কৃষি ও পর্যটন খাতের উন্নতি, বাড়বে কর্মসংস্থান তিন পার্বত্য জেলার পল্লী অবকাঠামো উন্নয়নে ব্যয় হবে ৭৩৩ কোটি টাকা
সোহেল রহমান : [১] দেশের পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলের গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে নতুন একটি প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। সম্পূর্ণ সরকারি অর্থায়নে চার বছর মেয়াদী পার্বত্য চট্টগ্রাম পল্লী অবকাঠামো উন্নয়ন শীর্ষক এ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে স্থানীয় সরকার বিভাগ-এর আওতাধীন স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে ৭৩২ কোটি ৮৮ লাখ টাকা।
[২] স্থানীয় সরকার বিভাগ সূত্রে জানা যায়, পার্বত্য চট্টগ্রামের রাঙামাটি জেলার ১০টি উপজেলা, বান্দরবান জেলার ৭টি উপজেলা এবং খাগড়াছড়ি জেলার ৯টি উপজেলায় প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে। পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলের গ্রামীণ জনসাধারণের কৃষি ও অ-কৃষি খাতে স্বল্প ও দীর্ঘ মেয়াদী কর্মসংস্থান সৃষ্টি; সার্বিক যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন, কৃষি উৎপাদন ও উৎপাদিত কৃষি পণ্য বাজারজাতকরণে সহযোগিতা এবং পর্যটন খাতের উন্নতি সাধন; পল্লী এলাকার দুঃস্থ নারীদের উন্নয়ন কর্মকান্ডে অংশগ্রহণে উৎসাহিত করা; পল্লী এলাকায় জরুরি চিকিৎসা সামগ্রী পৌঁছানোর লক্ষ্যে উন্নত সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা স্থাপন ইত্যাদি এ প্রকল্পের প্রধান উদ্দেশ্য। [৩] সূত্র জানায়, ৮ম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় গ্রামীণ সড়ককে দুর্যোগ সহনীয় ২ লেন সড়কে উন্নীতকরণ, গ্রামীণ সড়ক উন্নয়ন, সেতু নির্মাণ/পুনর্বাসন, ইউনিয়ন সড়কের ইন্টারসেকশন নিরাপদকরণ, গ্রোথ সেন্টার উন্নয়ন, বাজার উন্নয়নের বিষয়ে উল্লেখ রয়েছে। এছাড়া, টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট (এসডিজি)-এর অভীষ্ট নং-২-এ টেকসই কৃষির প্রসার এবং অভীষ্ট নং-৯-এ অভিঘাতসহনশীল অবকাঠামো নির্মাণ এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক ও টেকসই শিল্পায়নের কথা উল্লেখ রয়েছে। এ প্রেক্ষিতে প্রস্তাবিত প্রকল্পটি অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা এবং এসডিজি’র লক্ষ্যের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ।
[৩] সূত্র জানায়, প্রকল্পের আওতায় উল্লেখযোগ্য কার্যক্রমের মধ্যে রয়েছেÑ প্রকল্পের আওতায় নতুন নির্মাণ (ইউনি ব্লক দ্বারা উন্নয়ন); পেভমেন্ট শক্তিশালীকরণ ও পুনর্বাসন; ব্রীজ, কালভার্ট নির্মাণ; প্যালাসাইডিং; ইউনিয়ন সড়ক ও গ্রাম সড়ক উন্নয়ন ইত্যাদি।
[৪] সূত্রমতে, প্রকল্পটি বাস্তবায়নের মাধ্যমে রাঙ্গামাটি, বান্দরবান ও খাগড়াছড়ি জেলার সকল উপজেলার গ্রামীণ অবকাঠামোগত উন্নয়ন করা হবে। ফলে নিরবচ্ছিন্ন সড়ক নেটওয়ার্ক স্থাপিত হবে এবং প্রকল্প এলাকায় কৃষি ও অকৃষি পণ্যের পরিবহন ব্যয় হ্রাস পাবে এবং স্বল্প ও দীর্ঘ মেয়াদী কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে।