য সারা বিশ্ব থেকে বছরজুড়ে তাপমাত্রার তথ্য সংগ্রহ করে। প্রতি জানুয়ারিতে প্রকাশিত এই সংখ্যা ২০ শতকের প্রথম দিক থেকে বেড়ে চলেছে, তবে তা পদ্ধতিগতভাবে নয়। গ্রিন হাউজগ্যাসের কারণেই বৈশ্বিক উষ্ণতা বাড়ছে। তাছাড়া বৈশ্বিক জলবায়ু ব্যবস্থার প্রাকৃতিক বৈচিত্রের কারণে কিছু বছর অন্য সময়ের চেয়ে বেশি গরম অথবা বেশি ঠান্ডা হয়। [৩] এই ধরনের সবচেয়ে বড় গরম ও ঠান্ডা চক্র হলো এল নিনো সাউদার্ন অসিলাটিও। এই প্যাটার্ন নিরক্ষীয় প্রশান্ত মহাসাগরের পানির মধ্যে ও তার উপরে শুরু হয়, যা গ্রীষ্মমন্ডলীয় ও তার বাইরে আবহাওয়াকে প্রভাবিত করে। লা নিনা, নিরপেক্ষ ও এল নিনো এই তিনটির মধ্যে বিকল্প হিসেবে রয়েছে এনসো। এর মধ্যে তুলনামূলকভাবে ঠাণ্ডা হলো লা নিনা। আর গরম হলো এল নিনো।
[৪] এই দুইটি প্যাটার্নেই আবহাওয়া পরিস্থিতি বিরূপ থাকে। ২০২০ সালের মাঝামাঝি থেকে ২০২৩ সালের প্রথম দিকে এনসো একটি লা নিনা প্যাটার্নে ছিল। এসময় বেশ কিছু আবহাওয়া প্যাটার্ন দেখা যায়। যেমন ২০২২ সালে পাকিস্তানের নজিরবিহীন বন্যা। দীর্ঘ লা নিনা সাময়িকভাবে বৈশ্বিক গড় তাপমাত্রাকে বিষণ্ণ করে, ঢেকে রাখে কার্বন ডাই অক্সাইডের ফলে সৃষ্ট উষ্ণতাকে। কিন্তু বিপরীত চিত্র দেখা যাবে ২০২৪ সালে। ২০২৩ সালের জুনে এনসো রূপান্তরিত হয় এল নিনোতে। জলবায়ু পরিবর্তনের এই প্রাকৃতিক ইভেন্টটি বৈশ্বিক উষ্ণতা আরও বাড়াতে সাহায্য করবে। [৫] সবশেষ এ ধরনের আবহাওয়া প্যাটার্ন ছিল ২০১৫-২০১৬ সালে। এতে ২০১৬ সালে বৈশ্বিক তাপমাত্রা রেকর্ড উচ্চতায় পৌঁছায়। সব ধরনের তথ্য সামনে এলে ২০২৩ হতে পারে বিশ্বের সবচেয়ে উষ্ণতম বছর। যদি তা না হয় তাহলে নিশ্চিতভাবেই ২০২৪। [৬] এর আগে গবেষকরা বলেছেন, চরম বৈশ্বিক এই তাপমাত্রা ২০২৩ সালের মতোই সম্ভবত ২০২৪ সালেও অব্যাহত থাকবে। ২০২৩ এখন পর্যন্ত রেকর্ড করা সবচেয়ে উষ্ণতম বছর হবে। [৭] কোপার্নিকাস ক্লাইমেট চেঞ্জ সার্ভিসের মতে, অক্টোবর সেপ্টেম্বরের মতো অস্বাভাবিকভাবে গরম ছিল না, কিন্তু তারপরও রেকর্ড ভেঙেছে। মাসটি জীবাশ্ম জ্বালানি পোড়ানোর সময়ের হিসাব করলে সেই সময়ের চেয়ে ১ দশমিক ৭ ডিগ্রি বেশি উষ্ণ ছিল। সূত্র : জাগোনিউজ
জাপানিজ অর্থনৈতিক অঞ্চলে আঞ্চলিক ওয়ান স্টপ সার্ভিস সেন্টার চালু
মো. আখতারুজ্জামান : [১] বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ কর্তৃক স্থাপিত ও এসএস সেন্টারের প্রথম আঞ্চলিক কেন্দ্র উদ্বোধন করা হয়। মঙ্গলবার এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের নির্বাহী চেয়ারম্যান শেখ ইউসুফ হারুন। এছাড়া গেস্ট অফ অনার (সম্মানিত অতিথি) হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত কিমিনরি ইওয়ামা বিশেষ অতিথি হিসেবে জাইকা বাংলাদেশের প্রধান প্রতিনিধি টোমোহিডি ইচিহুচি এবং বাংলাদেশ স্পেশাল ইকোনমিক জোনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক টারো কেয়াচি।
দেশি ও বিদেশি বিনিয়োগকারীদের শিল্প স্থাপন করার ক্ষেত্রে এ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তর হতে বিভিন্ন বিষয়ে অনুমোদন গ্রহণ করতে হয়। এসকল অনুমোদন গ্রহণ প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করতে বিনিয়োগকারীদের জন্য ওয়ান স্টপ সার্ভিস প্রদানের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়, যার মাধ্যমে একটি নির্দিষ্ট স্থান হতে বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগ সংক্রান্ত সকল ধরনের সেবা প্রদান করা যাবে। সে উদ্দেশ্যে বেজা’র