বেইলি রোডের বাড়িটিকে কে কমার্শিয়ালের অনুমতি দিল
এমডি আলী জামান
বেইলি রোডের যে বাড়ীটাতে আগুন লেগে ৪৫ জন মারা গেল,আরো অনেক মানুষ পুড়ে হাসúাতালে ভর্তি আছে,সেই বাড়ীটা কমার্শিয়াল না রেসিডেন্সিয়াল তার ফায়সালা আগে করতে হবে।
বাড়ীটা যদি রেসিডেন্সিয়াল হয়,তবে এতগুলো খাবার হোটেলের লাইসেন্স কে দিয়েছে?জানা গেছে,ভবনের প্রতিটা সিড়িতে দাহ্য গ্যাস সিলিন্ডার ষ্টোর করা ছিল।আগুন লাগার পর এই সিলিন্ডারগুলো বিস্ফোরিত হয়ে আগুন প্রায় প্রতিটি তলায় ছড়িয়ে পড়ে।
এ কারনে মানুষ বেরুতে না পেরে অসহায় ভাবে পুড়ে মরেছে,আর অর্ধপোড়া হয়ে হাসপাতালে মুমুর্ষ অবস্থায় রয়েছে।স্বাস্থ্যমন্ত্রী নিজে একজন “বার্ণ চিকিৎসক “।তিনি পরীক্ষা করে জানিয়েছেন, চিকিৎসারত প্রায় সব রোগীর শ্বাসনালী পুড়ে গেছে।তাদের অবস্থা আশংকাজনক।
বেইলি রোড রাজধানীর মধ্যম মানের আবাসিক এলাকা। কিন্তু এখন এই জায়গা সেমি কমার্শিয়াল হয়ে গেছে।স্বভাবতই এখানকার বহুতল ভবনগুলোতে বাসাবাড়ির পাশাপাশি দোকানপাট আর মাধ্যম শ্রেনীর খাবার হোটেল তৈরি হয়েছে।
সাধারণত নিম্নমধ্যবিত্ত আর মধ্যবিত্ত শ্রেণির লোকেরা এখানে পরিজন নিয়ে খেতে যায়।অথচ সেখানে অগ্নিকান্ড নিরোধের ব্যবস্থা নেই।
একটা “খাদ্য ব্যবসা”র জন্য কম করে হলেও ১৪/১৫ জায়গা থেকে ছাড়পত্র নেয়া লাগে।যার মধ্যে অগ্নি নির্বাপন আর পরিবেশ দপ্তর থেকে ছাড়পত্র নেয়া বাধ্যতামূলক।ছাড়পত্র হয়তো আছে।কিন্তু কিভাবে তা পেল,সেইটা সবার আগে বিবেচ্য।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এ পর্যন্ত যতটা অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে,তা নিয়ে দু’চার দিন হৈচৈ হয়েছে।কিছুদিন পরে মানুষ তা ভুলে গেছে।একারনে কারো শাস্তি হয়েছে,এমন কথা শোনা যায় নি। (লেখক: ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি)