আমিনুল ইসলাম : [১] অনুমতি ছাড়া সিঙ্গাপুরে বিনিয়োগ বা অর্থ স্থানান্তর নিয়ে এস আলম গ্রুপের মালিক মোহাম্মদ সাইফুল আলমের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অনুসন্ধানে আরও তিন সপ্তাহ স্থিতাবস্থায় রাখতে আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
[২] সোমবার প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে চার সদস্যের আপিল বেঞ্চ আগামী ৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত স্থিতাবস্থা বজায় রাখতে আদেশ দেন। সাইফুল আলম ও তার স্ত্রী ফারজানা পারভীন সিঙ্গাপুরে কমপক্ষে ১ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন বলে একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে উঠে এসেছে। অনুসন্ধানে দেখা যায়, এস আলম গ্রুপ কখনোই বিদেশে বিনিয়োগ বা তহবিল স্থানান্তরের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমতি নেয়নি।
[৩] গত বছরের ৪ আগস্ট এ দেশের একটি শীর্ষ দৈনিকে এ নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশের পর সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ও নবনির্বাচিত সংসদ সদস্য সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন বিষয়টি আদালতের নজরে আনেন। পরে এর শুনানি নিয়ে ৬ আগস্ট বিচারপতি নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াত লিজুর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ স্বতঃপ্রণোদিত রুলসহ অভিযোগ অনুসন্ধান করতে নির্দেশ দেন।
[৪] মোহাম্মদ সাইফুল আলমের পক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী আজমালুল হোসেন যুক্তি দেন যে, হাইকোর্ট একটি সংবাদপত্রের প্রতিবেদনের ভিত্তিতে স্বতঃপ্রণোদিত রুলসহ অভিযোগ অনুসন্ধান করতে নির্দেশ দিতে পারেন না। আইনজীবী সুমনের মতো বিভিন্ন ব্যক্তি, যারা পক্ষভুক্ত নন তারা সাময়িকভাবে এই ধরনের মামলায় যুক্ত হন এবং রাজনৈতিক সুবিধার জন্য আদালত থেকে এই ধরনের রুল পান।
[৫] অন্যদিকে, এ অভিযোগের সত্যতা অনুসন্ধানে হাইকোর্টের আদেশ বাতিল চেয়ে করা লিভ-টু-আপিলে ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমনকে পক্ষভুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। যদিও এর আগে এই মামলায় পক্ষভুক্তি হতে আইনজীবী সুমন আবেদন করলেও সাইফুল আলমের আইনজীবীরা এর বিরোধিতা করেন এবং চেম্বার বিচারপতি ওই আবেদন খারিজ করে দেন।