যে কারণে ডিজিটাল সাক্ষরতাকে অগ্রাধিকার দেওয়া উচিত
মো. মমিনুর রহমান : বিগত কয়েক বছরে বাংলাদেশ অসাধারণ পরিবর্তন সাধন করেছে। বিশ্ব ডিজিটাল অর্থনীতিতে নিজেকে প্লেয়ার হিসেবে স্থান দিয়েছে। প্রযুক্তিগত অগ্রগতি ও উদ্ভাবনের বৃদ্ধির সঙ্গে জাতি কেবল পরিবর্তনের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিচ্ছে না বরং সক্রিয়ভাবে তার ভবিষ্যৎ গঠন করছে। বাংলাদেশে ডিজিটাল অর্থনীতির দ্রুত প্রবৃদ্ধি বিভিন্ন ক্ষেত্রে স্পষ্ট। সমৃদ্ধিশীল ফিনটেক শিল্প আর্থিক পরিষেবায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন এনেছে, বিভিন্ন জনসংখ্যার জন্য অ্যাক্সেসযোগ্য ও অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাধান প্রদান করেছে।
মোবাইল ব্যাংকিং প্ল্যাটফর্মগুলো আর্থিক অন্তর্ভুক্তির মূল ভিত্তি হয়ে উঠেছে। যা শহুরে কেন্দ্র ও প্রত্যন্ত অঞ্চল উভয়েরই ব্যক্তিদের ক্ষমতায়ন করে। আমাদের বৈশ্বিক ল্যান্ডস্কেপের দ্রুতগতির বিবর্তনে বাংলাদেশ নিজেকে একটি ডিজিটাল বিপ্লবের অগ্রভাগে খুঁজে পায়। যা অগ্রগতি ও অন্তর্ভুক্তির জন্য অপরিসীম প্রতিশ্রুতি ধারণ করে। যখন আমরা এই রূপান্তরমূলক যাত্রা শুরু করি তখন সাফল্যের জন্য একটি মৌলিক পূর্বশর্ত ডিজিটাল সাক্ষরতাকে চিনতে ও তার প্রতি লক্ষ্য রাখা অপরিহার্য হয়ে ওঠে।
যেমনটি নেলসন ম্যান্ডেলা যথার্থভাবে বলেছেন, ‘শিক্ষা হলো সবচেয়ে শক্তিশালী অস্ত্র যা আপনি বিশ্বকে পরিবর্তন করতে ব্যবহার করতে পারেন’। আমাদের প্রেক্ষাপটে, ডিজিটাল সাক্ষরতা এই শক্তিশালী অস্ত্রের চাবিকাঠি হিসাবে আবির্ভূত হয়, যা ব্যক্তিদের ডিজিটাল জটিলতাগুলো নেভিগেট করার ক্ষমতা দেয়। ডিজিটাল বিভাজন, প্রায়শই শিক্ষা ও সম্পদের অ্যাক্সেসের বৈষম্যের দ্বারা প্রসারিত হয়। একটি প্রযুক্তিগতভাবে ক্ষমতায়িত সমাজের বাংলাদেশের দৃষ্টিভঙ্গির জন্য একটি চ্যালেঞ্জ উপস্থাপন করে। যদিও শহুরে কেন্দ্রগুলো সাগ্রহে ডিজিটাল তরঙ্গকে আলিঙ্গন করে, গ্রামীণ সম্প্রদায়গুলো ডিজিটাল যুগের পূর্ণ সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে অক্ষম হয়ে পিছিয়ে যাওয়ার ঝুঁকি রাখে।
ডিজিটাল সাক্ষরতা নিছক গুঞ্জন নয়; এটি একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক ও অংশগ্রহণমূলক সমাজের ভিত্তি। ডিজিটাল সাক্ষরতাকে অগ্রাধিকার দেওয়ার মাধ্যমে, আমরা প্রযুক্তি-বুদ্ধিমান ও প্রান্তিক ব্যক্তিদের মধ্যে ব্যবধান কমিয়ে দিই যা ডিজিটাল যুগের সুবিধাগুলো সমানভাবে ভাগ করা নিশ্চিত করে। বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ সমস্ত জনসংখ্যার মধ্যে ডিজিটাল সাক্ষরতাকে অগ্রাধিকার দেওয়ার মধ্যে নিহিত। এটি ডিজিটাল ল্যান্ডস্কেপে উন্নতির জন্য ব্যক্তিদের পটভূমি নির্বিশেষে তাদের সক্ষমতায় একটি বিনিয়োগ।
শিক্ষা খাত ডিজিটাল সাক্ষরতার ভিত্তি স্থাপনে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে: পাঠ্যক্রমের মধ্যে ডিজিটাল দক্ষতা একীভূত করা, প্রযুক্তিগত জ্ঞান প্রদানের জন্য শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দেওয়া ও ডিজিটাল শিক্ষার সংস্থানগুলোতে অ্যাক্সেস প্রদান করা গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। শিক্ষা সামাজিক পরিবর্তনের জন্য একটি অনুঘটক হয়ে ওঠে যখন এটি ব্যক্তিদের ডিজিটাল ল্যান্ডস্কেপে উন্নতির হাতিয়ার দিয়ে সজ্জিত করে। সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্ব ডিজিটাল সাক্ষরতার উদ্যোগের প্রভাবকে আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে। সরকারি সংস্থা, কারিগরি সংস্থা ও এনজিওগুলোর মধ্যে সহযোগিতা দেশের প্রতিটি কোণে পৌঁছানো বিস্তৃত প্রোগ্রামগুলোর বিকাশকে সহজতর করতে পারে।
ডিজিটাল সাক্ষরতাকে অগ্রাধিকার দেওয়ার লভ্যাংশ সুদূরপ্রসারী। এটি কর্মসংস্থান বাড়ায়, উদ্যোক্তাকে জ্বালানি দেয় ও দেশের উন্নয়নে অর্থপূর্ণভাবে অবদান রাখতে সক্ষম একটি ডিজিটালি শিক্ষিত জনগোষ্ঠী গড়ে তোলে। বাংলাদেশ যখন প্রযুক্তির আধিপত্যপূর্ণ ভবিষ্যতের দিকে অগ্রসর হচ্ছে, আসুন আমরা ডিজিটাল সাক্ষরতার রূপান্তরকারী শক্তিকে ভিত্তিপ্রস্তর হিসাবে স্বীকৃতি দিই যার উপর ভিত্তি করে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক ও প্রগতিশীল সমাজ গড়ে উঠেছে। আমাদের জন্য অপেক্ষা করা ডিজিটাল নবজাগরণে কেউ যেন পিছিয়ে না থাকে তা নিশ্চিত করে কাজ করার সময় এখন।
লেখক : রিসার্চ অ্যাসোসিয়েট বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অফ গভর্নেন্স অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট (বিআইজিএম)। অনুবাদ : জান্নাতুল ফেরদৌস। সূত্র : ঢাকা ট্রিবিউন
অন্তর্ভুক্তিমূলক ও সহযোগিতামূলক ভবিষ্যতের জন্য স্মার্ট বাংলাদেশ
পরীতি চৌধুরী : যুদ্ধের পর থেকে একটি প্রতিশ্রুতিশীল ভবিষ্যতের সঙ্গে একটি সম”দ্ধ গণতন্ত্রে উদ্ভূত। বাংলাদেশ এখন অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ও উদ্ভাবনী সমাধানগুলো ব্যবহার করে একটি ‘স্মার্ট বাংলাদেশ-এর পথে যাত্রা করছে। এটি একটি ব্যাপক পদ্ধতির সঙ্গে জড়িত যা ডিজিটালাইজেশন, টেকসই পরিকল্পনা ও অবকাঠামো উন্নয়নকে একীভূত করে। বাংলাদেশের ল্য দ ইকোসিস্টেম প্রতিষ্ঠা করা। তার নাগরিকদের জীবনযাত্রার মান উন্নত করা, বিশ্বব্যাপী স্মার্ট ও টেকসই উন্নয়নে শ্রেষ্ঠত্বের বাতিঘর হিসেবে জাতিকে অব¯’ান করা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১২ ডিসেম্বর, ২০২২-এ চারটি মূল স্তম্ভের উপর ভিত্তি করে বা¯’তন্ত্রের সঙ্গে এই মহাপরিকল্পনা উন্মোচন করেন: স্মার্ট নাগরিক, স্মার্ট সরকার, স্মার্ট সোসাইটি ও স্মার্ট ইকোনোমি। সরকার এই উদ্যোগগুলো বাস্তবায়নের জন্য সংশ্লিষ্ট স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে ব্যাপক আলোচনায় সক্রিয়ভাবে জড়িত। স্মার্ট সিটিজেন পিলারে ইউনিভার্সাল ডিজিটাল আইডি, সিটিজেন আপ-স্কিলিং, ডিজিটাল কোলাবোরেশন প্ল্যাটফর্ম ও স্মার্ট বাংলাদেশ ক্যাম্পেইনের উপর দ”ষ্টি নিবদ্ধ করে চারটি মূল উদ্যোগ রয়েছে।
