নতুন বছরের দ্বিতীয় কার্যদিবসও শেয়ারবাজারে পতন
মাসুদ মিয়া : [১]দেশের শেয়ারবাজার নতুন বছরের প্রথম কার্যদিবসের ধারাবাহিকতায় বছরের দ্বিতীয় কার্যদিবসেও দর পতনের মধ্যে দিয়ে লেনদেন শেষ হয়েছে। তবে বিদায়ী বছরের শেষ কার্যদিবস উত্থান প্রবণতায় শেয়ারবাজারের লেনদেন শেষ হয়েছিল। এবিষয়ে বাজার সংশ্লিষ্টরা মনে করেন, বিনিয়োগকারীরা আশা করেছিল ২০২৪ সালের শুরুর দিনও শেয়ারবাজার ভালো থাকবে। কিন্তু বিনিয়োগকারীদের সেই আশায় ছন্দপতন হয়। [২]বছরের প্রথম দিনের মতো দ্বিতীয় দিনও শেয়ারবাজারে পতন হয়েছে। বরং দ্বিতীয় পতন ধারা আরও গভীর হয়েছে। গতকাল দিনের লেনদেন উত্থান প্রবণতার মধ্যেই শুরু হয়। লেনদেন শুরুর ২১ মিনিটের মাথায় প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ৬ পয়েন্টের বেশি বেড়ে লেনদেনও হচ্ছিল। এই সময়ে বড় বিনিয়োগকারীদের সেল প্রেসার বেড়ে যায়। ফলে সূচক চাপে পড়ে আগের দিনের কাছাকাছি নেমে আসে। তারপর বেলা সোয়া ১১টা ৫৫ মিনিটে সূচক আবারও ৭ পয়েন্ট বেড়ে লেনদেন হতে থাকে। এই সময়েও বড় বিনিয়োগকারীরা কম দামের কিছু শেয়ারের সেল প্রেসার বাড়িয়ে দেয়। ফলে বাজারে কিছুটা আতঙ্ক ছড়াতে থাকে। এই সময়ে সূচক আবারও ধাক্কা খেয়ে নিচে নেমে যায়। এরপর পতনের বৃত্তেই বাজারের লেনদেন চলতে থাকে। বেলা ২টার কিছু আগে বাজারে হঠাৎ সেল প্রেসার বেড়ে যায়। এই সময়ে কম দামে কারসাজির কিছু শেয়ার একে একে ক্রেতাশুন্য হতে থাকে। তখন ডিভিডেন্ড দেওয়া এবং ডিভিডেন্ড না দেওয়া কম দামী কোম্পানির শেয়ারে ঢালাও পতন দেখা যায়। এই সময়ে সূচক ডিএসইর সূচক আগের দিনের চেয়ে প্রায় ১২ পয়েন্ট নেমে যায়।
[৩]তবে শেষ বেলায় সূচক পতনের কিছুটা উন্নতি হয়। গতকাল ডিএসইতে যে পরিমাণ কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে, তার চেয় চার গুণের বেশি কোম্পানির শেয়ারদর কমেছে। তবে শেষ বেলায় বড় বিনিয়োগকারীদের বাই প্রেসারে লেনদেনে অনেক উন্নতি হয়েছে। যা বাজারের জন্য ইতিবাচক বলে মনে করছেন বাজার সংশ্লিষ্টরা।
[৪]গতকাল ডিএসইতে ৩৩২টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যার মধ্যে দর বেড়েছে ৩৪টির, কমেছে ১৩২টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১৬৬টির। এদিন ডিএসইতে ৫১৬ কোটি ৮৮ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যা আগের দিনে চেয়ে ৭৩ কোটি ১০ লাখ টাকা বেশি । আগের দিন ডিএসইতে লেনদেন হয়েছিল ৪৪৩ কোটি ৭৮ লাখ টাকার শেয়ার।
[৫]ডিএসই প্রধান বা ডিএসইএক্স সূচক ৯ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৬ হাজার ২৩৩ পয়েন্টে। অন্য সূচকগুলোর মধ্যে ডিএসইএস বা শরীয়াহ সূচক ১ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১ হাজার ৩৬০ পয়েন্টে এবং ডিএস৩০ সূচক ১ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৮৯ পয়েন্টে।
[৬]অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) ৬ কোটি ৫৩ লাখ ৪০ হাজার টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ১৪ কোটি ২৩ লাখ ৯৯ হাজার টাকার শেয়ার ও ইউনিট। সিএসইতে ২০০টি প্রতিষ্ঠান লেনদেনে অংশ নিয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ৩৫টির, কমেছে ৬৬টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৯৯টি প্রতিষ্ঠানের। আগের দিন সিএসইতে ২০৩টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। যার মধ্যে দর বেড়েছিল ৫১টির, কমেছিল ৫৬টির এবং অপরিবর্তিত ছিল ৯৬টি প্রতিষ্ঠানের।