ইতিবাচক ধারায় রয়েছে রেমিট্যান্স প্রবাহ ২৪ দিনে এসেছে ১৮ হাজার কোটি টাকা
মাসুদ মিয়া: [১] ইতিবাচক ধারায় রয়েছে রেমিট্যান্স প্রবাহ। দেশে ডলার সংকটের মধ্যে আশা দেখাচ্ছে রেমিট্যান্স। ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম ২৪ দিনে ব্যাংক খাতের মাধ্যমে প্রায় ১৬৫ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। [২] বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রতি ডলার ১১০ টাকা ধরে যার পরিমাণ দাঁড়ায় ১৮ হাজার ১০৭ কোটি টাকা। সে হিসাবে দৈনিক গড়ে ৬ কোটি ৮৫ লাখ ডলার প্রবাসী আয় দেশে এসেছে। আগের মাস জানুয়ারিতে দেশে রেমিট্যান্স এসেছিল ২১০ কোটি মার্কিন ডলার। রোববার বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
[৩] কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বলছে, চলতি মাসের প্রথম ২৪ দিনে ব্যাংকিং চ্যানেলে ১৬৪ কোটি ৬১ লাখ ডলার এসেছে। এর মধ্যে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ১৭ কোটি ৫৫ লাখ ডলার, বিশেষায়িত একটি ব্যাংকের মাধ্যমে ৬ কোটি ৩০ লাখ মার্কিন ডলার, বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ১৪০ কোটি ৪০ লাখ ডলার এবং বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৩৫ লাখ মার্কিন ডলার।
২০২৩ সালের জানুয়ারিতে রেমিট্যান্স এসেছিল ১৯৫ কোটি ৮৮ লাখ ডলার, ফেব্রুয়ারিতে ১৫৬ কোটি ডলার, মার্চে ২০২ কোটি, এপ্রিলে ১৬৮ কোটি, মে মাসে ১৬৯ কোটি, জুনে ২২০ কোটি, জুলাইয়ে ১৯৭ কোটি, আগস্টে ১৫৯ কোটি ৯৪ লাখ, সেপ্টেম্বর মাসে ১৩৩ কোটি, অক্টোবরে ১৯৭ কোটি, নভেম্বরে ১৯৩ কোটি ডলার রেমিট্যান্স এসেছিল। [৪[ এছাড়া গত বছরের ডিসেম্বর মাসে প্রবাসীরা পাঠিয়েছেন ১৯৯ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স।
২০২২-২৩ অর্থবছরে মোট রেমিট্যান্স এসেছিল ২ হাজার ১৬১ কোটি ৭ লাখ মার্কিন ডলার। ২০২১-২০২২ অর্থবছরে মোট রেমিট্যান্স এসেছিল ২ হাজার ১০৩ কোটি ১৭ লাখ মার্কিন ডলার। ২০২০-২১ অর্থবছরে রেমিট্যান্স এসেছিল ২ হাজার ৪৭৭ কোটি ৭৭ লাখ মার্কিন ডলার। যা ছিল সর্বোচ্চ পরিমাণ রেমিট্যান্স। [৫] চলতি মাসের শুরুতে অর্থাৎ গত ১ ফেব্রুয়ারি দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছিল ২ হাজার ৫০৯ কোটি ডলার। ২০ ফেব্রুয়ারি এটি বেড়ে দাঁড়ায় ২ হাজার ৫৩২ কোটি ডলারে। তবে আন্তর্জাতিক নিয়মে আইএমএফের হিসাব পদ্ধতি বিপিএম ৬ অনুযায়ী, ২০ ফেব্রুয়ারি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রকৃত রিজার্ভ দাঁড়ায় ২ হাজার ২০ কোটি ডলারে। যা মাসের শুরুতে ছিল ১ হাজার ৯৯৪ কোটি ডলার।
বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কের নতুন অধ্যায় শুরু করতে চায় যুক্তরাষ্ট ্র: সালমান এফ রহমান
বিশ্বজিৎ দত্ত : [১]যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন সালমান এফ রহমান।
[২]সেই সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধি, নিরাপত্তা সহযোগিতা, শ্রম পরিবেশ উন্নয়ন ও জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করতে চায় দেশটি।
[৩]গত রোববার রাতে গুলশানে প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের বাসভবনে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের বিশেষ সহকারী ও দেশটির জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক জ্যেষ্ঠ পরিচালক এইলিন লাউবাখেরের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে নৈশভোজ শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা জানান। প্রতিনিধি দলে যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থার (ইউএসএআইডি) সহকারী প্রশাসক মাইকেল শিফার এবং যুক্তরাষ্ট্রের উপসহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী আফরিন আখতার উপস্থিত ছিলেন।
[৪]সালমান এফ রহমান বলেন, কিছুদিন আগে জো বাইডেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে চিঠি দিয়েছেন। সেখানে তিনি বলেছেন, ‘দুই দেশের সম্পর্ক আরও গভীর করতে চাই এবং নতুন অধ্যায় শুরু করতে চাই। ’ বাংলাদেশ সফররত প্রতিনিধি দলও একই কথা বলেছেন।
[৫]দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে বৈঠকে কোনো আলোচনা হয়েছে কিনা? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে সালমান এফ রহমান জানান, ‘নির্বাচন এখন পেছনের ঘটনা। সেটা নিয়ে তারা কোনো কথা বলেনি, আমরাও বলিনি। বরং সামনের দিনগুলোতে কিভাবে দুই দেশের সম্পর্ককে আরও গভীর করা যায়; সেসব বিষয় নিয়েই আলোচনা হয়েছে।
[৬]বৈঠকে রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে আলোচনার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমেরিকাও চায়, রোহিঙ্গারা নিজ দেশে ফিরে যাক। সেই সঙ্গে তাদেরকে সাময়িক আশ্রয় দিয়ে বাংলাদেশ যে উদারতা দেখিয়েছে, তার ভূয়সী প্রশংসা করেছেন মার্কিন প্রতিনিধিরা। রোহিঙ্গাকে তারা আরও সহযোগিতা করতে চায়।
[৭]বৈঠকে মার্কিন প্রতিনিধি দল মিয়ানমার পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে উল্লেখ করে সালমান এফ রহমান বলেন, মিয়ানমারের বর্তমান পরিস্থিতির ওপর তারা নজর রাখছে। সেই সঙ্গে আমাদেরকেও নজর রাখতে বলেছে।
[৮]তিনি আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্র আমাদের তাদের ডেভেলপমেন্ট ফাইন্যান্স প্রোগ্রামে (ডিএসপি) যুক্ত করতে চায়। এর জন্য তারা কয়েকটি শর্তের কথা বলেছে। শর্তগুলো জানাতে বলেছি। শিগগির তারা জানাবে বলেছে। এছাড়া তাদের সঙ্গে চলমান প্রকল্প অব্যাহত থাকবে।