এমডি আলী জামান
ডামুড্যায় এক নারী চিকিৎসককে পিটানী (মিডিয়া এই শব্দটিই বলেছে) দেয়া হয়েছে।তাকে রক্ষা করতে গিয়ে মার খেয়েছে ঐ চিকিৎসকের মা।পিটানী দিয়েছে এক ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধি।চিকিৎসকের অপরাধ -প্রেসক্রিপশনে তার কোম্পানির ওষুধ লেখেনি ঐ নারী চিকিৎসক।
ঠিকই তো..? এত বড় অপরাধের শাস্তি তো পেতেই হবে…!
ওষুধ কোম্পানীগুলোর প্রতিনিধিদেরও দোষ দেয়া যায় না…
তারা চিকিৎসকদের ভেট দেয়। নিজেদের কোম্পানীর ওষুধের প্রেস্ক্রিপশন লিখছে কিনা- তা সাথে সাথেই চেক করে।রোগীরা ডাক্তারের চেম্বার থেকে বেরুলেই তাদের উপরে ঝাঁপিয়ে পড়ে।প্রেস্ক্রিপশনের ছবি তোলে। রোগী আপত্তি করলে- তাকেও হেনস্থা করা হয়।
রাজধানী সহ সারা দেশের সরকারী হাসপাতালে এইটা নিত্যকার ঘটনা।
দিনে দিনে ওষুধের দাম বাড়ছে।নতুন স্বাস্থ্যমন্ত্রী এবং ওষুধ প্রশাসনের মহাপরিচালক এর কারণ জানাতে গৎবাঁধা উক্তি করেছেন।বলেছেন,কাঁচামালের মূল্যবৃদ্ধির কারনে এই মুল্যবৃদ্ধি।
শুধু কি কাঁচামালের মূল্যবৃদ্ধিই এর জন্যে দায়ী?
সবাই জানে, ওষুধের প্রেস্ক্রিপশন আর ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে কমিশন মেলে।দামী উপহার মেলে।সেই অর্থ যোগ হয়-ওষুধ আর সেবার দামের সাথে।
যারা টাকা দেয়,তারা তো চাহিদা পুরন না হলে- মরিয়া হয়ে উঠবেই…।তখন তারা ডাক্তার- ইঞ্জিনিয়ার দেখতে যাবে না। লেখক.ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প মালিক এসাসিয়েশনের সভাপতি