সবুজ প্রবৃদ্ধি অর্জনে বাংলাদেশের দরকার শত বিলিয়ন ডলার, খসড়া কৌশলপত্রের তথ্য
অর্থনীতি ডেস্ক : [১] বাংলাদেশকে এর সর্বোচ্চ স্তরের জলবায়ু-প্রশমন লক্ষ্যমাত্রা এবং উচ্চাকাঙক্ষায় পৌঁছাতে আগামী দুই দশকের জন্য কমপক্ষে ২০০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ প্রয়োজন। [২] অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ধরে রাখতে এবং আরও এগিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে বাংলাদেশ জ্বালানি, উৎপাদন, পরিবহন ও কৃষি খাতকে সবুজ করতে চায়। বিশাল এ উদ্যোগের জন্য আগামী দুই দশকে জলবায়ু অর্থায়নে ২০০ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি প্রয়োজন হবে বলে সরকারের জন্য বিশ্বব্যাংকের তৈরি করা একটি নথিতে বলা হয়েছে।
[৩] সরকারের বিভিন্ন জলবায়ু-সম্পর্কিত এজেন্ডা এবং কর্মপরিকল্পনার জন্য করা প্রাক্কলন ও গবেষণার উদ্ধৃতি দিয়ে ডিজাইনিং দ্য বাংলাদেশ গ্রিন গ্রোথ ভিশন অ্যান্ড ফাইন্যান্সিং অপশন শীর্ষক ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশকে পরিবেশ সুরক্ষা এবং জলবায়ু পরিবর্তন সম্পর্কিত কর্মসূচিতে ব্যয় বাড়িয়ে ২০৩১ সালের মধ্যে জিডিপির ৩ শতাংশ এবং ২০৪১ সালের মধ্যে সাড়ে ৩ শতাংশ করতে হবে।
[৪] বিশ্বব্যাংক গ্রুপ এবং গ্রিন গ্রোথ ফর বাংলাদেশ-এর যৌথভাবে তৈরি করা এ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পরিপূরক পরিকল্পনা ও উদ্যোগ সম্পূর্ণরূপে বাস্তবায়নের জন্যও কয়েক বিলিয়ন ডলার প্রয়োজন হবে।
[৫] ২০২৩ সালের জুন মাসে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের ইআরডি কাছে পেশ করা প্রতিবেদনটি ৮ম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা এবং বাংলাদেশ প্রেক্ষিত পরিকল্পনা ২০৪১-এ পরিকল্পিত বাংলাদেশ সরকারের সবুজ প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা বাস্তবায়নের জন্য একটি কাঠামোর প্রস্তাব দিয়েছে।
[৬] প্রতিবেদনে মূল বিষয়ভিত্তিক অগ্রাধিকারক্ষেত্রগুলো চিহ্নিত করে খাতভিত্তিক আলোকপাতসহ সবুজ এবং জলবায়ু-সহনশীল উন্নয়ন নীতি ও বিনিয়োগের ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। [৭] সবুজ অর্থনীতিতে স্থানান্তরিত হওয়ার জন্য আরও বেশিকিছুরও দরকার হতে পারে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। কারণ সবুজ প্রবৃদ্ধির নীতিমালায় অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য একটি কৌশলগত দৃষ্টিভঙ্গিকে ধারণ করা হয় যা পরিবেশ সংরক্ষণ ও সুরক্ষার ক্ষেত্রে দক্ষতা এবং স্থায়ি ত্বকে অগ্রাধিকার দেয়। [৮] বিশ্বব্যাংকের ২০১৮ সালের এক হিসাব অনুযায়ী, পরিবেশগত অবনতি থেকে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ক্ষতি বছরে প্রায় সাড়ে ছয় বিলিয়ন ডলার যা বার্ষিক জিডিপির ৩ দশমিক ৪ শতাংশ। [৯] প্রধান পরিবেশগত স্বাস্থ্য ঝুঁকির সঙ্গে সম্পর্কিত পরিবেশগত অবক্ষয়ের বার্ষিক ব্যয় ২০১৯ সালে বাংলাদেশের জিডিপির ১৭ দশমিক ৩ শতাংশের সমতুল্য ছিল, যা উৎপাদনশীলতা এবং কল্যাণকে প্রভাবিত করার পাশাপাশি মানব পুঁজি গঠন এবং ধরে রাখার ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে। [১০] দক্ষিণ কোরিয়া, ভিয়েতনাম, চীন এবং মালয়েশিয়ার উদাহরণ দিয়ে প্রতিবেদনটি বলা হয়েছে, বিশ্বের অন্যান্য দেশও একই ধরনের পরিবেশগত ব্যয়ের মুখে পড়েছিল। এসব দেশ এ সমস্যার বিরুদ্ধে সবুজ প্রবৃদ্ধির কৌশল অবলম্বন করেছিল। [১১] কার্বন নিঃসরণ কমানো, জীবাশ্ম জ্বালানি আমদানি কমানো, নবায়নযোগ্য জ্বালানির উৎপাদন বৃদ্ধি এবং রপ্তানির জন্য সবুজ উৎপাদন পণ্যের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ কোরিয়ার অভিজ্ঞতা থেকে শিখতে পারে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
