বিশ্বজিৎ দত্ত : [১] ঠিক আড়াই মাস আগে বিজ্ঞপ্তি জারি করে আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত পেঁয়াজের রফতানির উপরে নিষেধাজ্ঞা চাপিয়েছিল ভারত। গত মঙ্গলবার তারা স্পষ্ট জানিয়ে দিল, সেই সময় এগিয়ে আনার কোনও প্রশ্ন নেই।
[২] সূত্রের খবর, বরং নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ আরও বাড়ানো হতে পারে। কারণ, সরকারের প্রধান লক্ষ্য দেশের বাজারে পেঁয়াজের জোগান বাড়িয়ে তার দাম নিয়ন্ত্রণে রাখা। সংশ্লিষ্ট মহলের বক্তব্য, শুধু পেঁয়াজ নয়, ভারতের লোকসভা নির্বাচনের আগে একাধিক অত্যাবশ্যক খাদ্যপণ্যের দামই নাগালের মধ্যে নিয়ে আসার মরিয়া চেষ্টা চালিয়ে চলেছে মোদী সরকার। ভোটের আগে যে বিষয়গুলি তাদের কিছুটা অস্বস্তিতে রেখেছে তার মধ্যে খাবারদাবারের আকাশছোঁয়া দাম অন্যতম।
[৩] পেঁয়াজ রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হচ্ছে বলে সম্প্রতি রটনা ছড়িয়েছিল। তার জেরে মহারাষ্ট্রের লাসালগাঁওয়ে দেশের বৃহত্তম পেঁয়াজের পাইকারি বাজারে মাত্র দু’দিনের মধ্যে পণ্যটির দাম ৪০.৬২% বেড়ে যায়। ১৭ ফেব্রুয়ারি কুইন্টাল প্রতি পেঁয়াজের দাম ছিল ১২৮০ টাকা। ১৯ ফেব্রুয়ারি তা ১৮০০ টাকায় পৌঁছে যায়।
[৪] ভারতের কেন্দ্রীয় ক্রেতাসুরক্ষা সচিব রোহিত কুমার সিংহ বলেন, পেঁয়াজের রফতানির উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তোলা হয়নি। তা বহাল আছে এবং সেই ব্যবস্থায় কোনও পরিবর্তন হয়নি।
[৫] গত প্রায় দেড় বছর ভারতে খাদ্যপণ্য, বিশেষ করে আনাজপাতির মূল্যবৃদ্ধির ধাক্কায় সাধারণ মানুষ নাকাল। জানুয়ারিতে দেশের খুচরো বাজারে সামগ্রিক ভাবে মূল্যবৃদ্ধির হার ৫.১ শতাংশে নামলেও খাদ্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির হার সেই ৮.৩ শতাংশে চড়ে। পাইকারি বাজারের অবস্থাও একই।