এই কর্মসূচিগুলো প্রতিটি নাগরিককে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে ও জাতি গঠনে সক্রিয়ভাবে অবদান রাখতে মতায়ন করে। স্মার্ট গভর্নেন্সের মধ্যে বেশ কিছু উপাদান রয়েছে যেমন স্মার্ট শিা, একটি পরিশীলিত স্বা¯’্যসেবা ব্যব¯’া, দ ভূমি ব্যব¯’াপনা, উন্নত কৃষি পদ্ধতি, ই-মার্কেটপ্লেস, সুবিন্যস্ত রাজস্ব ব্যব¯’াপনা ও উন্নত কর্মসং¯’ান। যা সবই ই-গভর্নেন্সের ছাতার অধীনে কাজ করে। স্মার্ট সোসাইটি উদ্যোগ একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক ও সহযোগিতামূলক সমাজ গঠনের উপর দ”ষ্টি নিবদ্ধ করে। স্মার্ট ইকোনমির ল্য হলো শিল্পের আধুনিকীকরণ, আইসিটি সেক্টরে ব”দ্ধি, একটি স্টার্টআপ ইকোসিস্টেমের বিকাশ ও একটি শক্তিশালী প্রযুক্তিগত অবকাঠামো দ্বারা সমর্থিত একটি ব”ত্তাকার অর্থনীতি প্রতিষ্ঠা করা। আমরা সবাই জানি যে, বাংলাদেশ ইতিমধ্যেই এর স্বপ্ন বাস্তবায়নের ভিত্তি অর্জন করেছে। ডিজিটাল বাংলাদেশ রূপকল্প ২০২১ থেকে অব্যাহতভাবে, বাংলাদেশ সরকার ২০৪১ সালের মধ্যে চরম দারিদ্র্য দূরীকরণ ও উ”চ-আয়ের দেশের মর্যাদা অর্জনের ল্েয রূপকল্প ২০৪১ গ্রহণ করেছে।
বাংলাদেশ বর্তমানে বিশ্বের পাঁচটি দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতির মধ্যে রয়েছে, জিডিপির পরিপ্রেেিত ৩৫তম ¯’ানে রয়েছে। এটি এলডিসি মর্যাদা থেকে উন্নয়নশীল দেশের স্তরে স্নাতক হওয়ার সমস্ত মানদণ্ড পূরণ করেছে। আজ মাথাপিছু আয় ২০০৮ সালের তুলনায় ৫ গুণ বেশি। আমাদের মোট দেশজ উৎপাদন ঋণ ২০২৪-এ ৬.৫ শতাংশ ব”দ্ধি পাবে বলে আশা করা হ”েছ। আমাদের নিজস্ব অর্থায়নে নির্মিত পদ্মা সেতু দেশের অর্থনৈতিক পরিবর্তনের প্রতীক হিসেবে দাঁড়িয়েছে। মানুষ এখন ঢাকা মেট্রো রেল, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কর্ণফুলী নদী টানেল, ঢাকার প্রথম এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালের মতো আরও কিছু মেগা প্রকল্পের সম্পূর্ণ সুবিধা পা”েছ। বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ ও রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র দেশের উ”চাভিলাষী আকাড়ক্ষাকে মূর্ত করে, দেশের অর্থনৈতিক প্রব”দ্ধিকে চালিত করে। সরকার সুবিধাবঞ্চিত মানুষের কল্যাণ ও উন্নয়নের জন্য সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী কর্মসূচিকে শক্তিশালী করতে ৫৪টি উদ্যোগ বাস্তবায়ন করেছে। ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেটে সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী কর্মসূচির জন্য ১.২৬ ট্রিলিয়ন টাকা (১২৬,২৭২ কোটি টাকা) বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে। সামাজিক সুরা ব্যব¯’ার ত্রুটিগুলো চিহ্নিত করে ও নির্দিষ্ট ল্য পূরণের জন্য এটিকে উন্নত করার গুরুত্ব উপলব্ধি করে। বাংলাদেশ ২০১৫ সালে জাতীয় সামাজিক নিরাপত্তা কৌশল (এনএসএসএস) গ্রহণ করে।
অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নের ল্েয ২১টি জেলার ৩৩৪টি উপজেলার শতভাগ ভূমিহীন-গ”হহীন পরিবারকে আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতায় পুনর্বাসন করা হয়েছে। এই প্রকল্পের আওতায় মোট ৫,৫৫,৬১৭ ভূমিহীন-গ”হহীন পরিবারকে পুনর্বাসন করা হয়েছে। প্রতি বছর ১ জানুয়ারি ৪৩ কোটিরও বেশি বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক বিতরণ আরেকটি উল্লেখযোগ্য উদ্যোগ। এই সমস্ত প্রোগ্রাম ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করে। একটি স্মার্ট জাতির প্রোপটে, অন্তর্ভুক্তি কাউকে পিছনে না রাখার নীতি দ্বারা সংজ্ঞায়িত করা হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে ব্যাপক প্রব”দ্ধি ও সামাজিক অগ্রগতির প্রতি জাতির দ”ঢ় প্রতিশ্রুতির উপর জোর দিয়ে সরকার একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক, ন্যায়সঙ্গত সমাজের অন্বেষণে উল্লেখযোগ্য মাইলফলক অর্জন করেছে। যেহেতু বাংলাদেশ একটি ‘স্মার্ট’ জাতি হওয়ার আকাড়ক্ষা করছে। তাই এর উন্নয়ন এজেন্ডার জন্য অন্তর্ভুক্তি ও সামাজিক অগ্রগতিকে অগ্রাধিকার দেওয়া অপরিহার্য। এটি নিশ্চিত করা জড়িত যে প্রত্যেকেরই এই ব”দ্ধির সুবিধাগুলো অংশ নেওয়ার ও কাটানোর সুযোগ রয়েছে। বাংলাদেশে ¯’ায়ী সামাজিক, অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা, দারিদ্র্য হ”াস, সামাজিক সংহতি ব”দ্ধি ও টেকসই উন্নয়ন অর্জনের জন্য এটি গুরুত্বপূর্ণ। এই ধরনের উদ্যোগগুলো সামাজিক ব্যবধান সংকুচিত করতে ও আরও অন্তর্ভুক্তিমূলক পরিবেশ গড়ে তুলতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।
এই দ”ষ্টিভঙ্গি বাস্তবায়িত করার জন্য সরকার অন্তর্ভুক্তিমূলক নীতি ও উদ্যোগগুলোকে অগ্রাধিকার দিয়ে চলেছে। যা সবচেয়ে অসহায় মানুষের চাহিদা পূরণ করে। এতে চরম দারিদ্র্যের মধ্যে থাকা ব্যক্তিদের সহায়তার জন্য নগদ ¯’ানান্তর ও খাদ্য সহায়তার মতো সামাজিক সুরা কর্মসূচিতে বিনিয়োগ করা জড়িত। লিঙ্গ সমতা উন্নীত করা, নারীর মতায়ন, জাতিগত সংখ্যালঘু ও প্রান্তিক গোষ্ঠীর অধিকার রা করা বেশি অগ্রাধিকার পা”েছ। বেসরকারি খাতের বিনিয়োগ, উদ্যোক্তাদের জন্য অনুকূল পরিবেশ তৈরি করা, বিশেষ করে কৃষি, ক্ষুদ্র, মাঝারি আকারের উদ্যোগ ও ডিজিটাল অর্থনীতির মতো অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রব”দ্ধির জন্য সহায়ক খাতগুলোতে সরকারের অগ্রাধিকার তালিকায় রয়েছে। টেকসই উন্নয়নের পথে কেউ যাতে বাদ না পড়ে তা নিশ্চিত করতে সরকার, বেসরকারি খাত ও সুশীল সমাজের সহযোগিতা অপরিহার্য। বৈষম্য, বর্জনের মূল কারণগুলোকে মোকাবেলা করা, প্রযুক্তি, উদ্ভাবনের সঙ্গে মিলিত হওয়া, বাংলাদেশে আরও ন্যায্য ও ন্যায়সঙ্গত সমাজের পথ প্রশস্ত করতে পারে।
লেখক: সিনিয়র তথ্য কর্মকর্তা, পিআইডি। অনবুাদ : জান্নাতুল ফেরদৌস। সূত্র : ডেইলি সান