সোহেল রহমান : [১] দেশের রপ্তানিকারকদের জন্য বিশেষ নগদ প্রণোদনার ১ হাজার কোটি টাকা ছাড় করেছে সরকার। সোমবার প্রণোদনার এ অর্থ ছাড় করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ। অর্থ মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিনের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে একথা জানানো হয়েছে।
[২] বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, দ্বিতীয় কিস্তিতে রপ্তানিমুখী দেশীয় টেক্সটাইল, হিমায়িত চিংড়ি এবং অন্যান্য মাছ, চামড়াজাত পণ্য এবং অন্যান্য অনুমোদিত খাতের রপ্তানির বিপরীতে নগদ প্রণোদনা এবং তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে ১ শতাংশ হারে বিশেষ নগদ প্রণোদনা ছাড় করা হয়েছে।
[৩] জানা যায়, চলতি ডিসেম্বরের মধ্যেই রপ্তানিকারকদের জন্য প্রাপ্য বকেয়া ৪ হাজার কোটি টাকার নগদ প্রণোদনা ছাড় করতে বাংলাদেশের নিট পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারকদের সংগঠন বিকেএমইএ’র পক্ষ থেকে ইতোপূর্বে অর্থ মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেয়া হয়েছিল। গত মাসে পোশাক শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি বাড়িয়ে ১২ হাজার টাকা অনুমোদন দেয়া হয়, এ প্রেক্ষাপটে বিকেএমইএ এ চিঠি পাঠিয়েছিল। [৪] চিঠিতে বিএকেএমইএ জানায়, বর্তমানে সর্বমোট ৪ হাজার কোটি টাকারও বেশি নগদ সহায়তা বাবদ বাংলাদেশ ব্যাংকে বকেয়া দাবি রয়েছে, যা এ খাতকে চরম আর্থিক সংকটে ফেলে দিয়েছে।
[৫] প্রাপ্ত তথ্যমতে, গত ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেটে পাট খাত ছাড়া অন্যান্য স্থানীয় রপ্তানিকারকদের জন্য ৭ হাজার ৮২৫ কোটি টাকা নগদ সহায়তা বা প্রণোদনা বরাদ্দ রাখা হয়েছিল।
[৬] এর আগে চলতি বছরের গত এপ্রিলেও রপ্তানিতে ভর্তুকির তহবিল থেকে দেড় হাজার কোটি টাকা ছাড় করতে সরকারকে অনুরোধ জানিয়েছিলেন পোশাক রপ্তানিকারকরা। এ সময় বলা হয়, ঈদুল ফিতরের আগে শ্রমিকদের বেতন-বোনাস দিতে কমপক্ষে দেড় হাজার কোটি টাকা প্রয়োজন হবে।