মুরাদুল ইসলাম
বিখ্যাত লেখক আনিসুল হক যে বলেছেন, ৬ কোটি রয়ালটি, তিনি মোট লেখক ৬ হাজার দিয়া ভাগ দিয়া, গড়ে ১০ হাজারে নিছেন, এখানে একটা বুঝার ভুল আছে।
২০১৬ সালে আমি লেখছিলাম আমার সাইটে, যারা বুঝছেন লেখাটা তারা এই ভুল ধরতে পারার কথা। রিকশাচালক বছরে রিকশা টাইনা ৪ লাখ পান, এই তুলনা আনছেন আনিসুল।
আনিসুলের কাছে প্রশ্ন, রিকশালার আর্নিং কত বাড়তে পারে ইয়ারলি, উচ্চ আশাবাদী অনুমানে ধরে নিলাম, ৮ লাখ। রিকশা টাইনা তো এর বেশি সম্ভব না।
কিন্তু, ওই ছয় হাজার লেখকের মধ্যে, একজন খুবই সফল হইলেন, ধরা যাক হুমায়ূন আহমেদের মত। তার আর্নিং সম্ভাবনা তখন কত হয় বছরে? ১০ লাখ, বিশ লাখ, এক কোটি? আপনার যে মা উপন্যাস, ওইটা কি প্রতি বছর একবার করে লেখেন? নাকি ওই আগের লেখাটাই ছাপতে থাকে, আর বিক্রি হইতে থাকে?
আনিসুল, রিকশাওলার পেশাটা হইল নন স্কেলেবল। এইটার একটা লিমিট আছে। যেমন, ডাক্তারি পেশা, সাংবাদিকের পেশা, চাকরী, পতিতার পেশা- এইগুলার আর্নিং পটেনশিয়ালের একটা সীমা আছে।
কিন্তু কিছু পেশা স্কেলেবল। যেমন, লেখক, শিল্পী ইত্যাদি। এইগুলাতে সফল হওয়া টাফ, যে বা যারা উইনার হয় তারা অন্যান্যদের চাইতে আর্নিং এ বহুগুণে বেশি পায়। আপনে যে ৬ কোটির হিশাব দিছেন, গ্র্যানুলারলি দেখলে দেখবেন, খুব অল্প সংখ্যক লেখকই এই ৬ কোটির ৯০ ভাগ পাইছেন। এইটা স্কেলেবল পেশার ন্যাচার।
এইখানে তাই গড় করলে চলে না। স্কেলেবল পেশার লগে নন স্কেলেবল পেশার তুলনা দিলে, আপনি দুনিয়া বুঝেন কম। (পোস্টটি লিখেছেন একজন লেখক)