সংকটে নারায়ণগঞ্জের সার্কুলার মেশিননির্ভর নিটিং শিল্প
নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি : [১] বহুমুখী প্রতিবন্ধকতায় লম্বা সময় ধরে নাজুক পরিস্থিতির মধ্যে রয়েছে নারায়ণগঞ্জের সার্কুলার মেশিননির্ভর নিটিং শিল্প। প্রয়োজন অনুযায়ী মিলছে না বড় অংকের ব্যাংক ঋণ। বিদ্যুৎ, শ্রমিকের মজুরি ও কাঁচামালের মূল্যবৃদ্ধির কারণে ব্যাপক চাপের মুখে ব্যবসায়ীরা। লোকসানের ভার সামাল দিতে না পেরে এরই মধ্যে বন্ধ হয়ে গেছে অনেক নিটিং কারখানা।
[২] শিল্পসংশ্লিষ্টরা বলছেন, নভেল করোনাভাইরাস মহামারীর কারণে সৃষ্ট সংকট কাটিয়ে এখনো ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি নিটিং শিল্প। তার ওপর স্থানীয় ও বিশ্ব অর্থনীতিতে চলমান অস্থিরতা, ডলারের বিনিময় হার বৃদ্ধি, ব্যাংকঋণ পরিশোধের চাপ ব্যবসায়ীদের আরো বৈরী পরিস্থিতির মুখে ঠেলে দিয়েছে।
[৩] বাংলাদেশ নিটিং ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন সূত্র জানায়, স্পিনিং মিলে উৎপাদিত সুতা থেকে নিট গার্মেন্টসের গ্রে কাপড় করে নিটিং কারখানাগুলো। আর এসব কারখানার বেশির ভাগেই ব্যবহার হয় সার্কুলার নিটিং মেশিন। বর্তমানে দেশে অ্যাসোসিয়েশনভুক্ত নিটিং কারখানার সংখ্যা সাড়ে ছয়শরও বেশি। এর মধ্যে নারায়ণগঞ্জেই আছে প্রায় ৩০০ কারখানা। দেশে ছোট-বড় মিলিয়ে এ খাতের কারখানা রয়েছে প্রায় দুই হাজারটি। মোট নিটওয়্যার রফতানির ৫-৬ বিলিয়ন ডলারের পণ্যের জোগান দেয় সার্কুলার নিটিং মেশিননির্ভর কারখানাগুলো।
[৪] অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সেলিম সারোয়ার বলেন, বর্তমানে সার্কুলার মেশিননির্ভর নিটিং শিল্পের অবস্থা খুবই নাজুক। বিশেষ করে কভিড-১৯ মহামারী শুরুর পর এ শিল্প রুগ্?ণ হয়ে পড়ে। এখন অবস্থা আরো খারাপের দিকে যাচ্ছে। লোকসানের বোঝা টানতে টানতে অনেক কারখানা বন্ধ হয়ে গেছে। আমরা খুব স্বল্প মজুরিতে সুতা থেকে কাপড় তৈরি করে নিট গার্মেন্টসে সরবরাহ করি।
[৫] প্রতি কেজি সিঙ্গেল জার্সি কাপড় তৈরি করতে আমাদের মজুরি নির্ধারণ করা আছে মাত্র ১৫ টাকা, আর নিট ফেব্রিক্সস ২০ টাকা। কিন্তু গত দুই-তিন বছরে বিদ্যুতের দাম দ্বিগুণ বেড়েছে। একই সঙ্গে বেড়েছে শ্রমিকের মজুরি ও নিট কাপড় তৈরির কাঁচামালের দাম। তার ওপর ফ্লোর ভাড়া, আনুষঙ্গিক খরচ বেড়ে যাওয়ায় ব্যাপক লোকসান গুনতে হচ্ছে। সবচেয়ে বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে মূল্য পরিশোধে বিলম্ব। আমরা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাপড় সরবরাহ করলেও এর পর পৃষ্ঠা ৭ সারি ১