তেলে ভ্যাট, চিনি চাল খেজুরে আমদানি শুল্ক কমলো
সোহেল রহমান : [১] প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী আসন্ন রমজানে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম স্বাভাবিক রাখতে চাল, চিনি, তেল ও খেজুরে ভ্যাট (মূসক) ও আমদানি শুল্ক কমিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। এর মধ্যে খেজুরে আমদানি শুল্ক ১০ শতাংশ, চালে নিয়ন্ত্রণমূলক ২০ শতাংশ, তেলে মূসক ৫ শতাংশ ও চিনিতে শুল্ক প্রত্যাহার করা হয়েছে। আগামী ৩০ মার্চ পর্যন্ত খেজুরে, ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত ভোজ্যতেলে, ৩১ মার্চ পর্যন্ত চিনিতে ও ১৫ মে পর্যন্ত চালে এ সুবিধা বলবৎ থাকবে।
[২] বৃহস্পতিবার এ চার পণ্যের ভ্যাট ও শুল্ক-সংক্রান্ত পৃথক চারটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে এনবিআর। এ সিদ্ধান্ত অবিলম্বে কার্যকর হবে বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে।
[৩] প্রসঙ্গত: গত ৩০ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে আসন্ন রমজান উপলক্ষে চাল, ভোজ্যতেল, চিনি ও খেজুরÑ এ চার নিত্য পণ্যের ওপর শুল্ক কমানোর নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এছাড়া আসন্ন রমজান উপলক্ষে উল্লেখিত চার পণ্যে শুল্ক কমাতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকেও এনবিআর-কে চিঠি দেয়া হয়েছিল।
[৪] নতুন প্রজ্ঞাপনে পরিশোধিত-অপরিশোধিত প্রতিটন চিনি আমদানিতে শুল্কহার ১ হাজার ৫০০ টাকা টাকা থেকে কমিয়ে ১ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর বাইরে অপরিশোধিত চিনি আমদানিতে ১৫ শতাংশ ভ্যাট, ২ শতাংশ অগ্রিম আয়কর (এআইটি), ৩ শতাংশ অগ্রিম কর (এটি) এবং ৩০ শতাংশ নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক (আরডি) রয়েছে। আর পরিশোধিত চিনিতে বর্তমানে ভ্যাট ১৫ শতাংশ, এআইটি ৫ শতাংশ, এটি ৫ শতাংশ এবং আরডি রয়েছে ৩০ শতাংশ।
[৫] প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, ভোজ্যতেলে ভ্যাট ১৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে। বর্তমানে বছরে ২০ লাখ টন ভোজ্যতেলের চাহিদা রয়েছে। এর মধ্যে ২ লাখ টন স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত হয়। বাকি ১৮ লাখ টন আমদানি করতে হয়।
[৬] রমজানে খেজুরের চাহিদা থাকে বেশি। চলতি অর্থবছরে খেজুরের ওপর বেশি শুল্ক-কর আরোপ করা হয় বলে ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করে করেন। জানা যায়, দেশে বছরে প্রায় ৫০ হাজার টন খেজুরের চাহিদা রয়েছে, যার পুরোটা মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো থেকে আমদানি করা হয়। খেজুরের মানও বিভিন্ন ধরনের। বর্তমানে খেজুরে আমদানি শুল্ক ২৫ শতাংশ। এছাড়া ১৫ শতাংশ ভ্যাট, ৫ শতাংশ এআইটি, ৫ শতাংশ এটি এবং ৩ শতাংশ আরডি রয়েছে। নতুন প্রজ্ঞাপনে খেজুর আমদানিতে শুল্ক হার ২৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১৫ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে।
[৭] অন্যদিকে চাল আমদানিতে আরডি বা নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক ২৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ করা হয়েছে। এছাড়া চাল আমদানিতে ২৫ শতাংশ শুল্ক প্রত্যাহার করা হয়েছে।