ক্রেতারা দায়িত্বশীল হলে কাক্সিক্ষত মজুরি সম্ভব
মো. আখতারুজ্জামান : [১] শ্রমিকদের উৎপাদনশীলতা বাড়ানোর পাশাপাশি পোশাক কেনার ক্ষেত্রে বিদেশি ক্রেতারা দায়িত্বশীলতার চর্চা করলে শ্রমিকদের কাঙিক্ষত মজুরি দেওয়া সম্ভব। দেশের পোশাকশিল্পের সাফল্য টেকসই করতে ও শ্রমিকদের কল্যাণে যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও জাতিসংঘের সংস্থাগুলোর সহযোগিতা দরকার।
[২] গত রোববার রাজধানীতে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ (বিআইআইএসএস) আয়োজিত বিশ্ব অর্থনীতির ধীরগতি, বাংলাদেশের পোশাকশিল্প এবং শোভন কর্ম শীর্ষক সেমিনারে বক্তারা এ কথা বলেন।
[৩] বিআইআইএসএসের চেয়ারম্যান রাষ্ট্রদূত এএফএম গওসোল আযম সরকারের সভাপতিত্বে সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন প্রতিষ্ঠানটির গবেষণা পরিচালক মাহফুজ কবির। মূল প্রবন্ধে বলা হয়, উচ্চতর দারিদ্র্যসীমার গড় আয় ১৫ হাজার ৩২৮ টাকা হলেও পোশাক শ্রমিকদের নতুন বেতন কাঠামো অনুযায়ী ন্যূনতম মজুরি ১২ হাজার ৫০০ টাকা, যা সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়।
[৪] বাংলাদেশে তৈরি পোশাকের মূল্য এবং শ্রমিকদের উৎপাদনশীলতা দুটিই কম। এ দুটি বাড়ানো না গেলে মজুরি বাড়ানো সম্ভব নয়। অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর সাবেক অর্থনৈতিকবিষয়ক উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমান বলেন, ন্যূনতম মজুরি নির্ধারণের আগে সরকারকে শ্রমিকদের স্বার্থ ও মালিকদের সক্ষমতা দেখতে হয়।
[৫] শ্রমিকরা ন্যূনতম কত টাকা মজুরি পেলে শোভন জীবনযাপন করতে পারবেন এবং উদ্যোক্তারা কত টাকা বেতন দিলে শিল্পকে টিকিয়ে রাখতে পারবেন এসব বিবেচনায় নিয়ে ন্যূনতম মজুরি নির্ধারণ করা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে ভুল বোঝাবুঝির অবকাশ নেই।
[৬] পোশাক খাতের বিদ্যমান এবং আসন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সক্রিয় পদক্ষেপ নেওয়ার ওপর জোর দেন ড. মসিউর রহমান। এ জন্য সক্রিয় কূটনৈতিক তৎপরতা চালানো ও অংশীজনের মধ্যে বোঝাপড়া বাড়ানোর পরামর্শ দেন তিনি।
[৭] পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন বলেন, সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্সিয়াল মেমোরেন্ডাম দেশের তৈরি পোশাকশিল্পে কিছুটা শঙ্কা তৈরি করেছে। কারণ, এর মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের পণ্য প্রবেশের ক্ষেত্রে বাধা সৃষ্টি হতে পারে। বিধিনিষেধ দেওয়া হলে কাঁচামাল আমদানি এবং অন্যান্য দেশেও পোশাক রপ্তানিতে প্রভাব পড়তে পারে। এ চ্যালেঞ্জ উত্তরণে উদ্যোক্তা, ক্রেতা, উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা, পোশাক এরপর পৃষ্ঠা ২, সারি ১