জুবায়েরের আবিষ্কার যা দিয়ে রেল দুর্ঘটনা আগেই টের পাওয়া যায়
জুবায়ের মাহমুদ তারেক
২০১৪ সালে আমি আবিষ্কার করেছিলাম এমন একটা যন্ত্র, যেটার সাহায্যে রক্ষা পেতে পারতো অনেক দুর্ঘটনা। আমার আবিষ্কারটা ছিলো এমন একটা সেন্সর যেটার প্রতি পিছের আওতায় থাকবে ৫ টা স্টেশন। রেললাইন থেকে যখন কোনো রেল বিচ্ছিন্ন করা হবে, সাথে সাথেই আওতায় থাকা ৫ টি স্টেশনে ইমার্জেন্সি সেন্সরটা বেজে উঠবে, আর স্টেশনে থাকা সমস্ত কর্মি সতর্ক হয়ে যাবে, যে তাদের আন্ডারে থাকা কোথাও রেললাইন বিচ্ছিন্ন হয়েছে।
তৎক্ষণাৎ যে কোনো ট্রেনকে নিউজটা দিয়ে ট্রেনটি কে দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা করা সম্ভব ছিলো।
আমি এই আবিষ্কারের ফলে জেলা ভিত্তিক ২য় তম হই।
ভেবেছিলাম বড়দের নজরে আসবে বিষয়টা, কিন্তু ধুলোর আড়ালে হারিয়ে গেলো আমার সেই আবিষ্কারটা।
সেইদিন মনে ক্ষোভে বলেছিলাম এই দেশে অনেক কিছু আবিষ্কার করার মানুষ আছে কিন্তু কদর করার কেউ নেই,
অথচ আজকে সকালের দুর্ঘটনার কারণটা এটাই, হয়তো আমার সেই যন্ত্রটার উসিলায় আজকে এই দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেতো মোহনগঞ্জ ট্রেনটি।
এছাড়াও আরো অহরহ রেললাইন খুলে ফেলা, ভেঙে ফেলার ফলে দুর্ঘটনা হচ্ছে।
নতুন নতুন ট্রেন চালু করলেই যে রেল যোগাযোগ উন্নত হয় তা কিন্তু না, রেললাইন এবং রেল এ উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করার ফলেই রেল যোগাযোগ উন্নতি করা সম্ভব। তাই সরকারের কাছে বিনীত অনুরোধ, নতুন ট্রেন চালু না করে রেললাইন ও রেল যোগাযোগ ব্যবস্থায় উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে ট্রেন ও মানুষের জীবনের ঝুঁকি কমিয়ে দিন।
লেখয়: জুবায়ের মাহমুদ তারেক।
পটুয়াখালী প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, অনার্স ফাইনাল ইয়ার