[১২] কীভাবে দেশগুলো সবুজ জ্বালানিতে বিনিয়োগ থেকে বহুগুণ লাভবান হয় তারও ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদনটিকে। প্রতি এক মিলিয়ন ডলার খরচে নবায়নযোগ্য অবকাঠামোতে ৭ দশমিক ৪৯টি এবং শক্তি দক্ষতায় ৭ দশমিক ৭২টি পূর্ণকালীন চাকরি তৈরি করা যায়। কিন্তু জীবাশ্ম জ্বালানিতে এ পরিমাণ বিনিয়োগ থেকে মাত্র ২ দশমিক ৫৬টি চাকরি তৈরি হয়।
[১৩] সবুজ প্রণোদনা নীতি জি২০ দেশগুলোয়, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এবং দক্ষিণ কোরিয়ায় উল্লেখযোগ্য অর্থনৈতিক উন্নতি এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টি করার মাধ্যমে এ দেশগুলোকে ২০০৭-০৮ সালের আর্থিক সংকট থেকে পুনরুদ্ধার করতে সাহায্য করেছে।
[১৪] ইউরোপীয় ইউনিয়নে সবুজ বিনিয়োগের প্রতি এক ডলার সমগ্র অঞ্চলজুড়ে জিডিপিকে দেড় ডলার পর্যন্ত বৃদ্ধি করেছে বলে অনুমান করা হয়। এ ধরনের প্রণোদনা প্যাকেজের কারণে চীন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং জার্মানি নবায়নযোগ্য শক্তিতে শীর্ষস্থানীয় হয়ে উঠেছে।
[১৫] বাংলাদেশের সবুজ প্রবৃদ্ধির খসড়া এই কৌশলপত্রে বলা হয়েছে, যদি শিল্প প্রস্তুতকরণ এবং পর্যাপ্ত মানবসম্পদ গড়ে তোলার জন্য প্রচেষ্টা থাকে তাহলে এখানেও অনুরূপ ফলাফল আশা করা যেতে পারে।
[১৬] প্রতিবেদনটিতে প্যারিস চুক্তির প্রতিশ্রুতি পূরণের জন্য ২০১৫ এবং ২০৩০ সালের মধ্যে সরকারের প্রাক্কলিত ৬৭ বিলিয়ন ডলারের তহবিল, নিঃশর্ত প্রশমন লক্ষ্যমাত্রার জন্য ২০২১ সালের আপডেট এনডিসির জাতীয়ভাবে নির্ধারিত অবদান প্রাক্কলিত আরও ৩২ বিলিয়ন ডলার এবং ২০২১৩০ সালের মধ্যে শর্তসাপেক্ষ লক্ষ্যমাত্রা পূরণের জন্য অতিরিক্ত ১৪৩.৮ বিলিয়ন ডলারের প্রয়োজনের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। বিশ্বব্যাংকের ২০২০ সালের আরেকটি প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে বর্তমান প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কেবল জলবায়ু-প্রশমন ব্যবস্থার জন্য ২০১১-৩০ সালের জন্য কমপক্ষে ২৭ বিলিয়ন ডলারের তহবিল প্রয়োজন বলে প্রাক্কলন করেছে বাংলাদেশ।
[১৭] এর দেখা প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশকে এর সর্বোচ্চ স্তরের জলবায়ু-প্রশমন লক্ষ্যমাত্রা এবং উচ্চাকাঙক্ষায় পৌঁছাতে আগামী দুই দশকের জন্য কমপক্ষে ২০০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ প্রয়োজন।
[১৮] বাংলাদেশের অসংখ্য পরিকল্পনা এবং উদ্যোগ রয়েছে যেগুলোর জন্য উল্লেখযোগ্য অর্থের দরকার হবে। মুজিব জলবায়ু সমৃদ্ধি পরিকল্পনার জন্য ২০৩০ সালের মধ্যে ৮৯.৭ বিলিয়ন ডলার, বাংলাদেশ কান্ট্রি ইনভেস্টমেন্ট প্ল্যান ফর এনভায়রনমেন্ট, ফরেস্ট্রি অ্যান্ড ক্লাইমেট চেঞ্জের জন্য ১১.৭ বিলিয়ন ডলার এবং ডেল্টা প্ল্যান ২১০০-এর প্রধম পর্যায়ে ২০৩০ সাল পর্যন্ত প্রায় ৩৭ বিলিয়ন ডলার ব্যয় হবে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
