সোহেল রহমান : জলবায়ু পরিবর্তনে ঝুঁকিগ্রস্থ পরিবারকে প্রদেয় সহায়তার আওতা বাড়াচ্ছে সরকার। পাঁচ দাতাসংস্থা ও সরকারের অনুদানে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে স্থানীয় সরকার বিভাগ-এর আওতাধীন স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর। এতে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৪১৫ কোটি টাকা। এর মধ্যে মোট অনুদানের পরিমাণ ৪১৩ কোটি ৯৪ লাখ টাকা এবং অবশিষ্ট ১ কোটি ৭ লাখ টাকা দেবে বাংলাদেশ সরকার। প্রকল্পটিতে অনুদান দিচ্ছেÑ ইউরোপীয় ইউনিয়ন, সিডা, ইউএনডিপি, ইউএনসিডিএফ ও ডেনমার্ক সরকার।
স্থানীয় সরকার বিভাগ সূত্রে জানা যায়, প্রথমে চার বছর মেয়াদী মূল প্রকল্পটি ২০১৭ সালের জুলাইয়ে শুরু করা হয়েছিল এবং এটি ২০২১ সালের জুনে শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু দাতাসংস্থার কাছ থেকে বাড়তি অনুদান পাওয়ায় প্রকল্পের আওতা ও মেয়াদকাল বাড়ানো হয়েছে। সংশোধিত প্রকল্পটির মেয়াদ ২০২৫ সালের জুনে শেষ হবে।
অন্যদিকে মূল প্রকল্পে ব্যয় ধরা হয়েছিল ১৬৭ কোটি ২০ লাখ টাকা। পওে এটি বাড়িয়ে ৩০৪ কোটি ৫৫ লাখ টাকা এবং সর্বশেষ ৪১৫ কোটি টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
সূত্র জানায়, লোকাল গভর্নমেন্ট ইনিশিয়েটিভ অন ক্লাইমেট চেঞ্জ (লজিক) শীর্ষক এ প্রকল্পটি দেশের ৫টি বিভাগের ৯টি জেলার ২৯টি উপজেলায় বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবেলায় দীর্ঘমেয়াদী অভিযোজন সক্ষমতা সৃষ্টি; জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলায় ঝুঁকিগ্রস্থ পরিবারসমূহের জীবিকার প্রয়োজনে অর্থায়নের ব্যবস্থা করা; দক্ষতা ভিত্তিক অর্থায়নের মাধ্যমে জলবায়ু ঝুঁকিগ্রস্থ জনগোষ্ঠির জন্য জলবায়ু অভিযোজন সক্ষম স্কীম বাস্তবায়ন করা এবং প্রতিষ্ঠানিক অভিযোজন ক্ষমতা বৃদ্ধির পাশাপাশি স্থানীয় থেকে জাতীয় পর্যায়ে সংযোগ বাড়ানো ইত্যাদি এ প্রকল্পের প্রধান উদ্দেশ্য। প্রকল্পের আওতায় সাড়ে ৪২ হাজার পরিবার পর্যায়ে কমিউনিটি রেসিলিয়েন্স অনুদান এবং উপজেলা পর্যায়ে ৪ লাখ ৫৭ হাজার পরিবারকে পারফরমেন্স বেসড ক্লাইমেট রেসিলিয়েন্স অনুদান দেয়া হবে।
সংশোধিত প্রকল্পে নতুন ২টি জেলায় (রাঙ্গামাটি ও বান্দরবান) প্রকল্পের কার্যক্রম সম্প্রসারণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে এবং জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ঝুঁকিগ্রস্থ অতিরিক্ত আরও ১ লাখ পরিবারকে সহায়তা প্রদান করা হবে। এছাড়া গ্রীণ ক্লাইমেট ফান্ড (জিসিএফ) থেকে অর্থ প্রাপ্তির লক্ষ্যে একটি প্রকল্প প্রস্তাব প্রণয়ন করা হবে।