এসএমএস দিয়ে অস্থির করা হচ্ছে চালের বাজার : ভোক্তার ডিজি
বরিশাল প্রতিনিধি : [১] জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) এএইচএম সফিকুজ্জামান বলেছেন, একটি চক্র এসএমএসের মাধ্যমে গোটা চালের বাজারকে অস্থির করে রেখেছে। এটা যারা করছে তাদের বিরুদ্ধে আমরা প্রতিটি উপজেলা ও জেলায় কার্যকর ব্যবস্থা নেব। শনিবার বরিশাল নগরীর ফড়িয়াপট্টি ও চকবাজার এলাকার চালের পাইকারি বাজার পরিদর্শন শেষে মতবিনিময় সভায় এ মন্তব্য করেছেন তিনি।
[২] এএইচএম সফিকুজ্জামান বলেন, উত্তরবঙ্গে চালের বড় বড় কয়েকশ কল আছে। তারা একইভাবে জোটবদ্ধ হয়। সারা দেশে ধানের দাম বেড়েছে এমন প্রচার করে চালের দাম বাড়িয়ে দেয় এই চক্র। ১৭ কোটি ভোক্তাকে প্রতারিত করছে কতিপয় কয়েকটি স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠী। এর আগে আলু, ব্রয়লার মুরগি, ডিম নিয়ে যা করছে, আজ চাল, কাল পেঁয়াজ নিয়েও তা করা হচ্ছে। আর তাদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান রয়েছে আমাদের।
[৩] মহাপরিচালক বলেন, ধানের দাম যদি বেড়েও থাকে, সেই চালটা তো দুই মাস পরে অর্থাৎ বৈশাখ মাসে বাজারে আসবে। কিন্তু ১৫ দিনের ব্যবধানে আগের ধানের চালের দাম বাড়িয়ে দেওয়া অযৌক্তিক। আর অযৌক্তিক বিষয়ের বিরুদ্ধে আমরা কাজ করছি।
[৪] তিনি বলেন, ঠিক ১৫ থেকে ২০ দিনের ব্যবধানে একই মোকামের একই ভাউচারে একই চাল ৪ থেকে সাড়ে ৪ টাকা কম-বেশি হচ্ছে। অর্থাৎ ডিসেম্বরের শেষে যে চালটা এসেছে এবং জানুয়ারির ১০ থেকে ১২ তারিখে মাত্র কয়েক দিনের ব্যবধানে সেখানে ৪ টাকার ডিফারেন্স (পার্থক্য) ফরিদপুর ও কুষ্টিয়ার আড়ত থেকেই হচ্ছে।
[৫] সফিকুজ্জামান বলেন, বরিশালে তেমন কোনো ব্যৎয়য় পাওয়া যায়নি। তারা যে দামে চাল কিনছে আর তার ওপর সামান্য লাভ করেই বিক্রি করে দিচ্ছে। তবে এখানে হাজার হাজার চালের বস্তা রয়েছে। জেলা প্রশাসন ও ভোক্তা অধিদপ্তরের স্থানীয় কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে তারা যেন তদন্ত করে দেখে আগের কম দামের কেনা চাল স্টক করে বাড়তি দামে বিক্রি করছে কি না। কারণ স্টকের চাল যদি বাড়তি দামে বিক্রি হয়, সেটাও একটি বড় ঘাপলা।
[৬] তিনি আরও বলেন, বরিশাল বা যে সব জায়গায় পাইকারি ও খুচরা চাল বিক্রি হচ্ছে সেখান থেকে তথ্য নিচ্ছি আমরা। আর এখান থেকে তথ্য নিয়ে যে সোর্স থেকে দাম বাড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে সেখানে তদন্ত করব। ব্যৎয়য় ঘটলে প্রয়োজনে সিলগালা করে দেব, আইনের আওতায় নেব।
[৭] তিনি আসন্ন রমজান উপলক্ষে ডাল, চিনি, তেলসহ রমজানের পণ্য নিয়ে যাতে কারসাজি না করতে পারে সেজন্য জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর কাজ করছে বলে জানান।
[৮] বাজার পরিদর্শন শেষে জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের আয়োজনে চাল, ভোজ্য তেল ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য স্থিতিশীল রাখার লক্ষ্যে ব্যবসায়ী প্রতিনিধিসহ বিভিন্ন পর্যায়ের অংশীজনের অংশগ্রহণে মতবিনিময় সভায় যোগ দেন তিনি।