[১৯] প্রতিবেদনে সবুজ ব্যাংকিং নির্দেশিকাসহ বাংলাদেশ ব্যাংকের সবুজ অর্থায়ন নীতি এবং উদ্যোগসমূহ তুলে ধরা হয়েছে। ব্যাংকগুলোর জন্য সরাসরি সবুজ এবং টেকসই অর্থায়নের ৫ শতাংশ এবং অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানের জন্য তাদের মোট বিনিয়োগের ১৫ শতাংশ লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে প্রতিবেদনে। নীতিমালায় নবায়নযোগ্য শক্তি, শক্তি দক্ষতা, বিকল্প শক্তি, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, পুনর্ব্যবহার এবং সবুজ ইট উৎপাদনের মতো খাতের প্রকল্পকে উৎসাহিত করা হয়েছে।
[২০] কেন্দ্রীয় ব্যাংকও ছাড়ের হারে বিভিন্ন সবুজ তহবিল তৈরি করেছে এবং উন্নয়ন সহযোগীদের সহায়তায় একাধিক সবুজ পুনঃঅর্থায়ন প্রকল্পে সহযোগিতা দিয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে রপ্তানিমুখী শিল্পের জন্য ২০০ মিলিয়ন ডলারের একটি গ্রিন ট্রান্সফরমেশন ফান্ড এবং ৫০ মিলিয়ন ডলারের এডিবি ইটভাটা প্রকল্প।
[২১] সরকারি বাজেট, ট্রাস্ট তহবিল, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে ঋণ এবং পুনঃঅর্থায়ন স্কিমের আওতায় জলবায়ু পরিবর্তন, টেকসইতা এবং সবুজ প্রবৃদ্ধির সঙ্গে সম্পর্কিত প্রকল্প এবং উদ্যোগগুলোতে ২০০৯ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে সরবরাহ করা সরকারি অর্থায়নের আনুমানিক মোট পরিমাণ ছিল প্রায় ১৬ বিলিয়ন ডলার।
[২২] তবুও ব্যাংকিং ব্যবস্থার কাঠামোগত দুর্বলতার কারণে আয়তন এবং সবুজ আর্থিক উপকরণের পরিসরে অন্যান্য উদীয়মান বাজার এবং উন্নয়নশীল অর্থনীতির থেকে পিছিয়ে রয়েছে বাংলাদেশ।
[২৩] ২০২১ অর্থবছরের জন্য সবুজ অর্থায়নের অংশ ছিল মোট মেয়াদী ঋণ বিতরণের ৪ দশমিক ৪১ শতাংশ, যা উদীয়মান বাজারের গড়ে ৭ শতাংশ। বিশ্বব্যাংকের মতে, এমনকি যদি ব্যাংকগুলো সবুজ অর্থায়নের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে পারত, তাহলেও বছরে এ অর্থায়নের পরিমাণ হতো ৬০০ মিলিয়ন ডলার যা ঘাটতির সাপেক্ষে খুবই অপ্রতুল।
[২৪] ইক্যুইটি বিনিয়োগকারী, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী এবং আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো সরকারি এবং বেসরকারি সবুজ কার্যক্রমে সবুজ অর্থায়ন সরবরাহের জন্য অতি গুরুত্বপূর্ণ বলে প্রতিবেদনে জোর দিয়ে বলা হয়েছে।
[২৯] বাংলাদেশকে নিয়ন্ত্রণমূলক পরিবর্তনের মাধ্যমে সবুজ শিল্প ও পণ্যে আন্তর্জাতিক অর্থায়নকে উৎসাহিত করতে হবে। প্রত্যক্ষ অর্থায়ন ছাড়াও বাংলাদেশ ক্লিন এনার্জি, গ্রিন ইন্ডাস্ট্রির পৃষ্ঠপোষকতা এবং শহুরে গাড়ির সংখ্যা কমাতে কর ব্যবস্থা পর্যালোচনা করতে পারে বলে প্রতিবেদনে সুপারিশ করা হয়েছে।
[৩০] খসড়া কৌশলপত্রে সবুজ প্রবৃদ্ধির জন্য খাতভিত্তিক সুপারিশ করা হয়েছে। জ্বালানি দক্ষতাকে উৎসাহিত করতে এবং পরিচ্ছন্ন জ্বালানি উৎপাদনে বিনিয়োগের আমন্ত্রণ জানাতে এটি জ্বালানি শুল্ক এবং গ্যাসের দাম পর্যালোচনার পরামর্শ দিয়েছে।
