আমিনুল ইসলাম : [১] যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে পোশাক রপ্তানিকারক শীর্ষ দেশগুলোতে রপ্তানি বিষয়ে তদন্ত শুরু করেছে ওয়াশিংটন। বাংলাদেশসহ মোট পাঁচ দেশের পোশাক শ্রমিকদের মজুরি, ট্রেড ইউনিয়ন, কর্মপরিবেশ ও নিরাপত্তা নিয়ে তদন্ত করবে দেশটির আন্তর্জাতিক বাণিজ্য কমিশন (ইউএসআইটিসি)। বৃহস্পতিবার থেকে পোশাক রপ্তানিকারক শীর্ষ দেশগুলোর এ সংক্রান্ত শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে। খবর- বিবিসি বাংলা
[২] তবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বরাত দিয়ে সমকাল লিখেছে, ওয়াশিংটনে মার্কিন ওই শুনানি শুরু হবে ৭ মার্চ। তবে বাংলাদেশের শুনানি হবে ১১ মার্চ। এতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও বিজিএমইএ মৌখিক ও লিখিতভাবে তাদের বক্তব্য উপস্থাপন করবে। শুনানির পরও আগামী ২২ মার্চ পর্যন্ত লিখিত বক্তব্য উপস্থাপনের সুযোগ থাকবে। আগামী ৩০ আগস্ট ইউএসআইটিসি তাদের তদন্ত প্রতিবেদন মার্কিন বাণিজ্য প্রতিনিধির কাছে হস্তান্তর করবে। [৩] যুক্তরাষ্ট্রের শ্রম ইউনিয়ন এএফএল-সিআইও বেশ শক্তিশালী। তারা দেশে ও দেশের বাইরে প্রভাব বিস্তার করে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থীরা তাই শ্রম ইউনিয়নকে পক্ষে রাখতে চান। বিশ্বজুড়ে শ্রম অধিকারের বিষয়টিকে তাই যুক্তরাষ্ট্র জোর দিচ্ছে। সম্প্রতি মার্কিন উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দলের ঢাকা সফরে সরকারের সঙ্গে শ্রম পরিস্থিতির উন্নয়ন নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। শ্রম পরিবেশে সত্যিকারের উন্নয়ন দেখতে চায় যুক্তরাষ্ট্র, সেই বার্তা সরকারকেও দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি শ্রমিকদের সমাবেশ করার ও ট্রেড ইউনিয়নের অধিকার, ট্রেড ইউনিয়ন নিবন্ধন প্রক্রিয়া সহজ করা ও বিদ্যমান শ্রম আইন সংশোধন নিয়েও সরকারের সঙ্গে আলোচনা করে উদ্বেগ তুলে ধরে মার্কিন প্রতিনিধি দল।
[৪] সূত্রের মতে, যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে পোশাক রপ্তানিতে শীর্ষ দেশগুলো কীভাবে অবস্থান করে নিয়েছে, সেটি খতিয়ে দেখবে ইউএসআইটিসি। এছাড়া, সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর পোশাক খাতের পরিস্থিতিও মূল্যায়ন করতে চায় ইউএসআইটিসি।
[৫] উল্লেখ্য, গত বছরের (২০২৩) নভেম্বরের মাঝামাঝিতে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বাইডেন প্রশাসনের নতুন শ্রম নীতির ঘোষণা দেন। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, বিশ্বজুড়ে যারা শ্রমিক অধিকার হরণ করবে, শ্রমিকদের ভয়ভীতি দেখাবে এবং আক্রমণ করবে, তাদের ওপর বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞাসহ নানা ধরনের নিষেধাজ্ঞা দেবে যুক্তরাষ্ট্র।