মহামারি বাদ দিলে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ১৩ বছরে সর্বনিম্ন
বিশ্বজিৎ দত্ত : [২] গত অর্থবছরে দেশের মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি হয়েছে পাঁচ দশমিক ৭৮ শতাংশ। এটি গত ১৩ বছরের মধ্যে সবচেয়ে কম। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) চূড়ান্ত পরিসংখ্যানে এ তথ্য জানা গেছে।
[৩] গত বছরের মে মাসে প্রকাশিত অস্থায়ী প্রাক্কলনে দেখা গেছে যে, ২০২২-২৩ সালে অর্থনীতি বেড়েছে ৬ দশমিক শূন্য তিন শতাংশ। ২০২১-২২ সালে তা ছিল সাত দশমিক এক শতাংশ। [৪] ২০২২-২৩ অর্থবছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ২০১১-১২ অর্থবছরের পর সবচেয়ে কম ছিল। তবে করোনা মহামারির সময় ২০১৯-২০ অর্থবছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ছিল তিন দশমিক ৪২ শতাংশ। ২০২২-২৩ অর্থবছরে চূড়ান্ত প্রাক্কলনে কৃষি ও শিল্প খাতে প্রবৃদ্ধি বেড়েছে। তবে পরিষেবা খাতে এটি কমেছে।
[৫] অন্তবর্তীকালীন প্রাক্কলনের তুলনায় গত জুনে শেষ হওয়া গত অর্থবছরে পরিষেবা খাতের প্রবৃদ্ধি ৪৭ বেসিস পয়েন্ট কমে পাঁচ দশমিক ৩৭ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। এটি ২০২১-২২ অর্থবছরে ছিল ছয় দশমিক ২৬ শতাংশ।
[৬] কৃষি খাতে জিডিপি ৭৬ বেসিস পয়েন্ট বেড়ে তিন দশমিক ৩৭ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।
[৭] ২০২২-২৩ অর্থবছরে শিল্প খাতের জিডিপি ১৯ বেসিস পয়েন্ট বেড়ে আট দশমিক ৩৭ শতাংশ হয়েছে। এক বছর আগে চূড়ান্ত প্রাক্কলনে এটি ছিল নয় দশমিক ৮৬ শতাংশ।
[৮] মহামারির দীর্ঘ প্রভাব ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বাংলাদেশের অর্থনীতি ২০২২-২৩ অর্থবছরে সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতিতে পড়ে। রিজার্ভ ও টাকার দাম দ্রুত কমেছে এবং মূল্যস্ফীতি বেড়েছে রেকর্ড মাত্রায়।
[৯] অর্থনীতিবিদ ড. আরএম দেবনাথ বলেন, মূলত মানুষের ক্রয়ক্ষমতা কমে যাওয়ায় সেবা খাতে প্রবৃদ্ধি কমেছে। নিত্যপণ্যের দাম বাড়লেও মজুরি বাড়েনি। জনগণকে অপ্রয়োজনীয় খরচ কমাতে হয়েছে।