![](https://amaderorthoneeti.com/new/wp-content/themes/amader-orthoneeti/img/sky.jpg)
নোয়াখালীতে খতনায় অতিরিক্ত রক্তপাতের ঘটনায় সেই শিশুর চিকিৎসায় গাফিলতি
নোয়াখালী প্রতিনিধি : [১] নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে শিশুর খতনায় ভুলে অতিরিক্ত রক্তপাতে অসুস্থ শিশু আল নাহিয়ান তাজবীবের (৭) চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ পাওয়া গেছে।
[২] গতকাল শুক্রবার ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী শিশুর বাবা প্রবাসী আলমগীর হোসেন ওরফে বাদল।
[৩] তিনি গণমাধ্যম কর্মীদের কাছে অভিযোগ করে বলেন, গত বৃহস্পতিবার দুপুর ১টার দিকে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তারা আমাদের ব্যাপক আশ্বাস দিয়ে তাজবীবকে উন্নত চিকিৎসা দিতে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের সার্জারি বিভাগে নিয়ে আসেন। এখানে বর্তমানে আমার ছেলে আশানুরুপ চিকিৎসা সেবা পাচ্ছে না।
[৪] গতকাল শুক্রবার সকাল থেকে জ্বরে ছেলের শরীর পুড়ে যাচ্ছে। কিন্তু ডাক্তার একবারের জন্যও তাকে দেখতে আসেনি। হাসপাতাল থেকে জানানো হয়েছে শুক্রবার তাই ডাক্তার আসবে না। [৫] অপরদিকে, এ ঘটনায় অভিযুক্ত উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার বিজয় কুমার দেকে শাস্তিমূলক বদলি করা হয়েছে। একই সাথে উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার সৌরভ ভৌমিকের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রবেশাধিকার নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
[৬] ঘটনা তদন্তে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. মো. জোবায়েরকে প্রধান করে দুই সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে আগামি তিন দিনের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
[৭] অভিযোগ নাকচ করে দিয়ে নোয়াখালী জেলা সিভিল সার্জন ডা. মাসুম ইফতেখার বলেন, গতকাল শুক্রবার বিকেল বেলা হাসপাতালে ডাক্তার সাইফুদ্দিন ওই শিশুকে দেখতে যাবে।
[৮] ভুক্তভোগী শিশু আল নাহিয়ান তাজবীব উপজেলার চরকাঁকড়া ইউনিয়নের আলমগীর হোসেন বাদলের ছেলে। সে বসুরহাট পৌরসভা এলাকার চাইল্ড কেয়ার স্কুলের প্রথম শ্রেণির ছাত্র।
[৯] উল্লেখ্য, বুধবার ২১ ফেব্রুয়ারি দুপুর সোয়া ১২টার দিকে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগে এ ঘটনা ঘটে। ওই সময় ছেলেকে খতনা করাতে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ছেলে নিয়ে যান তার বাবা। একপর্যায়ে তিনি চিকিৎসকের খোঁজ করলে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নৈশ প্রহরীসহ তিনজন চিকিৎসক শিশুটিকে তার বাবার কাছ থেকে জরুরী বিভাগে নিয়ে নিজেরাই খতনা করাতে থাকেন।
[১০] এ সময় তিনি আবারও চিকিৎসকের খোঁজ করলে তারা নিজেদেরকে এ বিষয়ে অভিজ্ঞ দাবি করে ছেলের বাবাকে আশ্বস্ত করে সেখান থেকে বের করে দেন। এক পর্যায়ে শিশুটির চিৎকার শুনে তিনি সেখানে গিয়ে দেখেন শিশুর অতিরিক্ত রক্তপাতে সব ভিজে গেছে।
![](https://amaderorthoneeti.com/new/wp-content/themes/amader-orthoneeti/img/sky.jpg)