[৩১] সরকারকে টেক্সটাইল, হালকা উৎপাদন, খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ এবং চামড়ার ক্ষেত্রে সবুজ প্রযুক্তির প্রসার এবং একটি বৃত্তাকার অর্থনীতির প্রচারের পাশাপাশি শিক্ষা, তথ্য-যোগাযোগ প্রযুক্তি ও আইটিইএস খাত, ব্যাংকিং এবং স্বাস্থ্যসেবার মতো আধুনিক পরিষেবা শিল্পসমূহকেও উৎসাহিত করতে হবে।
[৩২] ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোগেরও বৃহৎ ব্যবসা, সরকার এবং রপ্তানি বাজারে সবুজ পণ্য এবং পরিষেবা প্রদানের জন্য সহায়তা প্রয়োজন বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
[৩৩] সবুজ কৃষি প্রবৃদ্ধি সহজতর করার জন্য সমবায়ভিত্তিক অর্থ ব্যবস্থা এবং কৃষি বীমাকে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মধ্যে জনপ্রিয় করতে হবে।
বায়ু দূষণ কমাতে এবং মানুষের সুস্থতার উন্নতির জন্য বাংলাদেশকে পরিবহন এবং স্মার্ট সিটি পরিকল্পনার ক্ষেত্রে নির্গমনের মানের দিক থেকে আরও ওপরে উঠতে হবে।
[৩৪] পরিবহন খাতে বর্তমানে পরিবেশগত দিকটি বিবেচনা না করেই রাস্তা, পানি এবং রেল পরিবহনের সম্প্রসারণকে অগ্রাধিকার দেওয়ার বিষয়টি প্রতীয়মান হচ্ছে উল্লেখ করে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশকে গণপর্যায়ে পরিচ্ছন্ন, সহজে ব্যবহারযোগ্য গণপরিবহন সম্প্রসারণের ওপর জোর দেওয়া উচিত।
[৩৫] যেহেতু বৈশ্বিক জ্বালানি-সম্পর্কিত কার্বনডাইঅক্সাইডের মোট নির্গমনের ১৮ শতাংশ আবাসিক ভবন থেকে হয়, তাই সাশ্রয়ী মূল্যের এবং স্বাস্থ্যকর বাড়ি তৈরিতে নগর পরিকল্পনা এবং আবাসন নির্মাণ সেক্টরের শক্তি দক্ষতা, সবুজ উপকরণ এবং উন্নত নকশা ও নির্মাণের পাশাপাশি জলবায়ু পরিবর্তনের সহনশীলতা উন্নত করার মাধ্যমে নির্গমন হ্রাস করার একটি বিশাল সুযোগ রয়েছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।
[৩৬] পরিবেশগত বিপর্যয়ের উৎসগুলোকে মোকাবিলা না করা গেলে বিনিয়োগে রিটার্নের হার কমে যাবে, প্রবৃদ্ধির হার ক্ষতিগ্রস্ত হবে এবং বাংলাদেশের দীর্ঘমেয়াদী উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন হুমকির মুখে পড়বে বলে সতর্ক করা হয়েছে প্রতিবেদনটিতে।
[৩৭] স্বল্প অর্থায়ন ছাড়াও দুর্বল প্রতিষ্ঠান এবং অপর্যাপ্ত তত্ত্বাবধানকে সবুজ প্রবৃদ্ধির জন্য সীমাবদ্ধতা হিসেবে দেখানো হয়েছে প্রতিবেদনটিতে। পরিবেশ আইন জোরদার, পরিকল্পনা ও বাজেটে পরিবেশগত বিষয়গুলোকে একীভূত করা, পরিবেশ মন্ত্রণালয়কে শক্তিশালী করা এবং সবুজ প্রবৃদ্ধি কৌশল বাস্তবায়নের জন্য এটিকে অন্যান্য মূল মন্ত্রণালয়গুলোর সঙ্গে একত্রিত করে কাজ করানোর আহ্বান জানানো হয়েছে প্রতিবেদনে।
[৩৮] বিজনেস ইনিশিয়েটিভ লিডিং ডেভেলপমেন্ট বিল্ড-এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফেরদৌস আরা বেগম বাংলাদেশকে এর নীতিসমূহকে বৈশ্বিক পরিবেশগত মান, বিশেষ করে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ইইউ কর্তৃক নির্ধারিত মানদণ্ডের সঙ্গে সামঞ্জস্য করার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন।
[৩৯] ইইউ-এর কার্বন বর্ডার অ্যাডজাস্টমেন্ট মেকানিজমের অধীনে দূষণের মাত্রার জন্য একটি থ্রেশহোল্ড নির্ধারণ করা হবে। এ থ্রেশহোল্ডটি অতিক্রম করলে কর আরোপ করা হবে। আমাদের রপ্তানির একটি উল্লেখযোগ্য অংশ ইইউতে যায়, তাই সম্ভাব্য বাণিজ্য প্রতিবন্ধকতা এড়াতে আমাদেরকে এ পরিবেশগত উদ্বেগসমূহের সমাধান করতে হবে, বলেন তিনি। সূত্র : টিবিএস