মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসছেন সরকারি বাহিনীর সদস্য ও আহত নাগরিকরা, বিজিবি হেফাজতে ২৬৪
বান্দরবান প্রতিনিধি: মঙ্গলবার বিকাল পর্যন্ত পালিয়ে আসা ২৬৪ জন বিজিবির হেফাজতে রয়েছে। এর আগে মঙ্গলবার সকাল ৯টার দিকে কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার পালংখালী ইউনিয়নের রহমতবিল সীমান্ত দিয়ে ১১৪ জন এবং ঘুমধুম, টেকনাফের সীমান্ত দিয়ে আরও ২ জন পালিয়ে আসে।
মঙ্গলবার বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদর দপ্তরের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরিফুল ইসলাম জানান, পালংখালী সীমান্ত দিয়ে এসেছে ১১৪ জন।
তিনি বলেন, ‘এখানে শুধু বিজিপি সদস্য নয়, সেনা বাহিনীর সদস্য, কাস্টমস সদস্য ও আহত মিয়ানমারের সাধারণ নাগরিক রয়েছে। এ মুহূর্তে কতজন আহত রয়েছে, বলা যাচ্ছে না। বিজিবি এদের হেফাজতে নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছে।
মঙ্গলবার সকাল ১০ টার দিকে কক্সবাজার উখিয়ার পালংখালী সীমান্ত দিয়ে অনুপ্রবেশের সময় বিজিপি সদস্যদের আটক করে বিজিবির কাছে হস্তান্তর করেন স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান এম গফুর উদ্দিন চৌধুরী।
তিনি বলেন, সকাল থেকে পালংখালী ইউনিয়নের থাইংখালীর রহমতের বিল সীমান্ত দিয়ে ১১১ জন বিজিপি সদস্য বাংলাদেশে ঢুকেছেন। স্থানীয় জনতা তাদের আটক করেছে। তাদের রহমতের বিল সহকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বিজিবির জিম্মায় দেওয়া হয়েছে। বিজিবি সদস্যরা তাদের অস্ত্র ও গোলাবারুদ জমা নিয়ে ফাঁড়িতে রেখেছেন বলে জানান তিনি।
আশ্রয় নেওয়া বিজিপি সদস্যদের মধ্যে বেশ কয়েকজন আহত রয়েছেন। বিজিবির তত্ত্বাবধানে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে এ পর্যন্ত ৯ জনকে চিকিৎসা সেবা দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে ৪ জনকে সোমবার রাতে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল কর্মকর্তা (আরএমও) মো. আশিকুর রহমান।রোববার থেকে সীমান্ত শিবির দখলকে কেন্দ্র করে মিয়ানমারের সামরিক জান্তা বাহিনীর সঙ্গে বিদ্রোহী দলগুলোর সংঘর্ষ চলছে। ক্রমাগত গুলি, মর্টার শেল ও রকেট বিস্ফোরিত হচ্ছে।
মিয়ানমার থেকে আসা গোলায় বাংলাদেশের বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলায় এক বাংলাদেশিসহ দুজন নিহত হয়েছেন।
গত তিন দিনের সংঘাতের সীমান্ত-লাগোয়া বিভিন্ন এলাকায় গুলি বা মর্টার শেষ পড়লেও সোমবার দুপুরে মৃত্যুর ঘটনা পরিস্থিতি পুরোপুরি বদলে দিয়েছে।