মো. আখতারুজ্জামান : [১] ব্যাংক খাতে প্রান্তিক জনগোষ্ঠী ও স্বল্প আয়ের মানুষদের সম্প্রক্ত করতে চাল করা হয় ১০, ৫০ ও ১০০ টাকার ব্যাংক হিসাব। এসব হিসাবে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জুলাই-সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে জমার পরিমাণ ১২ শতাংশ বেড়েছে। এসব হিসাবকে নো-ফ্রিলস অ্যাকাউন্ট (এনএফএ) নামে অবহিত করা হয়।
[২] এই নো-ফ্রিলস অ্যাকাউন্টে ন্যূনতম ব্যালেন্স বা সার্ভিস চার্জ/ফি নেই এবং সেপ্টেম্বর প্রান্তিকের পর এই অ্যাকাউন্টগুলোতে জমার পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ৮৪৯ কোটি টাকা।
[৩] বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, সেপ্টেম্বর প্রান্তিকের জমার পরিমাণ আগের প্রান্তিকের চেয়ে ৬ দশমিক ৮১ শতাংশ কম।
[৪] সমাজের সব স্তরের মানুষের আর্থিক সেবা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ ব্যাংকের বিভিন্ন উদ্যোগের আওতায় এসব অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছে।
[৫] সাধারণত চলমান সঞ্চয় হারের তুলনায় নো-ফ্রিলস অ্যাকাউন্টগুলোতে বেশি হারে সুদ দেওয়া হয়। এই ব্যাংকিং সুবিধাভোগীর মধ্যে আছেন- কৃষক, পোশাক শ্রমিক, অতি দরিদ্র, সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচির সুবিধাভোগীরাসহ অনেকে। [৬] গত বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ১০, ৫০ ও ১০০ টাকার হিসাবধারীরা ২০০ কোটি টাকা ও ৫০০ কোটি টাকার পুনঃঅর্থায়ন স্কিম থেকে ঋণ হিসেবে ৬২৭ কোটি ৪৪ লাখ টাকা সংগ্রহ করেছেন।
[৭] প্রবাসী আয় বিতরণেও নো-ফ্রিলস অ্যাকাউন্ট গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে। চলতি অর্থবছরের সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে এসব হিসাবে প্রবাসী আয় এসেছে ২৭ কোটি ৪৭ লাখ টাকা।
[৮] একই সময়ে এসব হিসাবের মাধ্যমে পাওয়া প্রবাসী আয়ের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৬৪২ কোটি ৬৮ লাখ টাকায়, যা আগের প্রান্তিকের চেয়ে ৪ দশমিক ৪৭ শতাংশ বেশি।
[৯] এনএফএগুলোতে স্কুল ব্যাংকিংও অন্তর্ভুক্ত আছে, যেখানে ১৮ বছরের কম বয়সী শিক্ষার্থীরা কেবল ১০০ টাকা জমা দিয়ে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলতে পারে।
[১০] তবে, এসব অ্যাকাউন্টে কৃষকদের ১০ টাকা জমা দিয়ে অ্যাকাউন্ট খোলার সংখ্যা বেশি, যা ১০, ৫০ ও ১০০ টাকার মোট অ্যাকাউন্টের ৩৮ দশমিক ১২ শতাংশ।
[১১] সামাজিক সুরক্ষা সুবিধা কর্মসূচির সুবিধাভোগীরা আছেন দ্বিতীয়তে, যা মোট এনএফএ’র ৩৬ দশমিক ৯১ শতাংশ। অতি দরিদ্ররা মোট নো-ফ্রিলস অ্যাকাউন্টের ১৩ দশমিক ১৫ শতাংশের মালিক।