বৃহৎ করদাতাদের কাছে বকেয়া রয়েছে ১৮ হাজার কোটি টাকা দ্রুত অবিতর্কিত বকেয়া ও বিতর্কিত মামলার নিষ্পত্তি করার আহ্বান কর কমিশনারের
আমিনুল ইসলাম:[৩] বকেয়া ও মামলায় বড় কোম্পানির কাছে আটকে আছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড–এনবিআরের বৃহৎ করদাতা ইউনিট-এলটিইউ’র ১৮ হাজার কোটি টাকা আয়কর। এসব বকেয়া দ্রুত জমা দিতে কোম্পানিগুলোকে নির্দেশ দিয়েছেন এলটিইউ কমিশনার। পাশাপাশি এডিআরে’র মাধ্যমে এসব বকেয়া পাওনা নিষ্পন্ন করে রাজস্ব আদায়ে সর্বাত্মক সহায়তা করার আহবান জানিয়েছেন বৃহৎ করদাতা ইউনিটের (এলটিইউ) কর কমিশনার মো. ইকবাল বাহার। বুধবার দুপুরে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে রাজস্ব ভবনে কর সম্মাননা অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
[৪] অনুষ্ঠানে ২০২২-২৩ অর্থবছরের সর্বোচ্চ করদাতা হিসাবে ১৪ ক্যাটাগরিতে ৫৪ সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে ‘বিশেষ সম্মাননা’ দেয় জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের বৃহৎ করদাতা ইউনিট (এলটিইউ)।
[৫] এসময় কর কমিশনার মো. ইকবাল বাহার আরো বলেন, আয়করের সিংহভাগই আদায় করে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড–এনবিআরের বৃহৎ করদাতা ইউনিট। কোম্পানি ও ব্যক্তি মিলিয়ে বিশেষায়িত এই ইউনিটে করদাতা প্রায় ১ হাজার ২০০। গত অর্থবছরে ২৯ হাজার কোটি টাকা লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে প্রায় ২৬ হাজার কোটি টাকা আদায় করে এই দপ্তর। চলতি অর্থবছরে তাদের লক্ষ্য ৩৫ হাজার কোটি টাকা।
[৬] কোম্পানিগুলো বড় হওয়ায় এখানে রাজস্ব বিরোধও বেশি। দপ্তরটির হিসাবে, করদাতাদের কাছে পাওনা ১৮ হাজার ৩২০ কোটি টাকা। যার ৫০৯ কোটি টাকার বিরুদ্ধে কোনো মামলা নেই। করদাতা সম্মাননা অনুষ্ঠানে এসব বিষয়ে করদাতাদের সহযোগিতা চান এলটিইউ কমিশনার।
[৭] তিনি আরো বলেন, ‘আপনাদের কাছে যে অবিতর্কিত বকেয়া আছে এগুলো পরিশোধ করে দেবেন। আর বিতর্কিত যে বকেয়া রয়েছে বিশেষ করে, উচ্চ আদালতে যে মামলা রয়েছে সেগুলো যদি এনবিআরের মাধ্যমে নিষ্পত্তি করা যায় কি না, এটা আপনারা ভেবে দেখবেন। উৎস কর্তনের যে বিধানগুলো রয়েছে সেগুলো যেন যথাযথভাবে পালন করা হয় এ ব্যাপারে সবার খেয়াল রাখারা পরামর্শ দেন তিনি। এসময় তিনি সঠিক হারে উৎসে কর আদায় করে নিয়মিত সরকারি কোষাগারে জমা দিতে কোম্পানি নির্বাহীদের প্রতি নির্দেশনা দেন। এছাড়া নির্ধারিত লেনদেনে রিটার্ন জমার প্রমাণপত্র নিশ্চিত করারও তাগিদ দেন তিনি।
[৮] ইকবাল বাহার বলেন, ‘যত বেশি আয় তত বেশি কর’- এই নীতিতে আয়কর একদিকে উন্নয়নের জন্য অর্থায়ন করছে অন্যদিকে সমাজের আয় ও সম্পদ বৈষম্য নিরসন করে কল্যাণমুখী রাষ্ট্র গঠনে ভূমিকা রাখছে। তাই আমাদের মোট রাজস্বে আয়করে হিস্যা বাড়াতে হবে, এর বিকল্প নেই। এটা ৫০ থেকে ৬০ ভাগে উন্নীত করতে হবে।