১০২০ জন যাত্রী নিয়ে ঢাকায় এলো ‘কক্সবাজার এক্সপ্রেস’
বাবুল মানিক : [১] কক্সবাজার-ঢাকা রুটে রেল চলাচল গতকাল শুরু হয়েছে। শুক্রবার দুপুর সাড়ে ১২টায় হাজারো যাত্রী নিয়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে যাত্রা করে ‘কক্সবাজার এক্সপ্রেস’। [২] কক্সবাজার রেলওয়ের সহকারী স্টেশন মাস্টার আতিকুর রহমান জানান, বাণিজ্যিক যাত্রার প্রথমদিন ‘কক্সবাজার এক্সপ্রেস’ কক্সবাজারের আইকনিক রেলওয়ে স্টেশন ছেড়ে যায়। এর আগে সকাল থেকে যাত্রীরা স্টেশনে আসা শুরু করেন। বেলা ১১টা থেকে টিকেট চেক করে যাত্রীদের বগিতে তোলা শুরু হয়। এসময় ফুল ও চকলেট দিয়ে অভিবাদন জানানো হয় যাত্রীদের।
[৪] সূত্র মতে, কয়েক দফা পরীক্ষামূলক ট্রেন চলাচলের সফল কার্যক্রম শেষে গত ১১ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কক্সবাজার রেল সংযোগ উদ্বোধন করেন। এ সময় ডিসেম্বর থেকে দুটি ট্রেন চালুর নির্দেশনা দেন তিনি।
[৫] রেলওয়ের কক্সবাজারে বুকিং অফিসার নেজাম উদ্দিন গণমাধ্যমকে বলেন, শুক্রবার থেকে কক্সবাজার রুটে বাণিজ্যিকভাবে ট্রেন চলাচল শুরু হয়ে। দরিয়াপাড়ের এ ট্রেন নিয়ে মানুষের ব্যাপক আগ্রহ। আগামী ৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত ঢাকা থেকে কক্সবাজার ও কক্সবাজার থেকে ঢাকা রুটের সব টিকিট বিক্রি শেষ। [৬] কক্সবাজার আইকনিক রেল স্টেশনের মাস্টার ফরহাদ বিন চৌধুরী বলেন, বাণিজ্যিক ট্রেন চলাচলের সব প্রস্তুতি আগেই সম্পন্ন করা হয়েছিল। শুক্রবার বেলা সাড়ে ১২টায় কক্সবাজার স্টেশন থেকে ১০২০ যাত্রী নিয়ে প্রথম ট্রেনটি ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। রাত সাড়ে ১০টায় সমসংখ্যক যাত্রী নিয়ে ঢাকা থেকে আরেকটি ট্রেন কক্সবাজারের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাবে।
[৭] যাত্রী চাহিদার কারণে নতুন কক্সবাজার এক্সপ্রেস ট্রেনে বগির সংখ্যা দুটি বাড়িয়ে ২৩টি করা হয়েছে। এসব বগিত স্বাচ্ছন্দ্যে হাজারের অধিক যাত্রী আসা-যাওয়া করতে পারবেন। ঢাকা থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত শোভন চেয়ারের ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে ৬৯৫ টাকা। এসি চেয়ারের ভাড়া এক হাজার ৩২৫ টাকা, এসি সিটের ভাড়া এক হাজার ৫৯০ টাকা ও এসি বার্থের ভাড়া (ঘুমিয়ে যাওয়ার আসন) দুই হাজার ৩৮০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
[৮] অন্যদিকে চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত শোভন চেয়ারের ভাড়া ২০৫ টাকা, স্নিগ্ধা শ্রেণির ৩৮৬ টাকা, এসি সিটের ৪৬৬ ও এসি বার্থের ভাড়া ৬৯৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়। সূত্র : ডেইলি স্টার