রংপুর প্রতিনিধি : [১] গত কয়েক দিন ধরে রংপুর অঞ্চলে হিমেল হাওয়ার সঙ্গে জেঁকে বসা শীতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। মাঘ মাসের শুরু হতে আরও বাকি তিন দিন। বরাবরই মাঘের শীতে কাঁপুনি বাড়ে। কিন্তু এবার পৌষের ক্রান্তিলগ্নেই হাড়কাঁপানো শীত অনুভূত হচ্ছে।
[২] কনকনে শীত আর হিমেল হাওয়ায় চরম বিপাকে এ অঞ্চলের শীতার্ত মানুষ। শীতের তীব্রতা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ছিন্নমূল মানুষদের দুর্দশাও বেড়েছে। ভোর আর সন্ধ্যায় গ্রামে গ্রামে জটলা বেঁধে আগুন পোহানোর মাধ্যমে শীত নিবারণের চেষ্টা করছে অনেকেই। শীতের তীব্রতা থেকে বাঁচতে খড়কুটো জ্বালিয়ে আগুনের উষ্ণতা নিতে গিয়ে কোথাও কোথাও ঘটছে অগ্নিদগ্ধের ঘটনাও। কেউ কেউ শীত নিবারণে গরম পানি ব্যবহার করতে গিয়েও দগ্ধ হচ্ছেন।
[৩] রংপুর মেডিকেল কলেজ রমেক হাসপাতালে ১১ দিনের ব্যবধানে অগ্নিদগ্ধ হয়ে ৪২ জন রোগী ভর্তি হয়েছেন। দগ্ধ রোগীদের বেশির ভাগই নারী ও শিশু। এদের মধ্যে বার্ন ইউনিটে ১১ জন এবং বাকি ৩১ জনকে সার্জারি, শিশু ও মহিলা ওয়ার্ডে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
[৪] হাসপাতালের বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিট সূত্রে জানা গেছে, গতকাল শুক্রবার সকাল পর্যন্ত গত তিন দিনে দগ্ধ হয়ে পাঁচজন ভর্তি হয়েছেন। বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন ৪২ জন দগ্ধ রোগী। আক্রান্ত ব্যক্তিদের বেশির ভাগই নারী ও শিশু। তাদের কেউ কেউ শীত থেকে বাঁচার জন্য আগুন পোহাতে কিংবা কেউ শীত নিবারণে গরম পানি ব্যবহার করতে গিয়ে দগ্ধ হয়েছেন। [৫] চিকিৎসকরা বলছেন, গত তিন দিনে ভর্তি হওয়া পাঁচজনের মধ্যে দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। এদের কারও কারও শরীরের ১০-৪০ শতাংশ আবার কারও ৪০-৬০ শতাংশ পুড়ে গেছে। বেশির ভাগ দগ্ধ রোগী নিজেদের অসাবধানতাবশত দুর্ঘটনার শিকার হন।
[৬] এদিকে গত বুধবার থেকে গতকাল শুক্রবার সকাল পর্যন্ত এ তিন দিনে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া পাঁচজন হলেন কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার সাজু মিয়ার স্ত্রী ববিতা বেগম (৩৫), কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার আশরাফুল আলমের মেয়ে আয়শা সিদ্দিকা (৬), রংপুর মহানগরীর মুন্সিপাড়া এলাকার আলেয়া বেগম (৬৫), লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার সবুজ চন্দ্র রায়ের স্ত্রী পলি রানী (৩০) ও নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার মমিনুর ইসলামের স্ত্রী খাদিজা বেগম (৪০)। তারা খড়কুটো জ্বালিয়ে ও চুলার আগুনে এরপর পৃষ্ঠা ২, সারি ৩