জেলা প্রশাসকদের উদ্দেশে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী রমজানে পণ্য সরবরাহ ও পরিবহন ব্যবস্থায় শৃঙ্খলা রাখার নির্দেশ
সোহেল রহমান : [১] আসন্ন রমজানে উৎপাদন এলাকার পণ্যগুলোর সরবরাহ চেইনে যাতে কোনো সমস্যা না হয় এবং পরিবহন ব্যবস্থায় শৃঙ্খলা বজায় থাকে সেটি নিশ্চিত করতে জেলা প্রশাসকদের পরামর্শ ও নির্দেশনা দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল আলম টিটু।
[২] সোমবার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে চলমান জেলা প্রশাসক সম্মেলনে শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে প্রশাকদের অধিবেশন শেষে তিনি এ কথা জানান। শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
[৩] বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, রমজানে নতুন করে কোনো পণ্যের দাম বাড়বে না। কোনো পণ্যের সরবরাহে সংকট নেই। এ বিষয়ে ডিসিদের নির্দেশ দিয়েছি বাড়তি দামে বিক্রি হলে ব্যবস্থা নিতে। বাজারে তেলের যে দাম ১০ টাকা কমানো হয়েছে, তা আজকালের মধ্যে পাওয়া যাবে। কারখানা পর্যায়ে তেলের দাম কমানো হয়েছে কি না, সেটা ইতোমধ্যে ভোক্তা অধিদপ্তরের মাধ্যমে ভিজিট করেছি।
[৪] তিনি বলেন, বর্তমানে চালের বাজার কিন্তু নিয়ন্ত্রণে এসেছে ও স্থিতিশীল রয়েছে। পর্যায়ক্রমে প্রত্যেকটা পণ্যই নিয়ন্ত্রণে আসবে।
[৫] বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে জেলা প্রশাসকরা কীভাবে ভূমিকা রাখতে পারেন, মন্ত্রণালয় থেকে সে ধরনের একটি প্রস্তাবনা ছিল। এ বিষয়ে তারা (জেলা প্রশাসকরা) জানিয়েছেন যে, ১৯৫৬ সালের অ্যাসেনশিয়াল কমোডিটি অ্যাক্ট বা অত্যাবশ্যকীয় পণ্য আইন অনেক পুরনো। সেই আইনে যেসব পণ্যের উল্লেখ রয়েছে সে তালিকাও যথার্থ নয়। আইনটি আপডেট করার তাগিদ দিয়েছেন তারা।
[৬] তিনি বলেন, এ বিষয়ে আমরা একমত হয়েছি। অচিরেই আমরা বিভাগীয় কমিশনারদের নিয়ে একটি মিটিং করে এ আইনকে কীভাবে যুগোপযোগী করা যায় সেটি করবো। পণ্যের তালিকা কীভাবে বড় করা যায়, সেটা করবো।
[৭] প্রতিমন্ত্রী বলেন, টিসিবির পণ্য বিতরণ যেন সুষ্ঠু ও সুন্দর হয়। আগামী অর্থবছর থেকে স্থায়ী দোকানের মাধ্যমে টিসিবির পণ্য বিক্রি করা হবে। এছাড়া টিসিবি’র কার্ডধারীদের তালিকা করোনার সময় করা, সেটি আপডেট করার নির্দেশ দিয়েছি। দুই মাসের মধ্যে এ তালিকা সংযোজন ও বিয়োজন করে যেন নতুন তালিকা দেয়া হয়, সে নির্দেশনাও দেয়া হয়েছে।
[৮] তিনি জানান, রমজানের আগেই ভারত থেকে পেঁয়াজ আসছে। তারা (ভারত) কীভাবে কখন পণ্য দেবে সেটা আজ আমরা পরিষ্কার জানতে পারবো। তবে পণ্য রোজার আগেই আসছে।
[৯] পেঁয়াজের দাম প্রসঙ্গে তিনি বলেন, কৃষিপণ্যের মূল্য কৃষক পেলে তারা উৎপাদন বাড়াবে। এখন হাটে-ঘাটে কৃষকরা ৮০ থেকে ১০০ টাকা দাম পাচ্ছে। যা গত বছর অর্ধেক ছিল। ভালো দাম পাওয়ায় আগামী বছর কৃষকরা পেঁয়াজ উৎপাদনে আরও আগ্রহী হবে। অন্য পণ্যগুলোর দামও কিছুটা বেশি, সে কারণেও পেঁয়াজের বাজার কিছুটা চড়া।