শ্রমিকরা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নামে ১০০ মামলা করেছে, সরকারের ১টি
বিশ্বজিৎ দত্ত : [১] শ্রম আইন লঙ্ঘনের দায়ে সরকারি কলকারখানা পরিদর্শন অধিদপ্তর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নামে শুধু ১টি মামলা করেছে। বাকি সমস্ত মামলাই করেছে শ্রমিকরা।
[২] কলকারখানা পরিদর্শন অধিদপ্তরের উপ মহাপরিদর্শক একেএম সালাউদ্দিন জানিয়েছেন, কোন প্রতিষ্ঠানে শ্রম আইনের লঙ্ঘন হলে অধিদপ্তর নিজেই বাদি হয়ে শ্রম আদালতে মামলা করতে পারে। ড. ইউনূসের প্রতিষ্ঠানে ৩টি সুস্পষ্ট শ্রম আইন লঙ্ঘন হয়েছে। তার প্রেক্ষিতে অধিদপ্তরের আইনজীবী বাদী হয়ে মামলা করেছে। তবে শ্রমিকরা উনার বিরুদ্ধে ১০০ মামলা করেছে। সেগুলো শুনানির বিভিন্ন পর্যায়ে রয়েছে। কলকারখানা পরিদর্শন অধিদপ্তরে শ্রমিকরা মামলা করতে পারে না। তবে তাদের অভিযোগ জানাতে পারে। আমরা শ্রম আইনের ১২৪এর ক ধারা মোতাবেক সেগুলোর সালিশ করতে পারি। কিন্তু শ্রমিকরা মামলা করেন শ্রম আদালতে।
[৪]এ বিষয়ে ঢাকা বিবিাগীয় শ্রম দপ্তরের পরিচালক আবু আশরিফ মাহমুদ বলেন, শ্রম আইন লংঘনের দায়ে শ্রমিকরা ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে শতাধিক মামলা করেছে।
[৫] শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালের রেজিস্টার অধীর বালা জানান, শ্রম আইন লঙ্ঘনের দায়ে ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে অনেক মামলা রয়েছে। শ্রমিকরা এসব মামলা করেছে। কলকারখানা পরিদর্শন অধিদপ্তর এ বিষয়ে মামলা করেছে শুধু একটি।
[৬] ড. মুহাম্মদ ইউনূস শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে হওয়া মামলার বিষয়ে আজ সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেছেন। এসময় তিনি বলেন, ‘সরকার বারবার বলছে, সকল পর্যায় থেকে বলছে এই মামলা সরকার করে নাই। আপনারা (সাংবাদিক) তো সাক্ষী। আপনারা কেউ তো কই কিছু বলছেন না। এটা কি সরকার করল নাকি শ্রমিক করল? আমাকে একটু জবাবটা দেন।এটা আবারো বলেন, যে এটা মিথ্যা কথা।’
[৭] কলকারখানা পরিদর্শন অধিদপ্তরের ১ মাত্র মামলার অভিযোগ বলা হয়, শ্রম আইন ২০০৬ ও শ্রম বিধিমালা ২০১৫ অনুযায়ী, গ্রামীণ টেলিকমের শ্রমিক বা কর্মচারীদের শিক্ষানবিশকাল পার হলেও তাঁদের নিয়োগ স্থায়ী করা হয়নি। প্রতিষ্ঠানে কর্মরত শ্রমিক বা কর্মচারীদের মজুরিসহ বার্ষিক ছুটি, ছুটি নগদায়ন ও ছুটির বিপরীতে নগদ অর্থ দেওয়া হয়নি। গ্রামীণ টেলিকমে শ্রমিক অংশগ্রহণ তহবিল ও কল্যাণ তহবিল গঠন করা হয়নি। লভ্যাংশের ৫ শতাংশের সমপরিমাণ অর্থ শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন আইন অনুযায়ী গঠিত তহবিলে জমা দেওয়া হয়নি।