বাংলাদেশের সঙ্গে চীনের কৌশলগত উন্নয়ন সম্পর্ক আরো বাড়বে
রাশিদুল ইসলাম: [২] ঢাকায় চীন দূতাবাসের মিনিস্টার কাউন্সিলর ইয়ান হুয়া লং বলেছেন বাংলাদেশের সঙ্গে তার দেশের কৌশলগত উন্নয়ন সম্পর্ক ভবিষ্যতে আরো বাড়বে। তিনি রোববার বিসিসিসিআই-ইআরএফ ‘বেস্ট রিপোর্টিং অ্যাওয়ার্ড’ অনুষ্ঠানে একথা বলেন। ১৭ জন সাংবাদিককে বাংলাদেশ-চীন দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ওপর পুরস্কার দেওয়া হয়।
[৩] বাংলাদেশ চায়না চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (বিসিসিসিআই) ও ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ) যৌথভাবে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। রাজধানীর সোনারগাঁ হোটেলে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু।
[৪] বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু বলেন, চীনের সঙ্গে বিশাল বাণিজ্য ঘাটতি মেটাতে দেশটি থেকে আমদানিকৃত পণ্যের শিল্পায়নে বাংলাদেশে বিনিয়োগ প্রয়োজন। আম বা সব্জির মত কোনো পণ্য রফতানি করে এতদ্রুত এ বাণিজ্য ঘাটতি মেটানো সম্ভব হবে না।
[৫] দ্বিতীয়বারের মতো বিসিসিসিআই ও ইআরএফ যৌথভাবে এ ধরনের অ্যাওয়ার্ডের আয়োজন করা হয়। এতে ইআরএফের ৬৮ জন সদস্য প্রতিবেদন জমা দেওয়ার পর বাংলাদেশ চীনের সম্পর্কের বিভিন্ন খাতভিত্তিক ৫টি ক্যাটাগরিতে ১৭টি রিপোর্টকে সেরা হিসেবে অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হয়েছে। অনুষ্ঠানে বিজয়ী রিপোর্টারদের ক্রেস্ট, সনদ ও ১ লাখ টাকা পর্যন্ত পুরস্কার দেওয়া হয়েছে।
[৬] বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী, এফবিসিসিআই প্রেসিডেন্ট মাহবুবুল আলম, বিসিসিসিআই প্রেসিডেন্ট ও সেক্রেটার, ইআরএফ সভাপতি রেফায়েত উল্লাহ মৃধাসহ অনুষ্ঠানে উপস্থিত অন্যান্যরা।
[৭] বিশেষ অতিথির বক্তব্যে এফবিসিসিআই প্রেসিডেন্ট বলেন, বাংলাদেশ একটি বিনিয়োগবান্ধব যায়গা। চীনের বিনিয়োগকারীরা এখানে বিনিয়োগ করতে পারেন।
[৮] ইআরএফ প্রেসিডেন্ট বলেন, চীনের বিনিয়োগকারীরা প্রজেক্ট ফাইন্যান্স করতে চায়। এটিও একটি ভালো দিক। তবে দেশের অবকাঠামো খাতে চীনা বিনিয়োগ আরো বেশি জরুরি।
[৯] এবছর চীনের বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনেশিয়েটিভ ও বাংলাদেশের উন্নয়ন, আর্টিফিসিয়াল ইনটেলিজেন্স, ফোর্থ ইন্ডাস্ট্রিয়াল রেভ্যুলেশনসহ দ্বি-পক্ষীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি হস্তান্তর ও অন্যান্য (ব্লু-ইকোনমি, ট্যুরিজম, কালচার, এজুকেশন, হসপিটালিটি) ক্যাটাগরিতে পুরস্কার দেওয়া হয়।
[১০] এ বছর প্রতিটি ক্যাটাগরিতে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় হিসেবে তিনজনকে পুরস্কৃত করা হচ্ছে। ক্রেস্ট ও সার্টিফিকেট ছাড়াও প্রথম পুরস্কারের অ্যাওয়ার্ড মানি এক লাখ টাকা, দ্বিতীয় পুরস্কারের অ্যাওয়ার্ড মানি ৭৫ হাজার টাকা ও তৃতীয় পুরস্কারের অ্যাওয়ার্ড মানি ৫০ হাজার টাকা।
[১১] প্রথম চারটি ক্যাটাগরিতে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় পুরস্কার হিসেবে ১২ জন বিজয়ী হয়েছেন। অন্যান্য ক্যাটাগরিতে প্রথম ও দ্বিতীয় বিজয়ীর পর তৃতীয় ক্যাটাগরিতে ইআরএফের তিনজন যৌথভাবে তৃতীয় হয়েছেন। অর্থাৎ, এ বছর সব মিলিয়ে ইআরএফের ১৭ জন সদস্য পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন। যৌথভাবে তৃতীয় হওয়া প্রত্যেকে ২০ হাজার টাকা করে পাবেন।
[১২] পুরস্কার বিজয়ীরা হলেন, দ্য ডেইলি স্টারের জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক আহসান হাবিব, সময়ের আলো পত্রিকার বাণিজ্য সম্পাদক এসএম আলমগীর এবং দ্য রিপোর্ট ২৪ ডট কমের জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক হাসান আরিফ, দৈনিক দ্য ফিনান্সিয়াল এক্সপ্রেসের বিশেষ প্রতিনিধি এফ এইচ হুমায়ুন কবীর, নিউজ টোয়েন্টিফোর টিভির জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক বাবু কামরুজ্জামান, একুশে টেলিভিশনের জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক তৌহিদুর রহমান, দ্য বিজনেস পোস্টের পরিকল্পনা সম্পাদক ইব্রাহিম হোসেন অভি ও দ্য ফিনান্সিয়াল এক্সপ্রেসের বিশেষ প্রতিনিধি দৌলত আক্তার মালা। আরও রয়েছেন, একাত্তর টিভির বিশেষ প্রতিনিধি সুশান্ত সিনহা, দ্য ফিনান্সিয়াল এক্সপ্রেসের বিশেষ প্রতিনিধি জসিম উদ্দীন হারুন, দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডের জৈষ্ঠ্য প্রতিবেদক মো. জাহিদুল ইসলাম, এনটিভির জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক হাসানুল আলম শাওন, চ্যানেল টোয়েন্টিফোরের বাণিজ্য সম্পাদক ইকবাল আহসান, দৈনিক দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডের প্রধান প্রতিবেদক আব্বাস উদ্দিন নয়ন, বৈশাখী টেলিভিশনের জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক তানজিলা খানম সাথী, দৈনিক যুগান্তরের জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক এস এ এম হামিদ-উজ-জামান ও দৈনিক আমাদের সময় পত্রিকার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জিয়াদুল ইসলাম।