মো. আখতারুজ্জামান : [১] হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বৈদেশিক মুদ্রা সংগ্রহে অনিয়মের কারণে সরকারি- বেসরকারি ৯টি ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীদের সতর্ক করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। একইসঙ্গে অনিয়মে জড়িত কর্মকর্তাদের বদলি করতেও তাদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
[২] সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর কাজী ছাইদুর রহমানের নেতৃত্বে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকগুলোর নির্বাহীদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে ব্যাংকগুলোকে সর্তককরণের পাশাপাশি জড়িত কর্মকর্তাদের বদলির নির্দেশ দেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
[৩] জানা যায়, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বৈদেশিক মুদ্রা সংগ্রহে অনিয়মে রাষ্ট্রায়ত্ত চারটি ব্যাংকের সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে। ব্যাংকগুলো হচ্ছেÑ সোনালী, জনতা, অগ্রণী ও প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক। অপর ৫টি হচ্ছে বেসরকারি বাণিজ্যক ব্যাংক। এগুলো হচ্ছেÑ পূবালী, যমুনা, সিটি ব্যাংক, মিচুউয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক ও স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক।
[৪] জানা যায়, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বৈদেশিক মুদ্রা সংগ্রহে অনিয়মে বিষয়ে সম্প্রতি দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)-এর কাছে একটি লিখিত অভিযোগ আসে। অভিযোগের ভিত্তিতে গত সোমবার শাহজালাল বিমানবন্দরে অভিযান চালায় দুদকের একটি দল। অভিযানে অভিযোগের সত্যতা মেলে।
[৫] দুদক সূত্রে জানা যায়, শাহজালাল বিমানবন্দর হয়ে যে বৈদেশিক মুদ্রা আসে, তা ব্যাংকিং চ্যানেলে রিজার্ভে জমা হওয়ার কথা। কিন্তু কিছু অসাধু কর্মকর্তা ব্যাংকিং চ্যানেলে না দেখিয়ে ডলার কিনে খোলাবাজারে বিক্রি করে দিচ্ছেন। পরে অনেক সময় তা বিদেশে পাচার হয়ে যায়।
[৬] দুদক-এর অভিযানে দেখা যায়, বিদেশ থেকে আসা যাত্রীরা শাহজালাল বিমানবন্দরে বেশি বিনিময় করেন ডলার, ইউরো, রিয়াল, রিঙ্গিত, পাউন্ড ও দিনার।
[৭] প্রসঙ্গত: প্রবাসী কর্মজীবী ও বিদেশ থেকে আসা বাংলাদেশের ভ্রমণকারীরা তাদের সঙ্গে আনা বিদেশি মুদ্রা বিমানবন্দরে থাকা ব্যাংকের বুথ ও মানি এক্সচেঞ্জারে বাংলাদেশি টাকায় এনক্যাশমেন্ট করে থাকেন। নিয়ম অনুযায়ী, ফরেন কারেন্সি এনক্যাশমেন্ট ভাউচার গ্রাহককে দিতে হয়। কিন্তু ব্যাংক ও মানি এক্সচেঞ্জারের কিছু কর্মকর্তা ভাউচার না দিয়ে বা জাল ভাউচার দিয়ে সরাসরি বৈদেশিক মুদ্রা নিয়ে এর বিনিময়ে টাকা দিয়ে দেন, যা মানি লন্ডারিং।