চট্টগ্রামের বিপ্লব উদ্যানে স্থাপনা নির্মাণ বন্ধের দাবি এফপিসি’র
নিজস্ব প্রতিবেদক : [১] ষোলশহর বিপ্লব উদ্যানে স্থাপনা নির্মাণ বন্ধের দাবি জানিয়ে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনকে চিঠি পাঠিয়েছে পরিকল্পিত চট্টগ্রাম ফোরাম (এফপিসি)। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত সংগঠনের সাপ্তাহিক সভায় এ চিঠি পাঠানোর সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়। মঙ্গলবার এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। [২] সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক স্থপতি জেরিনা হোসেন সাক্ষরিত এ চিঠিতে বলা হয়, ১৯৬১ মহাপরিকল্পনায় নগরে পার্ক, খেলার মাঠ ও উন্মুক্ত পরিসরের অভাব নিয়ে বিশেষ শঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে। [৩] এই পরিসর কোনো নগরের জন্য বিলাসিতা নয়, বরং নগর জীবন ধারণের জন্য অপরিহার্য। নগরজীবনে সুস্থভাবে বেঁচে থাকার জন্য উপযুক্ত আলো-হাওয়া সমৃদ্ধ সবুজ মুক্তাঙ্গন যেমন- উদ্যান, খেলার মাঠ, পাহাড়, জলাশয় ইত্যাদি আবশ্যক। এ কথা কারো অজানা নয়, জলাশয়সহ সকল প্রকার উন্মুক্ত পরিসর তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ, বায়ু দূষণ ও নগর বন্যারোধে অত্যন্ত কার্যকর ভূমিকা পালন করে।
[৪] চিঠিতে আরো বলা হয়, চট্টগ্রাম মহানগরীর জন্য ১৯৬১ সাল থেকে আজ পর্যন্ত প্রণীত সবগুলো পরিকল্পনা ও মহাপরিকল্পনায় উন্মুক্ত পরিসরের পরিধি বাড়ানো ও এর যথাযথ সংরক্ষণের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু বাস্তবতা এই, নগরীতে উন্নয়নের নামে দিনদিন উন্মুক্ত সবুজ ভূমি ধ্বংস করা হচ্ছে যার কারণে নগরীর তাপমাত্রা আশংকাজনক হারে বৃদ্ধিসহ অন্যান্য পরিবেশগত বিপত্তি বাড়ছে।
[৫] প্রকৃতি বিনষ্টকারী এ সমস্ত কর্মকাণ্ড প্রকৃতপক্ষে টেকসই উন্নয়নের পরিপন্থি। সিটি কর্পোরেশন কর্তৃক গৃহিত যে কোনো উন্নয়ন পরিকল্পনা চট্টগ্রামের মহাপরিকল্পনার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ হওয়া বাঞ্ছনীয়। [৬] পরিশেষে, চট্টগ্রাম মহানগরীর তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ ও পরিবেশের সুস্থতার স্বার্থে, বিপ্লব উদ্যানে (উক্ত উদ্যানের ব্যবহারের সাথে সামঞ্জস্যহীন) সবরকম অবকাঠামো ভিত্তিক উন্নয়ন কাজ বন্ধ করে, প্রাকৃতিক সবুজ উদ্যান ফিরিয়ে আনার দাবি জানানো হয়।
[৭] সাপ্তাহিক সভায় উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সভাপতি অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক মুহাম্মদ সিকান্দার খান, সাধারণ সম্পাদক স্থপতি জেরিনা হোসেন, উপদেষ্টা শফিক হায়দার চৌধুরী, সহ-সভাপতি প্রকৌশলী এবিএ বাসেত, সহ-সভাপতি প্রকৌশলী সুভাষ বড়ুয়া, সহ-সভাপতি স্থপতি বিধান বড়ুয়া, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তাসলিমা মুনা এবং সদস্য স্থপতি আহমেদ জিন্নুর, স্থপতি শাহিনুল ইসলাম ও তানভীর পিয়াল।