মনোয়ার রুবেল
আপনি যখন আগারগাঁও এ রাজস্ব বোর্ডের অফিসে ঢুকবেন মনে হবে কোন আন্তার্জাতিক সংস্থার অফিসে এসেছেন। নতুন ভবন, বড় অফিস, চমৎকার সব নেমপ্লেট। গেটে আপনাকে ভিজিটিং পাস নিয়ে ঢুকতে হবে।
ঝা চকচকে ফ্লোরের নিরাপত্তা ব্যবস্থায় মনে হতে পারে, বাংলাদেশ ব্যাংকের ভল্টে এসে পড়েছেন হয়তো। যদিও এখানে কোন টাকা থাকেনা। কিন্তু এই ভবনই সরকারের আয়ের মূল পরিকল্পক ও সংগ্রকারী।
এই নতুন অফিস পাওয়ার পরে এনবিআর আয়কর আইনও করেছে। পত্রিকায় দেখলাম নতুন অফিস, নতুন আইন পাওয়ার পরেও রাজস্ব আদায়ে ব্যর্থ হচ্ছে। গ্রাফটা খুবই খারাপই দেখাচ্ছে। এর একটি কারণ হতে পারে কর বিষয়ে জনভীতি বেড়েছে, টার্গেটেড ট্যাক্সপেয়ার চিহ্নিত করতে ব্যর্থতা, খাত বাছাই না করে যাচ্ছেতাই করারোপ করা হয়েছে।
বছরের শুরুতেই রাজস্ব কর্মকর্তাদের ফেসবুক পোস্ট চোখে পড়েছিল, সেখানে সরকারি ব্যাংকগুলোর কর্মকর্তাদের বেসরকারি বিবেচনায় আয়কর না দিলে অপ্রীতিকর অভিজ্ঞতায় সম্মুখীন হতে হবে লেখা ছিল। এনবিআর এর মতে সোনালী জনতা অগ্রনী বেসিক রুপালি এরা বেসরকারি। অথচ তাদের সবচেয়ে বড় স্টেকহোল্ডার (অংশীজন/সহযোদ্ধা) এরাই। এদের মাধ্যমেই সবচেয়ে বেশি কর আদায় করে। সম্পর্কের তিক্ততা দিয়ে আয়বর্ষ শুরু করেছিল বলা যায়।
এরপর আয়কর টার্গেট নির্ধারণ এ তাদের লক্ষ্যমাত্রা উচ্চবিলাসী ছিল কিনা তাও প্রশ্ন হতে পারে। বেতন খাতের সরকারি চাকুরিজীবীরাই বরাবর টার্গেটেড হওয়া ভালো কিছু হতে পারেনা। বেসরকারি খাতের বিশাল একটি অংশ করখাতের বাইরে থেকে। বলা হয়, ট্যাক্স ফাঁকির জন্য ফিফটি পার্সেন্ট ক্যাশ স্যালারি, ফিফটি পার্সেন্ট একাউন্টে যায় এমন একটি টার্ম বেসরকারি চাকুরিতে শোনা যায়। এদের আয়করের আওতায় নিতে এনবিআরের পরিকল্পনা থাকা উচিত ছিল। এই অফিসগুলো অডিটে আনা যেতে পারতো।
এরপর হুটকরে জমি রেজিস্ট্রি খরচে ট্যক্স বাড়ানোও সুখকর ছিল না। সাব রেজিষ্ট্রি অফিসগুলোতে দলিল শূণ্য সময় কাটাচ্ছেন ভেন্ডররা। এই খাতে আয় জিরোতে এসে দাঁড়াচ্ছিল প্রায়। ফ্রিল্যান্সারদের আয়ে ট্যাক্সের গুজব বা প্রাথমিক অভিযোগও একটি ধাক্কা ছিল। ডলার ক্রাইসিসে ইমপোর্ট কমে যাওয়ায় সেই খাতেও ট্যাক্স কমে গিয়েছে। সকল আন্তমুখী রেমিটেন্সে ট্যাক্স বাদ দিয়ে ডলার এর বিনাবাধায় ঢুকার সুবিধা দেয়া উচিত ছিল।।
এগুলোতো নীতিগত এরপর পৃষ্ঠা ২, সারি ১