অমিত খাঁন, শ্রীনগর (মুন্সীগঞ্জ) : উপজেলার বিভিন্ন স্থানে কোন কোন জমিতে আলুবীজ বপণের কর্মযজ্ঞ ব্যস্ত হয়ে উঠছেন আলু চাষীরা। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে ডিসেম্বরের মাঝামাঝি সময় এ অঞ্চলে পুরোদমে জমিতে বীজ বপণের কাজ শুরু হবে। গেল ঝূর্ণিঝড় মিধিলির প্রভাবে ফসলি জমিতে জলাবদ্ধতায় স্থানীয় কৃষকরা কিছুটা বিড়ম্বনায় পড়েন।
উপজেলার বীরতারা, আটপাড়া, কল্লিগাঁও, পাটাভোগ-হরপাড়া, তন্তর এলাকার কিছুকিছু জমিতে আলুবীজ বপণ করা হচ্ছে। বাকি সব আলুর জমিগুলো পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার পাশাপাশি হালচাষের অপেক্ষা আছে। তবে এসব এলাকার বিভিন্ন স্থানে এখনও অনেক জমিতে কাঁদামাটি ও পানি থাকায় আলু চাষীদের বীজ বপণ নিয়ে এ চাষের ভরা মৌসুম অতিক্রম করতে হতে পারে। এমনটাই ধারণা করা হচ্ছে।
জানা যায়, উপজেলার পূর্ব অঞ্চলের আটপাড়া, বীরতারা, তন্তর, কুকুটিয়া ও ষোলঘর ইউনিয়নের খৈয়াগাঁও-পুর্ব দেউলভোগ চকে ব্যাপক আলুর আবাদ করা হয়।
গেলবার প্রায় ২৪০০ হেক্টর জমিতে আলুর আবাদ করা হয়। এ বছর আলুর বাজার মূল্য উর্ধ্বগতির ফলে আলু চাষে স্থানীয়দের মাঝে আগ্রহ বেড়েছে।
স্থানীয় কয়েকজন কৃষক জানায়, আলুর এগ্রিমেন্ট জমির দাম বেড়েছে। প্রতি কানি জমিতে (১৪০ শতাংশ) আলু চাষে সর্বমোট খরচ পড়বে প্রায় ২ লাখ টাকা। সমপরিমাণ জমি ও এলাকার প্রকার ভেদে এই আলু চাষের খরচ কিছুটা কম-বেশি হতে পারে।
বুধবার বিকালে আলী আক্কাস, নুর হোসেনসহ কয়েকজন শ্রমিক বলেন, ৩ বেলা খাবার ও ৫০০ টাকা রোজ মজুরীতে আলুর জমিতে কাজ করছেন। আলুবীজ বপণের পর এখন জমি ঢাকা হচ্ছে। তবে মেঘলা আকাশ নিয়ে দুশ্চিন্তা করছেন জানান তারা।
স্থানীয় কৃষি অফিসার মোহসিনা জাহান তোরণ জানান, স্থানীয় আলু চাষীরা জমিতে ফসল আবাদের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে কিছুদিন পর থেকে পুরোদমে জমিতে বীজ বপণ শুরু হবে। স্থানীয় আলু চাষীদের সার্বিক পরমর্শ দেওয়া হচ্ছে।