ড. ইউনূস ভেবে ছিলেন নোবেলের তোড়ে সব ভাসিয়ে দিবেন
রেজ্জাকুল হায়দার চৌধুরী
শ্রম আদালতে তার বিচার হয়েছে। আইন লঙ্ঘনের দায়ে ৬ মাস জেল হয়েছে।রায়ের সাথে সাথে জামিনও পেয়েছেন। এরূপ আরো অনেক মামলা আছে। দুর্নীতি দমন কমিশনের দুইটি মামলা ছাড়া সব মামলার বাদী তার নিজ কোম্পানির চাকুরী হারানো কর্মীরা। এই মামলা বাতিলের জন্য তিনি সর্বোচ্চ আদালতে গিয়েছিলেন। সুপ্রিমকোর্ট বলে দিয়েছে মামলা বাতিলের আবেদন আইনসংগত নয় তাই খারিজ। নিম্ন আদালতে বিচার চলবে।
ইতোপূর্বে গ্রামীণ ব্যাংকের এমডি পদ রাখার জন্যও গিয়েছেলেন সুপ্রিমকোর্টে। ব্যাংকের এমডির নির্ধারিত বয়স ৬০। তিনি চাকরি করলেন ৭০ বছর বয়স পর্যন্ত। নোবেল জয় করলেন। এই আইনটুকু বুঝার মতো জ্ঞান তাহার নেই?
আসলে গ্রামীণ ব্যাংকের মধুর হাঁড়ি তাকে নেশাগ্রস্ত করে রেখেছিলো। এই গ্রামীন ব্যাংকের গরীবের টাকা ও সুনামে তার প্রায় পঞ্চাশটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান।
যে মামলায় তাকে শাস্তি দেয়া হলো তা নিজের কোম্পানির একটি ধারার কারনে। তার কোম্পানি টেলিকমের একটি ধারায় নিবন্ধিত ছিলো যে ঐ কোম্পানির লভ্যাংশের ৫% কর্মচারীগনকে দিবেন। এমন ধারা সংযোজন করায় তাহার কতো প্রশংসা। তিনি মানবিক। গরীবের বন্ধু। মগর লাভ কোম্পানির একাউন্টে জমা হলো।কিন্তু শ্রমিকগনকে দিলেন না এবং সাফ জানিয়ে দিলেন দিবেন না। শ্রমিকরা মামলা করলো। তার রচিত নিজ কোম্পানির আইনেই তিনি ফেঁসে গেলেন।
তিনি সৎ মহাপুরুষ। নিজেকে নিজে দান করে সেই দানের (!) টাকার ট্যাক্স মহকূফ করতে চাইলেন। সেখানেও কোর্ট কাঁচারি। সকল মামলায় তাহার আইনজীবীগনের যুক্তি তিনি নোবেল পুরষ্কার পেয়েছেন তার কোন দোষ নেই। আদালতে এখন পর্যন্ত কোন আইন হয়নি যে নোবেল পুরষ্কার পেলে ” সব অপরাধ মাফ তাই আদালত বিচার বিশ্লেষণ করে শাস্তি দিয়েছে। তবুও দোষ দেন শেখ হাসিনার। তাঁকে হয়রানি করা হয়। হিলারির ফোন, কেরির ফোন, শতাধিক নোবেল লরেটের বিবৃতিতে কি একটি দেশের আইন বদলে যাবে? তিনি বুঝেন সবই কিন্তু ভেবেছিলেন নোবেল পুরষ্কারের তোড়ে সব পার পেয়ে যাবেন।