পরিবেশ মন্ত্রণালয়কে ‘এক নম্বর’ করার লক্ষ্য সাবের হোসেনের
বিশ্বজিৎ দত্ত : পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের নবনিযুক্ত মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী বলেছেন, ‘আমরা চাই, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় যেন এক নম্বর হয়।’ এজন্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকাণ্ডে স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা প্রতিষ্ঠা করা হবে বলেও জানান তিনি। কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দায়িত্ব পালনে কোনও বিতর্ক সৃষ্টি বা তদবির গ্রহণযোগ্য হবে না বলেও হুঁশিয়ারি করেন তিনি।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিরঙ্কুশ জয় পেয়ে টানা চতুর্থবার সরকার গঠন করেছে আওয়ামী লীগ। নতুন মন্ত্রিসভায় পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন সাবের হোসেন চৌধুরী। সকালে প্রথমবারের মতো দফতরে এসে মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং আওতাধীন দফতর বা সংস্থার প্রধানদের সঙ্গে মন্ত্রণালয়ের কর্মকাণ্ড ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সম্পর্কে মতবিনিময় সভা করেন তিনি।
মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদের সভাপতিত্বে অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) ইকবাল আব্দুল্লাহ হারুন, অতিরিক্ত সচিব (জলবায়ু পরিবর্তন) সঞ্জয় কুমার ভৌমিক, অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) ড. ফাহমিদা খানম, পরিবেশ অধিদফতরের মহাপরিচালক ড. আবদুল হামিদ এবং বন অধিদফতরের প্রধান বন সংরক্ষক মো. আমীর হোসাইন চৌধুরীসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
মন্ত্রী সকাল ৯টায় মন্ত্রণালয়ে তার অফিস কক্ষে আসেন এবং সচিবসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলাপ করেন।
পরে মতবিনিময় সভায় সাংবাদিক ও কর্মকর্তাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন অগ্রাধিকার মূলক কর্মকাণ্ড অন্তর্ভুক্ত করে ১০০ দিনের কর্মপরিকল্পনা করে বাস্তবায়ন করা হবে। বায়ুদূষণ, শব্দদূষণ, পানিদূষণ, প্লাস্টিক-পলিথিন দূষণ এবং পাহাড় কর্তন রোধে স্টেক হোল্ডারদের পরামর্শ গ্রহণ করে সমাধানে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।