আন্তঃজেলা বাস ঢাকার বাইরের টার্মিনাল ব্যবহার করবে : শেখ তাপস
নিজস্ব প্রতিবেদক : [১] আন্তঃজেলা বাস কাঁচপুর আন্তঃজেলা বাস টার্মিনালসহ ঢাকার অদূরে নির্মাণ হতে যাওয়া টার্মিনাল ব্যবহার করবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।
[২] আর ঢাকার অভ্যন্তরে পরিচালিত নগর পরিবহনগুলো সায়েদাবাদ, মহাখালী ও গাবতলী বাসটার্মিনাল ব্যবহার করবে বলে জানান তিনি। বুধবার সকালে কাঁচপুরে ঢাকা নগর আন্তঃজেলা বাস প্রান্ত (টার্মিনাল) নির্মাণের চলমান উন্নয়ন কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে গণমাধ্যমের সঙ্গে মতবিনিময়কালে মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস এ কথা বলেন।
[৩] শেখ তাপস বলেন, আমাদের যে বাস টার্মিনালগুলো আছে সেগুলো আশির দশকে করা হয়েছে। তখন শুধুমাত্র টার্মিনাল হিসেবে করা হয়েছিল। দ্বিতীয়ত ওই টার্মিনালগুলোকে ঘিরেই আন্তঃজেলা এবং সিটি বাস সব এক জায়গায় রাখা হতো। আমরা মনে করি যে, বাংলাদেশের যে অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রা সে প্রেক্ষাপটে এখন তা আর কার্যকর নয়। তাই বাস রুট রেশনালইজেশন কমিটির মাধ্যমে আমরা পরিকল্পনা নিয়েছি, আন্তঃজেলা বাসগুলোকে ঢাকার বাইরে রাখতে হবে। আর ঢাকার মধ্যে যে টার্মিনালগুলো রয়েছে সেখানে শুধুমাত্র নগর বাসগুলো তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করবে।
[৪] প্রাথমিকভাবে কাঁচপুর আন্তঃজেলা বাস টার্মিনাল চালু করা হবে জানিয়ে শেখ তাপস বলেন, ভূমি উন্নয়নের পাশাপাশি আমরা এখানে আরও কিছু কাজ শুরু করব। যেমন – সীমানা প্রাচীর দিতে হবে। কিছু অবকাঠামো নির্মাণ করতে হবে। আমরা পরিবহন মালিক-শ্রমিক নেতৃবৃন্দের সঙ্গে বৈঠকে বসব। কি ধরনের অবকাঠামো নির্মাণ করলে তারা সুষ্ঠুভাবে এখানে তাদের কার্যক্রমগুলো শুরু করতে পারবে, সে বিষয় নিয়ে আলাপ করে আমরা অবকাঠামো নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করব।
[৫] এ সময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মেয়র বলেন, শুধু কাঁচপুরে বাস টার্মিনালই নয় সমন্বিত অনেক কার্যক্রম এক সঙ্গে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। আমরা যেমন বাস রুট রেশনালাইজেশনের কার্যক্রমের আওতায় যাত্রাপথগুলোকে নির্ধারণ করছি তেমনি সায়েদাবাদ বাস টার্মিনালকে আরও আধুনিক করছি এবং সেটার পরিসর বৃদ্ধি করেছি। সেখানে আলাদা ডিপোর ব্যবস্থা করেছি। সব মিলিয়েই আমাদের কার্যক্রম চলমান এবং সমন্বিত সকল কার্যক্রম সম্পন্ন হওয়ার পরই আমরা পূর্ণ সুফল পাবো। আগামী বছর এটা চালু হয়ে গেলে চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের ১৬ জেলার বাসগুলো আর সায়েদাবাদ, মহাখালী, গাবতলী টার্মিনালগুলো ব্যবহার করতে পারবে না। সেগুলো কাঁচপুরে চলে আসবে এবং তারা ঢাকা শহরের ভেতরে আর প্রবেশ করবে না। তখন স্বাভাবিকভাবেই ঢাকার যানজট একটা সহনশীল পর্যায়ে চলে আসবে।
[৬] চলমান ভূমি উন্নয়ন কাজ প্রায় ৫০ শতাংশ শেষ হয়েছে এবং বাকি কাজ আগামী ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যে শেষ হবে বলে মেয়র জানান। এছাড়াও সীমানা প্রাচীরসহ অন্যান্য প্রাথমিক অবকাঠামো নির্মাণ কাজ আগামী বছরের মাঝামাঝি সময়ে শেষ হওয়ার আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
[৭] এ সময় অন্যান্যের মধ্যে করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান, সচিব আকরামুজ্জামান, প্রধান প্রকৌশলী আশিকুর রহমান, পরিবহন মহাব্যবস্থাপক মো. হায়দার আলী, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী কাজী মো বোরহান উদ্দিন, সম্পত্তি কর্মকর্তা মো. মুনিরুজ্জামান, নির্বাহী প্রকৌশলী রাজিব খাদেম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।