মো. আখতারুজ্জামান : [১] জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) তথ্য অনুযায়ী, ২০১৩ সালে সালে দেশে টিআইএনধারী ছিল ১৬ লাখের মত। সেই হিসেবে, এক দশকে টিআইএন-হোল্ডার বেড়েছে ৬ গুণেরও বেশি।
[২] দেশে ট্যাক্স আইডেন্টিফিকেশন নম্বর-হোল্ডার (টিআইএন) এক কোটি ছাড়িয়েছে। গত বৃহস্পতিবার এই সংখ্যা ১ কোটির মাইলফলক পার করেছে। এর মধ্যে প্রায় দেড় লাখের মত কোম্পানি ও ফার্ম, বাদবাকীরা ব্যক্তি বা কর শনাক্তকরণ নম্বর বা টিআইএনধারী।
[৩] জানা যায়, বর্তমানে টিআইএন নেওয়া এবং রিটার্ন সাবমিশনের হার বেড়েছে। প্রতিদিন গড়ে ১০ হাজার করে টিআইএন নেওয়া হচ্ছে।
[৪] এনবিআর ৪৩টি সেবা নেওয়ার ক্ষেত্রে প্রুফ অব সাবমিশন অব রিটার্ন (পিএসআর) বাধ্যতামূলক করায় অনেকে বাধ্য হচ্ছে টিআইএন নিতে। কারণ টিআইএন ছাড়া রিটার্ন সাবমিশন করা বা এর প্রমাণ দেখাতে পারবে না। এজন্য টিআইএনধারী বাড়ছে, রিটার্ন সাবমিশনও বাড়ছে।
[৫] অবশ্য এনবিআরের বর্তমান বিধান অনুযায়ী, প্রায় সব টিআইএন-ধারীর ট্যাক্স রিটার্ন সাবমিট করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। কিন্তু এনবিআরের হিসাব অনুযায়ী, গত এক সপ্তাহ আগ পর্যন্ত রিটার্ন সাবমিশন হয়েছে ৩৬ লাখের মত। অর্থাৎ টিআইএন-ধারীর প্রায় দুই তৃতীয়াংশই রিটার্ন সাবমিট বা তাদের আয়-ব্যয়ের হিসাব সরকারকে জানাচ্ছেন না।
[৬] তবে গত ৫ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর আগারগাঁওয়ের রাজস্ব ভবনে এক অনুষ্ঠানে এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রাহমাতুল মুনিম বলেছেন, আগামী জুনের মধ্যে রিটার্ন জমা ৪০ লাখে পৌঁছাবে।
[৭] তিনি বলেন, ২০২০ সালে ট্যাক্স রিটার্ন সাবমিশন এর সংখ্যা ছিল ২১ লাখ, যা ২০২৪ সালে ৪০ লাখে (আগামী জুন নাগাদ) উন্নীত হতে যাচ্ছে। অর্থাৎ চার বছরে রিটার্ন জমা বাড়বে দ্বিগুণ।