উদ্যোগী ভূমিকায় ওয়ান স্টপ সার্ভিস আইন, ২০১৮ পাশ করা হয়। এ আইনের আওতায় ওয়ান স্টপ সার্ভিস (বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ) বিধিমালা, ২০১৮ জারির ফলে বিনিয়োগকারীদের সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে যথাসময়ে সেবা প্রদানের বাধ্যবাধকতার আওতায় আনা সম্ভব হয়েছে। জাইকার কারিগরী সহায়তায় ২৭টি ক্যাটাগরির ১২৫টি সেবা ওএসএস সেন্টার থেকে দেওয়া হচ্ছে, যার মধ্যে ৫৩টি অনলাইনে পাওয়া যাচ্ছে। বিনিয়োগকারীদের কোন সেবা কত দিনের মধ্যে দিতে হবে। আঞ্চলিক ওএসএস সেন্টার স্থাপনের ফলে বিনিয়োগকারী এবং ডেভেলপার উভয়েই জোন থেকেই প্রয়োজনীয় সেবা নিতে পারবেন, যা সেবা প্রদান প্রক্রিয়ায় গুণগত পরিবর্তন আনার সাথে সাথে দ্রুত ও কার্যকরী সিদ্ধান্ত গ্রহণে সহায়তা করবে। পর্যায়ক্রমে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্প নগরসহ সকল অর্থনৈতিক অঞ্চলের আঞ্চলিক ওএসএস সেন্টার স্থাপনের কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে।
অনুষ্ঠানে জাইকার প্রধান প্রতিনিধি বাংলাদেশ স্পেশাল ইকোনমিক জোনে প্রথমবারের মত আঞ্চলিক ওএসএস সেন্টার স্থাপনের জন্য বেজা, জোন কর্তৃপক্ষ এবং জাইকার সংশ্লিষ্ট সকলকে অভিনন্দন জানান। তিনি বলেন, জাপানিজ অর্থনৈতিক অঞ্চলে ব্যাপক অগ্রগতি সাধিত হয়েছে। প্রতিদিনই উন্নয়নের পট পরিবর্তন হচ্ছে, যা সত্যিই অসাধারণ। তিনি বলেন, বাংলাদেশ সরকারের দূরদর্শী পরিকল্পনায় পরিবহন ও যোগাযোগ ছাড়াও সকল খাতে অভূতপূর্ব উন্নতি সাধন করেছে এবং এর ফলশ্রুতিতে বিদেশী বিনিয়োগ বৃদ্ধি পাবে বলে তিনি আশা করেন।
অনুষ্ঠানের সম্মানিত অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত বলেন, জেট্রো’র প্রতিবেদন অনুযায়ী জাপানী বিনিয়োগকারীদের মধ্যে ৭০% এর বেশি বিনিয়োগকারী বাংলাদেশে বিনিয়োগে আস্থা ও সম্প্রসারণের বিষয়ে মতামত দিয়েছেন যা অত্যন্ত ইতিবাচক। তিনি উল্লেখ করেন, সেবা প্রদানের ক্ষেত্রে বিভিন্ন সংস্থার জটিল প্রক্রিয়াকে সহজীকরণে ওএসএস কেন্দ্রীয় এবং আঞ্চলিক কেন্দ্র নিঃসন্দেহে ভূমিকা রাখবে। বাংলাদেশ স্পেশাল ইকোনমিক জোনে প্রথম আঞ্চলিক ও এস এস কেন্দ্র স্থাপনের জন্য তিনি বেজাকে আন্তরিক ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের নির্বাহী চেয়ারম্যান বলেন, আঞ্চলিক ও এসএস কেন্দ্র স্থাপন বেজার জন্য একটি মাইলফলক। এসএস কেন্দ্র ক্রমান্বয়ে বিভিন্ন অর্থনৈতিক অঞ্চলে স্থাপন করা হবে। এর ফলে বিনিয়োগকারীরা সকল সেবা সংশ্লিষ্ট অর্থনৈতিক অঞ্চল থেকেই গ্রহণ করতে পারবেন।
তিনি বলেন, সরকারী সেবা প্রদান ইতোমধ্যে বিভিন্ন সংস্থায় বিকেন্দ্রীকরণের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে এবং বেজাও এটি অব্যাহত রাখবে। কারিগরী প্রকল্প অব্যাহত করার মাধ্যমে ও এসএস সেবা প্রদানের জন্য তিনি জাইকা এবং জাপান সরকারকে আন্তরিক ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।
অনুষ্ঠানে বেজা’র আওতায় জাপানিজ অর্থনৈতিক অঞ্চলের জন্য অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প’র মাধ্যমে ভূমি উন্নয়ন সম্পন্ন হওয়া ৮৮ একর ভূমি বাংলাদেশ স্পেশাল ইকোনমিক জোনকে হস্তান্তর করা হয়, যা পরবর্তীতে বিনিয়োগের জন্য বরাদ্দ প্রদান করা হবে। উল্লেখ্য ফেজ-১ এর মাধ্যমে প্রায় ২০০ একর ভূমি ইতোপূর্বে বিএসইজেড-কে হস্তান্তর করা হয়েছে।
![](https://amaderorthoneeti.com/new/wp-content/themes/amader-orthoneeti/img/sky.jpg)