প্রকল্প পরিচালকদের সমন্বয় করবেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব
এস.ইসলাম জয় : [১] কাজের গতি ফেরাতে প্রকল্প পরিচালকদের (পিডি) নিয়ে পুল গঠন করার প্রস্তব করা হয়েছে পরিকল্পনা কমিশনে। অনেক প্রকল্প পরিচালকদের প্রকল্প বাস্তবায়নে দক্ষতার ঘাটতি লক্ষ্য করা যায়। আবার চাকুরী শেষে প্রকল্পের কাজে নতুন করে সমন্বয়হীনতায় সময় মতো কাজ শেষ করা হয় না। এসব বিষয়ে সমন্বয় করার জন্য বিশেষজ্ঞ প্যানেলকে দায়িত্ব দেওয়া হবে। প্রধানমন্ত্রীর মূখ্য সচিবকে বিশেষজ্ঞ প্যানেলের সভাপতি রেখে পুল গঠনের প্রস্তাব ওঠে কমিশনে।
[২] গতকাল বুধবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে ৮ বছর পর বাংলাদেশ পরিকল্পনা কমিশনের তৃতীয় সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী ও পরিকল্পনা কমিশনের চেয়ারপারসন শেখ হাসিনা। সভা শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিং এ সভা শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী মেজর জেনারেল (অব.) আব্দুস সালাম এ তথ্য জানান।
[৩] প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উন্নয়ন কাজের ধারাবাহিকতা বজায় রাখার নির্দেশনা দিয়েছেন বলেও মন্ত্রী জানান। এছাড়া, প্রকল্পের ব্যয় ও সময় বৃদ্ধির প্রবণতা ত্যাগ করতে হবে। সেইসঙ্গে প্রকল্প গ্রহণের আগে সম্ভাব্যতা যাচাইয়ে গুরুত্ব দেন তিনি।
[৪] পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, প্রকল্প বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে ফিজিবিলিটি স্টাডিতে অর্থাৎ প্রকল্প নেওয়ার আগে সমীক্ষা যাচাই-বাছাইয়ে জোড় দিতে হবে। বেশিরভাগ প্রকল্পে বৈদেশিক ঋণ কমিয়ে দেশীয় অর্থের যোগান দেওয়া হবে।
[৫] তিনি বলেন, সঠিক সময়ে প্রকল্প বাস্তবায়নে প্রকল্পের ব্যয় ব্যবস্থাপনায় আরো নজরদারি বাড়াতে হবে। বিশেষ করে প্রকল্প বাস্তবায়নে সময়মতো অর্থ ছাড় করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে। এর আগে, ২০১৫ সালের ২১ জানুয়ারি পরিকল্পনা কমিশনের সর্বশেষ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছিল।
[৬] কমিশন জানায়, এবারের বৈঠকে পাঁচটি বিষয় নিয়ে আলোচনা হতে পারে। এগুলো হচ্ছে সরকারি বিনিয়োগের গতিধারা পর্যালোচনা, পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার প্রক্ষেপণের সঙ্গে এডিপি বাস্তবায়নের বরাদ্দের অসামঞ্জস্যতা এবং সরকারি খাতে উন্নয়ন প্রকল্প প্রণয়ন প্রক্রিয়াকরণ ও সংশোধন সংক্রান্ত নির্দেশিকা পরিমার্জন বা সংশোধন। এছাড়া নবম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা প্রণয়নের অগ্রগতি এবং সেক্টর বা বিভাগভিত্তিক উল্লেখযোগ্য বিষয়াদিও পর্যালোচনা করা হবে।
[৭] সূত্র জানায়, নতুন সরকার গঠনের পর পরিকল্পনা কমিশন ও জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদ (এনইসি) পুনর্গঠন করা হয় ১৮ জানুয়ারি। এ বিষয়ে দুটি প্রজ্ঞাপন জারি করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। প্রজ্ঞাপনে পরিকল্পনা কমিশনের গঠন বিষয়ে বলা হয়, এর চেয়ারপারসন থাকবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিকল্প চেয়ারপারসন অর্থমন্ত্রী, ভাইস চেয়ারপারসন পরিকল্পনামন্ত্রী এবং সদস্য হিসাবে থাকছেন পরিকল্পনা কমিশনের সদস্যরা। এছাড়া এই কমিশনের সদস্য সচিব থাকবেন পরিকল্পনা কমিশনের সচিব। এর আগে ২০১৫ সালে সর্বশেষ কমিশনের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছিল।
[৮] বৈঠকে কমিশনের বিকল্প চেয়ারপারসন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী, ভাইস চেয়ারপারসন পরিকল্পনামন্ত্রী আব্দুস সালাম, পরিকল্পনা কমিশনের সদস্যরা এবং গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার উপস্থিত ছিলেন।