চট্টগ্রামে খাতুনগঞ্জে গুদাম থেকে উধাও পেঁয়াজ
শহিদুল ইসলাম, চট্টগ্রাম : হঠাৎ পেয়াজের বাজার বৃদ্ধির পর প্রশাসনের পক্ষ থেকে অভিযানের পর চট্টগ্রামে বৃহত্তম পাইকারি বাজার খাতুগঞ্জে গুদাম থেকে উধাও হয়ে গেছে বেশিরভাগ পেঁয়াজ। কিছু দোকানে পেয়াজ থাকলেও প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দেওয়ার জন্য বিক্রি করছে কারসাজির মাধ্যমে। এমনটি অভিযোগ সাধারণ ক্রেতাদের। তাদের অভিযোগ দু’একদিন আগেও যে সব গুদামে ভরপুর পেয়াজ ছিল হাঠাৎ করে এসব গুদামে পিয়াজ শূন্য দেখা যাচ্ছে। তারা বলেন, কিছু দোকানে পিয়াজ বিক্রি করছে তাও তাদের ইচ্ছা মতে। ১৫০ টাকা কেজি ধরে বিক্রি করছে কিন্তুু বিক্রি রশিদে লেখা হচ্ছে ১৩০ টাকা কেজি ধরে। ২০ টাকা কম দাম লেখার কারণ জানতে চাইলে তারা বলেন, প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দেওয়ার জন্য কারসাজি করছেন দোকানদারেরা।
ব্যবসায়িদের এমন কারসাজি বন্ধ করতে এবং দ্রব্যের গুদামজাতকরণ ঠেকাতে সাঁড়াশি অভিযানের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক।
রোববার সকালে আমদানি কারক ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে জেলা আইন শৃঙ্খলা কমিটির সভায় এমন হুঁশিয়ারি দেন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ খরুজ্জামান। তিনি বলেছেন, নগরে ও উপজেলাগুলোতে দ্রব্যমূল্যের উর্ধগতি ও গুদামজাতকরণ ঠেকাতে প্রয়োজনে সাঁড়াশি অভিযান হবে।
তিনি আরো বলেন, পেঁয়াজ ও আলুর দাম অস্বাভাবিক বৃদ্ধি পাওয়াসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের উর্ধ্বগতি তথা হঠাৎ করে পেঁয়াজ ও আলুর দাম অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পাওয়ায় তা রোধকল্পে তাৎক্ষণিক জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে চট্টগ্রাম এসব পণ্যের পাইকারী বাজার খাতুনগঞ্জ এবং পাহাড়তলী বাজারে অভিযান পরিচালনা করার ব্যবস্থা করা হয়। তাছাড়া উপজেলাগুলোতে সকল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে এ বিষয়ে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ প্রদান করা হয়।
জেলা প্রশাসক বলেন, দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি রোধে গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশের মাধ্যমে ব্যবস্থা গ্রহণের ব্যবস্থা নিয়ে হঠাৎ পেয়াজ আলুসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি রোধকল্পে ব্যবসায়ীমহল কর্তৃক রক্ষিত স্ব-স্ব গুদাম বা গোডাউনের হালনাগাদ তথ্য প্রদানের জন্য একটি ‘গণবিজ্ঞপ্তি’প্রচারের ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে চট্টগ্রাম অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে নির্রদেশনা দেওয়া হয়।
গণবিজ্ঞপ্তি প্রচারের পর সুনির্দিষ্ট গোডাউন বা গুদাম ব্যতীত অন্য কোন জায়গায় এসব পণ্যের গুদামজাত করার তথ্য পাওয়া গেলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে জেলসহ শাস্তির আওতায় আনার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে মর্মে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করা হয়।
এ সময় জেলা প্রশাসক ভোক্তা সাধারণকে এসব পণ্য ১ থেকে ২ কেজির অধিক ক্রয় করে সংকট সৃষ্টি না করার জন্যও অনুরোধ করেন।